শ্রীকৃষ্ণের বংশ-পরম্পরা

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২২ | ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২২ | ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 152 বার দেখা হয়েছে

শ্রীকৃষ্ণের বংশ-পরম্পরা

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একই সময়ে যশোদা ও দেবকীর গর্ভ থেকে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই আমরা এখানে উভয়ের কথা অর্থাৎ নন্দ মহারাজ ও বসুদেবের কথা আলোচনা করব। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র বংশে আবির্ভূত হয়েছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ যে বংশে আবির্ভূত হয়েছিলেন, সেই বংশ বৃষ্ণি বা যদু বংশ নামে খ্যাত। সেই বংশে সর্বগুণশালী দেবমীঢ় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মথুরা দেশে বাস করতেন, তিনি ক্ষত্রিয় ছিলেন। তাঁর এক পত্নী ক্ষত্রিয় ছিলেন আর একটি পত্নী বৈশ্য ছিলেন। এঁরা যথাক্রমে শূরসেন ও পর্জন্য নামে দুইপুত্র জন্ম দিলেন। শূরসেন বসুদেব আদি পুত্রগণকে উৎপন্ন করেন। পর্জন্য মহারাজ “মাতৃবৎ বর্ণ শঙ্কর” এই ন্যায়ে বৈশ্য জাতিত্ব গ্রহণ করে গোপালন কর্মে নিযুক্ত হন। তিনি বহু গোগণের অধিপতি হয়ে মহাবনে বাস করতেন। পর্জন্য মহারাজ শিশু অবস্থা থেকে অত্যন্ত ধার্মিক ভাবাপন্ন ছিলেন। তিনি সর্বদা ব্রাহ্মণ-বৈষ্ণবদেরকে পূজা ও দক্ষিণা দিতেন। পর্জন্য মহারাজার পত্নীর নাম বরীয়সী। তাঁর পঞ্চ পুত্র- উপনন্দ, অভিনন্দ, নন্দ, সনন্দ ও নন্দন। বৃদ্ধ অবস্থায় তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র উপনন্দকে রাজতিলক প্রদান করে রাজ্যাভিসিক্ত করেন। রাজতিলক প্রাপ্ত হয়ে উপনন্দ তৎক্ষণাৎ পর্জন্য মহারাজার তৃতীয় পুত্র নন্দকে সস্নেহে আহ্বান করে তাঁর যোগ্যতা লক্ষ্য করে তাঁকে রাজতিলক প্রদান করেন এবং নন্দ মহারাজ তখন ‘গোকুলরাজ’ রূপে খ্যাত হন। পর্জন্য মহারাজ এইভাবে পুত্রদের হস্তে রাজ্য অর্পন করে বৃন্দাবনে শ্রীহরির ভজন করতে প্রবেশ করেন। শ্রীকৃষ্ণ নন্দ মহারাজার পুত্ররূপে আবির্ভূত হন।
যদু বংশ: মহারাজ যযাতির প্রথম পুত্র যদু, যদুর চার পুত্র সহস্রজিৎ, ক্রোষ্টা, নল এবং রিপু।
সহস্রজিতের পুত্র শতজিৎ।
শতজিতের পুত্র হৈহয়।
হৈহয়ের-পুত্র ধর্ম।
ধর্মের পুত্র-নেত্র।
নেত্রের পুত্র কার্ড বা (কুম্ভি)।
(কুম্ভি) বা কার্ভর পুত্র-সোহঞ্জি।
সোহঞ্জির পুত্র মহিষ্মান্ এবং ভদ্রসেনক। ভদ্রসেনের পুত্র দর্মদ এবং ধনক।
ধনকের পুত্র কৃতবীর্য।
কৃতবীর্যের পুত্র কাত্তবীর্য অর্জুন (সহস্রবাহু অর্জুন), কার্তবীর্যের এক হাজার পুত্রের মধ্যে এক পুত্র জয়ধ্বজ, জয়ধ্বজের পুত্র তালজঙ্ঘ তালজঙেঘর পুত্র- বিতিহোত্র, বিতিহোত্রের পুত্র মধু, মধুর পুত্র কৃষ্ণ (বৃষ্ণি)। এই জন্য যদুকুল বৃষ্ণি বংশ বা যাদব নামে খ্যাত। যদুর দ্বিতীয় পুত্র ক্রোষ্টার বৃজিনবান্ নামক এক পুত্র ছিল, বৃজিনবানের পুত্র স্বাহিত, স্বাহিতের পুত্র বিষদ্দ্গু, বিষদ্গুর পুত্র চিত্ররথ, চিত্ররথের পুত্র বিদূরথ বিদুরথের পুত্র শুর এবং শূরের পুত্র ভজমান। ভজমানের পুত্র শিনি, শিনির পুত্র ভোজ, ভোজের পুত্র হৃদিক। হৃদিকের পুত্র দেবমীঢ়ে, দেবমীঢ়ের পুত্র শূরসেন, রাজা শূরসেন তাঁর পত্নী মারিয়ার গর্ভে বসুদেব, দেবভাগ আদি দশটি নিষ্পাপ পুত্র উৎপাদন করেন। বসুদেবের জন্মের সময় দেবতারা আনক এবং দুন্দুভি বাজিয়েছিলেন, তাই শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবের উপযুক্ত স্থান বসুদেব আনকদুন্দুভি নামেও অভিহিত হন। বসুদেব ও দেবকীর আটটি পুত্র ও একটি কন্যা জন্মগ্রহণ করেন। অষ্টপুত্র কীর্তিমান, সুষেণ, ভদ্রসেন, ঋজু, সম্মদন, ভদ্র, সঙ্কর্ষণ ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং সুভ্রদা নাম্নী কন্যা।


মাসিক চৈতন্য সন্দেশ আগস্ট ২০২২ হতে প্রকাশিত
http://csbtg.org/%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%95-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%ad%e0%a7%82-%e0%a6%b2%e0%a7%8b%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b9%e0%a6%b0%e0%a6%bf/

 
সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।