এই পোস্টটি 220 বার দেখা হয়েছে
জপ মানে শ্রীল প্রভুপাদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ। জপ মানে এই কলিযুগের যুগধর্ম। জপ মানে এই জড় জগতের বন্ধন থেকে মুক্তি পাবার শ্রেষ্ঠতম পন্থা। জপ মানে ভগবানের সাথে আমাদের হারানো সম্পর্কের পুনঃস্থাপন। জপ মানে সাক্ষাৎ ভগবানের সান্নিধ্যে আসা, জপ মানে ভগবানের সাথে একান্তে সময় কাটানো, জপ মানে কৃষ্ণের উপস্থিতি, জপ মানে ভগবানকে সন্তুষ্ট করার সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা, জপ মানে সর্বশ্রেষ্ঠ সাধনা। হরিনাম জপের মতো কোনো ব্রত নেই, এর চেয়ে উৎকৃষ্ট কোন জ্ঞান নেই, কোন জ্ঞানই এর সমীপবর্তী হতে পারে না। এটাই সর্বোচ্চ ফল প্রদান করে। কোন কিছুই হরিনামের মতো শক্তিসম্পন্ন নয়। হরিনামই পরম ধর্ম এবং জীবের আশ্রয়। এমনকি বেদও এর বিশালতা বর্ণনা করতে অসমর্থ। হরিনামই মুক্তি, শান্তি এবং শাশ্বত জীবন লাভের শ্রেষ্ঠ পন্থা। এটি ভক্তির চূড়ামণিস্বরূপ হৃদয়ের আনন্দপূর্ণ অভিব্যক্তি বা প্রবণতা এবং পরমেশ্বর ভগবানকে স্মরণের সর্বোত্তম উপায়। হরিনাম জীবের প্রভু, নিয়ন্তা, আরাধ্য এবং তাদের গুরুরূপে আবির্ভূত হয়েছেন।
জপ এবং কীর্তন
“মৃদুমন্দ স্বরে মহামন্ত্র উচ্চারণ করাকে বলা হয় জপ এবং উচ্চঃস্বরে মহামন্ত্র উচ্চারণ করাকে বলা হয় কীর্তন। যেমন-
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ॥
যখন কেবল নিজে শোনার জন্য আস্তে আস্তে উচ্চারণ করা হয়, তখন তাকে বলা হয় জপ। সেই মহামন্ত্রই যখন সকলের শোনার জন্য উচ্চঃস্বরে উচ্চারণ করা হয়, তখন তাকে বলা হয় কীর্তন। মহামন্ত্র জপ ও কীর্তন দুটিই করা যায়। জপের ফলে কেবল নিজেরই লাভ হয়, কিন্তু কীর্তনের ফল শ্রবণকারীসহ সকলেরই কল্যাণ হয়।”