এই পোস্টটি 151 বার দেখা হয়েছে
প্রোফেসর দুর্কহেইমঃ আমি আরেকটা প্রশ্ন করতে পারি? অনুভূতি কি অন্য কোনও স্তর নেই যা সাধারণ মানুষের সামনে আত্ম-উপলব্ধির পথ খুলে দেবে? |
কিন্তু প্রথমে একজনকে বুঝতে হবে জ্ঞানের প্রকৃত নীতিটি-যে আমি এই শরীরটি নই। যখন একজন কেউ এই মূল নীতিটি বুঝতে পারবে, তখনই সে আরও গভীর জ্ঞানে প্রবেশ করতে পারবে। প্রোফেসর দুর্কহেইমঃ আমার মনে হচ্ছে আত্মা ও শরীর সম্পর্কিত এই সমস্যা নিয়ে পশ্চিমী দেশগুলো ও পূর্বের দেশগুলোর মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির বড় পার্থক্য রয়েছে। পূর্বের দেশগুলোতে শিক্ষা দেওয়া জন্মান্তরের অর্থ হল যে, আমি এক আত্মা যে একটি দেহে প্রবেশ করি। পরবর্তী জীবনে আমি অন্য একটি দেহেও প্রবেশ করতে পারি। সেটি একটি কুকুরের দেহও হতে পারে, কিম্বা একটি বিড়ালের দেহ অথবা এক রাজার দেহও হতে পারে। আপনাকে শরীর থেকে মুক্ত হতে হবে, সেখানে পশ্চিমী ধর্ম অনুসারে মানুষ। নিজের শরীরে মধ্যস্থ আত্মাকে অনুভব করতে চেষ্টা করে। শ্রীল প্রভুপাদ। এটা খুব সহজেই বোঝা যায়। ভগবদগীতায় আমরা শুনেছি যে, আমরা হলাম আত্মা, সেই আত্মা শরীরের মধ্যে রয়েছে। এই শরীরের সাথে পরিচয়ই আমাদের যাবতীয় দুঃখ কষ্টের মূল কারণ। তাই পূর্ব বা পশ্চিম যাই হোক না কেন, আমার আসল কাজ এই শরীরের বাইরে বের হয়ে আসা। এই বিষয়টি পরিষ্কার বুঝতে পারছেন?
প্রোফেসর দুর্কহেইম : হ্যাঁ।
শ্রীল প্রত্নপাদ : পুনর্জর-শব্দটির অর্থ হল আমি হলাম আত্মা, যে একটি শরীরে প্রবেশ করেছে। কিন্তু পরের জন্মে আমি অন্য আরেকটা বিড়ালের শরীর, অথবা কোনও রাজার শরীর পেতে পারি। কিন্তু কুকুরের হোক বা রাজার সবারই দুঃখ কষ্ট রয়েছে। এই দুঃখ কষ্টের মধ্যে আছে জন্ম, মৃত্যু, জরা-ব্যাধি। তাই এই চার রকম দুর্দশা থেকে মুক্তি পেতে হলে, আমাদেরকে শরীরের বাইরে বেরোতে হবে। এটাই আমাদের আসল সমস্যা কিভাবে এই জড় জাগতিক শরীর থেকে মুক্ত হব? প্রোফেসর দুর্কহেইম এতে অনেক বছর সময় লাগে ? শ্রীল প্রভুপাদ : এতে বহু জন্ম লেগে যেতে পারে, অথবা আপনি এই জন্মেই এটা করতে পারেন। যদি আপনি এই জন্যেই বুঝতে পারেন যে আপনার এত দুঃখ-কষ্টের মূলে রয়েছে এই শরীর, তাহলে আপনি নিশ্চয়ই এই শরীর থেকে বেরোনোর পথ খুঁজবেন। যখন আপনি এই জ্ঞান পেয়ে যাবেন তখন আপনি সেই পদ্ধতিকেই বেছে নেবেন যা শীঘ্রই। আপনাকে শরীরের বাইরে নিয়ে যাবে।
প্রোফেসর দুর্কহেইম : কিন্তু এর মানে তো এই নয় যে আমি এই শরীরকে মেরে ফেলব, তেমন তো নয়। এর তাৎপর্য কি এই নয়, আমি বুঝতে পারব যে আমার শরীর ও আত্মা স্বতন্ত্র।
শ্রীল প্রভুপাদ : না, শরীরকে মেরে ফেলার কোনও দরকার নেই। কিন্তু আপনার শরীর মরে যাক আর না যাক, কোন না কোন দিন আপনাকে এই শরীর ত্যাগ করতে হবে এবং অন্য একটা শরীর গ্রহন করতে হবে। | এটাই প্রকৃতির নিয়ম। আপনি এটাকে বদলাতে পারবেন না।
প্রোফেসর দুর্কহেইম : মনে হচ্ছে এর মধ্যে কিছু বিষয় খ্রীস্টার্ন | ধর্মের মতো।
শ্রীল প্রভুপাদ : এটা কোনও ব্যাপার নয় যে আপনি খ্রীষ্টান, মুসলিম না হিন্দু। জ্ঞান হল জ্ঞানই। যেখানেই কোন জ্ঞান পাওয়া যাবে তাকে গ্রহণ করতে হবে। জ্ঞান হল প্রত্যেক জীবাত্মা একটি শরীরের মধ্যে বদ্ধ। এজন্য তাকে জন্ম, মৃত্যু, জরা, ব্যাধি ভোগ করতে হয়। কিন্তু আমরা অনন্তকাল বেঁচে থাকতে চাই। আমরা পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে চাই, আমরা পূর্ণ আনন্দ চাই। আর এই লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে আমাদেরকে শরীরের বাইরে বেরোতে হবে। এটাই পদ্ধতি ।
চৈতন্য সন্দেশ অ্যাপ ডাউনলোড করুন :https://play.google.com/store/apps/details?id=com.differentcoder.csbtg
Hare Krishna Thanks For Reading