এই পোস্টটি 331 বার দেখা হয়েছে
“My goal is simple It is complete understanding of the universe, why it is and why it exists at all.”
“আমার লক্ষ্য সরল, তা হল এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে পূর্ণ উপলব্দি যে, কেন এটি সৃষ্টি হয়েছে এবং কেনইবা তা বর্তমান?” উপরোক্ত উক্তিটি করেছিলেন বিখ্যাত পদার্থবিদ এবং বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং, যিনি কদিন আগেই মহাবিশ্বের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য কতিপয় বিজ্ঞানীদের নিয়ে এক সুদীর্ঘ গবেষণা চালিয়েছিলেন। ব্রিটিশ এ পদার্থবিদ তার শারীরিক বৈকল্যকে উপেক্ষা করে গভীরভাবে বৈজ্ঞানিক সত্যের অনুসন্ধানে তাঁর মেধাকে নিমগ্ন রেখে বিশ্বখ্যাত হয়েছেন। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি, অনুসন্ধান রয়েছে অব্যাহত। স্টিফেন হকিং এর মত এ বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীদের মধ্যে আরো অনেক পদার্থ বিজ্ঞানী তাদের সাধনা অব্যাহত রেখেছে শুধুমাত্র নিত্য নতুন অজানা তথ্য উদ্ঘাটনে এবং নিত্য নতুন আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবনে। আর তারই ফলশ্রুতিতে নিউটন, আইনস্টাইন, ওপেনহাইমার কিংবা নোবেল বিজয়ী বিডিজোসেফসন, জর্জ ওয়াল্ড প্রমুখ বিজ্ঞানীদের কল্যাণে আমাদের চারপাশের ক্ষুদ্র জগতে পদার্থ বিজ্ঞানের চোখ ধাঁধানো এ সাফল্য। মোবাইল, কম্পিউটার, রকেট, মহাকাশযানের মত বিচিত্র সব অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আমাদেরকে সদাসর্বদা সেবা দিতে প্রস্তুত। আর বর্তমান এ হাইটেক আধুনিক প্রযুক্তির সাফল্যের পেছনে নেপথ্য হিসেবে কাজ করছে বৈদিক শাস্ত্র এককথায় বৈদিক পদার্থবিজ্ঞান। যারা সনাতন ধর্মকে অন্ধ গোড়ামী হিসেবে আখ্যায়িত করে। ন্যাক্কারজনকভাবে এ বৈদিক সংস্কৃতিকে দূরে ঠেলে দেয় তাদের জন্যে বৈদিক পদার্থ বিজ্ঞান একটি টনক নড়ার মত বিষয়ে পরিণত হবেই। আমেরিগো, ভেমপুঠি, ফ্রান্সিস ক্রিক, ম্যাগেলানের মতো দুঃসাহসিক নাবিকদের মহাসমুদ্রে অভিযান, নূতন নূতন দেশ-মহাদেশ আবিস্কার ইউরোপে সূচনা করে এক নূতন যুগের। ইউরোপে তখন রেনেসা বা নবজাগরণের সূচনা হয়েছিল। ১৪০০ শতাব্দীর সেই যুগের সময় হতে প্রায় ১৬০০ শতাব্দী পর্যন্ত ফ্লোরেন্সা হয়ে ইতালী এবং ইউরোপের সর্বত্রই বৈদিক মেট্রিক পরিমাপ পদ্ধতি এবং বিজ্ঞান ছড়িয়ে পড়েছিল। তখনকার বিখ্যাত সব চিত্রকর্মে স্থাপত্য শিল্পের নকশা, পরিমাপ পদ্ধতি, ডিগ্রী এবং কোণের ব্যবহার খুবই প্রসার লাভ করেছিল। মেসনিক বর্গ এবং কম্পাস ব্যবহার করে অনেক জিনিষ তৈরী করা হত যা সম্পূর্ণরূপে বৈদিক পদার্থ বিজ্ঞানের নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। আপনারা হয়ত আধুনিক প্রযুক্তির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সনি, মাইক্রোসফট এবং মহাকাশ গবেষণার সর্বোচ্চ সংস্থা নাসার নাম শুনে থাকবেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় এই যে, তারাও বৈদিক পদার্থ বিজ্ঞান ব্যবহারের মাধ্যমে নিত্য নতুন আবিষ্কারের ফলে প্রযুক্তিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । বৈদিক মেট্রিক পদ্ধতি বিভিন্ন প্রযুক্তিতে ব্যবহারের ফলে তা দ্বারা নির্মিত যন্ত্রপাতি ১৮৫০ শতক থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত আমেরিকা এবং ইউরোপে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। তখনকার দিনে ওয়ষ্টিং হাউস এবং হার্টজ সহ বিভিন্ন বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান তাদের নির্মিত যন্ত্রগুলিতে এ বৈদিক মেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল। হাজার হাজার বছরেরও অনেক প্রাচীন দালানগুলো এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পসহ বিভিন্ন ভয়াবহ প্রাকৃতিক দূর্যোগেও ঠাঁই দাড়িয়ে রয়েছে। কেননা এসব কাঠামো সমূহে বৈদিক পদার্থ বিজ্ঞানের জিরো পয়েন্ট এনার্জি ও হারমোনিক ব্যালান্সের সুদক্ষ নীতি প্রয়োগ করা হয়েছিল। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আশ্চর্যের বিষয় হলো, জাপান সহ অনেক ভূমিকম্পপ্রবণ দেশসমূহ শুধুমাত্র বৈদিক পদার্থবিদ্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের দালান-কোঠাগুলো নির্মাণ করে থাকে। বীহিব এবং পেন্টাগনসহ অনেক প্রাচীন কাঠামো তৈরী করা হয়েছিল বেদ শাস্ত্রের পদার্থবিদ্যা সম্পর্কিত নীতিসমূহ প্রয়োগের মাধ্যমে যা আজও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। সাধারণত ওপেন হাইমারকেই পারমাণবিক বোমা আবিস্কারের জনক বলা হয়ে থাকে। কিন্তু বৈদিক শাস্ত্রে তা বহু বহু বছর আগে আবিস্কৃত হয়েছিল। মূলত এটি আবিষ্কারের মূল থিওরীসমূহ বিজ্ঞানী ওপেনহাইমার বৈদিক পদার্থ বিজ্ঞানেরই আশ্রয় গ্রহণ করছিলেন। তার প্রমাণ তিনি নিজেই রেখে গেছেন। বাস্তবিকই, যখন জাপানে ওপেনহাইমারের নব নির্মিত পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল তখন তিনি ভগব্দগীতা থেকে ১৭নং শ্লোকটি উদ্ধৃত করেছিলেন। “তেজঃপুঞ্জ স্বরূপ, দুনিরীক্ষা,” অর্থাৎ ‘প্রদীপ্ত অগ্নি ও সূর্যের মতো প্রভাবিশিষ্ট। তখন বোমাগুলো বিস্ফোরণের জ্যেতি দেখে তিনি এ উক্তিটি করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ইন্দোলোজিষ্ট আর্থার লিওয়েলেন বাসাম পারমাণবিক বোমা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, “পারমাণবিক বোমার ধারণাসমূহ পাঁচটি বিশেষ ভিত্তির উপর তৈরী করা হয়েছে। যা বেদের সুপ্রতিষ্ঠিত তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। সেগুলো হল ভূমি, অগ্নি, বাতাস, জল এবং ইথার (আকাশ)”। এখন মহাবিশ্বে পদার্থবিদ্যার জগতের দিকে তাকানো যাক। আমরা সবাই জানি সৌরজগতে বিভিন্ন গ্রহমণ্ডলী সূর্যের চারদিকে তাদের নির্দিষ্ট কক্ষপথে অবিরামভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রতিটি গ্রহই সূর্যের আলোই আলোকিত। তবে সূর্যের যে নিজস্ব আলো আছে এই বিষয়টি বিজ্ঞানে অত্যন্ত প্রতিষ্ঠিত সত্য। কিন্তু ভাগবতে ঘোষণা করা হয়েছে। সূর্যের কোন নিজস্ব আলো নেই। চিন্ময় জগত থেকে ভগবানের অঙ্গনিঃসৃত ব্রহ্মজ্যোতি সূর্যের উপর পতিত হয় সূর্য সে জ্যোতির প্রতিফলন করে থাকে।
যদ ভ্ৰাজমানং স্বরুচৈব সর্বতো লোকস্ত্ৰয়ো হ্যনু বিভ্রাজন্ত এতে
যন্নাব্রঞ্জন্তুষু যেহননুপ্রহা ফ্রগত্তি ভদ্রানি চরন্তি যেহনিশাম
(ভাগবত ৪/১২/৩৬)
“বৈকুণ্ঠলোক স্বীয় জ্যোতির দ্বারা উদ্ভাসিত। এই জড় জগতের উজ্জ্বল লোকসমূহ সেই জ্যোতির প্রতিফলন করিবার ফলেই উজ্জ্বল হয়। যাহারা অন্যান্য জীবের প্রতি কৃপাপরবশ নয়। তাহারা কখনও সেই লোকে যাইতে পারে না। যাহারা নিরন্তন জীবের কল্যাণজনক কার্যকলাপে যুক্ত, তাঁহারাই সেই বৈকুন্ঠলোকে প্রবেশ করিতে পারেন।”
এই শ্লোকে বর্ণনা করা হয়েছে বৈকুণ্ঠলোক বা চিন্ময় জগত ব্রহ্মজ্যোতির দ্বারা আলোকিত। সেই জ্যোতির অংশ এই জড় ব্রহ্মাণ্ডের উজ্জ্বল গ্রহ অর্থাৎ সূর্যের উপর পতিত হয়। সূর্য ইহাকে প্রতিফলিত করে আলো ও তাপ দান করে। ব্রহ্মসংহিতায় এ বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে,
হাস্য প্রভা প্রভবতো জগদগুকোটি, কোটি ষড়গশেষবসুধা দিবিভূতিভিন্নম্। তদ ব্রহ্ম নিস্ফল মন্তম শেষভূতং গোবিন্দমাদি পুরুষংতমহং ভাজামি ॥ “অনন্তকোটি ব্রহ্মাণ্ডে বিভিন্ন বিভৃতি সম্পন্ন বৈচিত্র্যময় অসংখ্য গ্রহমণ্ডল রহিয়াছে। আর এই সব ব্রহ্মাণ্ডগুলি ব্রহ্মাণ্ডজ্যোতির দ্বারা সূর্যের মাধ্যমে আলোকিত। এই ব্রহ্মজ্যোতি হইতেছে আমার পুরুষোত্তম ভগবানের অপ্রাকৃত দেহ নিঃসৃত দিব্য রশ্মি।”
এই শ্লোকে বর্ণনা করা হয়েছে, অনন্ত কোটি ব্রহ্মাণ্ডে অনন্তকোটি সূর্য অবস্থান করছে। প্রতিটি সূর্য ব্রহ্মজ্যোতি থেকে আলো প্রাপ্ত হয়ে ব্রহ্মাণ্ডকে আলো দান করে। একইভাবে, সূর্যের কারণে পৃথিবীতে দিন-রাত্রি (আহ্নিক গতি) হওয়ার বর্ণনা খুব সুন্দরভাবে বর্ণিত হয়েছে। ভাগবতের ৫ম স্কন্ধের এ বিষয়ে পূর্ণ ধারণা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া সূর্যের যে কোন উদয় বা অস্ত নেই তার ধারণা বিজ্ঞানীদের আবিস্কারেরও বহু আগে বৈদিক শাস্ত্রে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
নৈবাস্তমনকৰ্ম্য নোদয়ঃ সর্ব্বদা সতঃ
উদয়াস্তমানাখ্যং হি দর্শনাদর্শনং রবে ॥
(স্কন্ধপুরানম মাহেশ্বর খণ্ডে কুমারিকা খণ্ডম ৩৮/৮)
“সূর্য সর্বদাই বিদ্যমান থাকেন। তাঁহার প্রকৃত পক্ষে অস্তগমন বা উদয় নাই। তাঁহার দর্শন ও অদর্শনকেই উদয়ান্তরূপে কল্পনা করা হয়”।
যৈর্বত্র দৃশ্যতে ভাষড়গান সতেষামুদয়ঃ স্মৃতঃ।
তিরো ভাবঞ যত্রৈতি তত্রৈবাস্তমনং রবে।
নৈবাস্তমনমবস্য নোদয়ঃ সর্ব্বদা সতঃ।
উদয়াস্তমনাখ্যং হি দর্শনাদর্শনং রবেঃ॥
(বিষ্ণু পুরানম দ্বিতীয়াংশ ৮/১৪-১৫)
“পৃথিবীর যেখান হতে সূর্য দৃশ্য হন, সেখানের পক্ষে তাঁর উদয় এবং যেখান হতে তিনি দৃশ্য হন না, সেখানের পক্ষে তাঁহার অস্তমন মনে হয়। বাস্তবিকই, সূর্যের উদয় বা অস্ত নাই”
“এইভাবে ব্রহ্মাণ্ড শাসন করার সময়, মহারাজ প্রিয়ব্রত একবার পরম শক্তিমান সূর্যদেবের কক্ষপথে বিচরণের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। নিজের রথে চড়ে সুমেরু পর্বত প্রদক্ষিণ করার সময়, সূর্যদেব সমস্ত গ্রহলোকগুলিকে আলোকিত করেন। কিন্তু সূর্যদেব যখন পর্বতের উত্তর ভাগ আলোকিত করেন, তখন অবনীতলের দক্ষিণ ভাগ অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে, আবার সূর্য যখন দক্ষিণ ভাগকে আলোকিত করেন, তখন উত্তর ভাগ অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। এই ব্যবস্থা মহারাজ প্রিয়ব্রতের কাছে অরুচিকর বলে মনে হওয়ায়, তিনি রজনীকেও দিবাভাগে পরিণত করতে মনস্থ করেছিলেন। এই অভিপ্রায়ে তিনি তাঁর জ্যোতির্ময় রথে সূর্যদেবের কক্ষপথ পরিভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর পক্ষে এই প্রকার অলৌকিক কার্য সম্পাদন করা সম্ভব হয়েছিল, কেননা পরমেশ্বর ভগবানের আরাধনার ফলে তিনি এই প্রকার অলৌকিক শক্তি প্রাপ্ত হয়েছিলেন।” [ভাগবত ৫:১:৩০]
শ্রীল প্রভুপাদ এ শ্লোকের তাৎপর্যে বলেছেন, “এই শ্লোকের বর্ণনা থেকে প্রতীত হয় যে, সূর্য গতিশীল। আধুনিক জ্যোতির্বিদদের মতে গ্রহ পরিবেষ্টিত হয়ে সূর্য এক স্থানে স্থিত; কিন্তু এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সূর্য স্থির নয়, তা তার কক্ষপথে বিচরণ করছে। এই সত্য ব্রহ্মসংহিতাতেও (৫/৫২) প্রতিপন্ন হয়েছে। যস্যাজ্ঞয়া ভ্রমতি সংভতকালচক্রঃ-পরমেশ্বর ভগবানের আদেশ অনুসারে সূর্য তাঁর কক্ষপথে ভ্রমণ করছে।”
‘অণ্ডমধ্যগতঃ সূর্যো’ অর্থাৎ সূর্য ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। [ভাগবত ৫:২০:৪৩] দিবারাত্রি প্রসঙ্গে বৈদিক শাস্ত্রের বিষ্ণু পুরাণে বর্ণিত আছে।
ভূগহভানাং গোলাৰ্দ্ধানি স্বচ্ছয়য়া বিবর্ণার্নি
অৰ্দ্ধানি যথা সার্দ্ধ সূৰ্য্যভিমুখানি দীপ্তন্তে ॥
(বিষ্ণু পুরান)
“পৃথিবী ও গ্রহদের গোলকের যে অর্ধাংশ যখন সূর্যাভিমুখে থাকে সেই অর্ধাংশ তখন দীপ্তিশালী হয়। অপর অর্ধেকাংশ নিজের ছায়ায় থাকে বলিয়া নিষ্প্রভ। সূর্যালোকিত অংশ দিন। সূর্য দিননাথ, নিস্প্রভ অংশ রাত্রি। সোম বা চন্দ্ৰ নিশানাথ।”
সূর্য সম্পর্কে এ সব তথ্যাদি উপস্থাপন স্বত্ত্বেও এ স্বল্প পরিসরে বৈদিক শাস্ত্রের সূর্য সম্পর্কে বিস্তৃত বর্ণনা তুলে ধরা নিতান্তই অসম্ভব। তবে উপরোক্ত তথ্যাদি ও শ্লোকসমূহ থেকে বৈদিক পদার্থ বিজ্ঞানের যে বিশাল জগত রয়েছে তার সম্পর্কে ধারণা নিশ্চয়ই পাওয়া যায়। আর এটা উপলব্দি করতেও পাঠকদের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না যে সকল বিজ্ঞানের পরম উৎস হল শ্রী ভগবান কর্তৃক প্রদত্ত বৈদিক শাস্ত্র আর এ বৈদিক শাস্ত্রের একটি অংশ বৈদিক পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা। এ পূর্ণ ধারণার অংশ হিসেবে আগামী সংখ্যায় বৈদিক পদার্থ বিজ্ঞানের মাধ্যমে আইনষ্টাইন, প্লাংক ও বিভিন্ন বিখ্যাত বিজ্ঞানীর থিওরীসমূহের পরিপ্রেক্ষিতে মহাবিশ্বের বিভিন্ন অজানা রহস্যসমূহ তুলে ধরা হবে। বৈদিক পদার্থ বিজ্ঞানের আগামীর সংখ্যার এ চমক থেকে নিশ্চয়ই আপনিও বঞ্চিত হতে চাইবেন না। হরে কৃষ্ণ !