I Am A Calcutta Boy ( শ্রীল প্রভুপাদ লীলা )

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৩ | ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 111 বার দেখা হয়েছে

I Am A Calcutta Boy ( শ্রীল প্রভুপাদ লীলা )

ডেট্রয়েটে যখন ইসকনের কার্যক্রম সবে মাত্র শুরু হচ্ছে, তখন শ্রীল প্রভুপাদের কাছে তেমন টাকা পয়সা ছিল না।একবার তাঁর শিষ্য বদ্রিনারায়ান প্রভু এবং অন্যান্য শিষ্যরা তাঁকে এক বিরাট রাজ প্রাসাদে নিয়ে যায়। তখন প্রভুপাদের ইচ্ছা হয়েছিল তিনি এটি ইসকনের জন্য কিনবেন। প্রভুপাদের বাসনা জানতে পেরে বদ্রিনারায়ান প্রভু এবং অন্যরা খুবই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।কারণ প্রাসাদের মালিক খুবই লোভী ছিলেন। তিনি এর মূল্য ধার্য করেছিলেন ১০ লক্ষ ডলার এবং সেটা তখনকার দিনে প্রভুপাদের জন্য একটা স্বপ্নের মতো। প্রভুপাদ বাড়িতে ঢুকে দেখলেন এর ভেতরের সবকিছু খুবই সুন্দর এবং তিনি বলেছিলেন যে, ” ভগবানকে সেবা করার জন্য এটি খুবই উত্তম হবে।”প্রভুপাদের এই সাহস দেখে তাঁর শিষ্যরা সকলে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি সকলকে সাহস যুগিয়েছিলেন যে, “তোমরা ধরে নাও প্রাসাদটি আমরা কিনে ফেলেছি। “এরপর তিনি এর মালিকের সাথে দেখা করতে যান। তিনি একটি বাগানে বসে মালিকের সাথে সাক্ষাত করছিলেন। শুরুতে তিনি সে প্রাসাদটির খুবই প্রশংসা করেছিলেন এবং সাথে সাথে মালিককেও খুবই প্রশংসা করেছিলেন প্রভুপাদ একে একে প্রাসাদটির গুণগান করে যাচ্ছেন এবং সাথে সাথে মালিকটিও মনে মনে প্রাসাদটির দাম বাড়িয়ে চলেছিল। এরপরে একসময় গিয়ে প্রভুপাদ মালিককে একেবারে চমকে দিলেন। অন্তিমে প্রভুপাদ বললেন যে, “আপনার এ প্রাসাদ আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু আপনি তো জানেন আমরা হলাম পেশাগত ভিখারি। তাই আপনার উচিত এই প্রাসাদটি আমাদেরকে দান করা। ” এখন বদ্রিনারায়ান প্রভু ভাবছিলেন ছিলেন,” এই বুঝি মালিকটি হয়তো হার্ট এ্যাটাক করে ফেলেছে!” কারন সে ছিল খুবই লোভী সে এই প্রাসাদটি ফ্রিতে দিয়ে দিবে এটি কখনোই ভাবতে পারত না। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে মালিকের সাথে কথাবার্তা বলার পরে প্রভুপাদ অন্তুিমে গিয়ে প্রাসাদটি কিনতে সক্ষম হয়।তিনি এটি খুবই কম মূল্যে কিনেছিলেন যা চিন্তার অতীত। তার অর্ধেক মূল্য প্রদান করেছিলেন অম্বরীষ প্রভু। এরপর প্রভুপাদকে যখন জিজ্ঞাসা করা হলো যে আপনি এটি কিনলেন কিভাবে? তখন প্রভুপাদ বললেন, ” yes! I am a Calcutta boy “।  এর মাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, প্রভুপাদের অসংখ্য গুণাবলী ছিল এবং তিনি সেগুলো সবটাই ভগবানের সেবায় নিয়োজিত করেছিলেন। তিনি যে পরিকল্পনা নিতেন সেটাতে সক্ষম হতেন এবং এর কারণ ছিল, তাঁর কৃষ্ণ এবং গুরুদেবের প্রতি শরণাগতি।


চৈতন্য সন্দেশ অ্যাপ ডাউনলোড করুন :https://play.google.com/store/apps/details?id=com.differentcoder.csbtg


Hare Krishna Thanks For Reading

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।