ব্রজলীলা (শেষ পর্ব)

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২ | ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২ | ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 127 বার দেখা হয়েছে

শ্রীমৎ ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বামী’র স্বরচিত গ্রন্থ ‘ব্রজলীলা’ অবলম্বনে মাত্র ১৯ বছর বয়সী রাশিয়ান এক কৃষ্ণভক্তের মহিমাময় প্রয়াণের রোমাঞ্চকর কাহিনি, যেখানে গুরুদেব ও শিষ্যার মধ্যে এক অলৌকিক ও অত্যুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রদর্শিত হয়।

সর্বাত্মা দাস


“তোমার সমস্ত জাগতিক আসক্তি থেকে নিরাসক্ত হও। ভক্তসঙ্গ ও চিদজগতে প্রত্যাবর্তনের জন্য তাদের প্রার্থনার অপার কৃপা গ্রহণ কর। ভয় করো না। সবকিছুই শ্রীল প্রভুপাদের ব্যবস্থাপনা হিসেবে দর্শন কর। তিনি তোমাকে আশীর্বাদ করছেন। এই জড় শরীর ও সমস্ত জড় বাসনার প্রতি সম্পূর্ণ নিরাসক্ত হও। আমি এখন তোমার পাশেই আছি, তাই তুমি নিরাপদ। আমরা একসাথে কীর্তন করব, জপ করব। শুধুমাত্র তোমার মনকে ভগবানের পবিত্র নাম ও লীলাবিলাসের মধ্যে নিবদ্ধ কর।”
“ব্রজলীলা, এই বৃন্দাবনেই শ্রীল প্রভুপাদ তার অন্তিম দিনগুলো অতিবাহিত করেছিলেন। তিনি আমাদেরকে দেখিয়ে গিয়েছেন, কিভাবে এই জড় শরীর ত্যাগের অন্তিম পরীক্ষা অতিক্রম করতে হয়। বদ্ধ জীব এই জড় শরীরের প্রতি অত্যন্ত আসক্ত, কারণ এই শরীরটির মাধ্যমেই যে তার জড় কামনা বাসনাগুলো চরিতার্থ করতে পারে। কিন্তু একজন ভক্ত তার সমস্ত জড় বাসনা পরিত্যাগ করার প্রচেষ্টা করে এবং তার গুরুদেবের বাসনাকেই গ্রহণ করে।”
“আমি তোমার ভক্তিমূলক সেবায় অত্যন্ত প্রসন্ন হয়েছি। অনেক বছর ধরে তুমি আমার একনিষ্ঠ ও শরণাগত শিষ্য। এখন তোমার মনকে এই ভক্তসঙ্গ পরিব্রত অবস্থায় কৃষ্ণের লীলাবিলাসের ভাবনায় নিমগ্ন কর এবং পবিত্র হরিনাম কীর্তন শ্রবণ কর।”
“ব্রজ, এই দেহ ত্যাগ করতে ভয় করো না, কৃষ্ণ তোমাকে সাহায্য করবে। কৃষ্ণই তোমাকে এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত করেছে। তিনি তোমাকে ভক্ত ও শ্রীল প্রভুপাদের সাহচর্যে নিয়ে এসেছেন তিনি তোমাকে তোমার গুরুদেবের সান্নিধ্যে নিয়ে এসেছেন। তিনি তোমাকে অনেকভাবে সাহায্য করেছেন।”
“তোমার সমস্ত ভক্তিমূলক সেবা হলো এই মুহূর্তটির জন্য প্রস্তুতি স্বরূপ, যাতে তুমি শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের শ্রীপাদপদ্মের চিন্তা করতে করতে দেহত্যাগ করতে পার। বহু বৈষ্ণব এখানে সমবেত হয়েছে তোমাকে সহায়তা প্রদান করার জন্য এবং আমরা হরিনাম কীর্তন করতে থাকব, অতএব তোমার ভয়ের কোন কারণ নেই । দেহের বেদনাতে মনোনিবেশ করো না, শুধু হরিনাম শ্রবণ করতে থাক।”
ব্রজলীলা তখন প্রথমবারের মত বলে উঠলেন, “আমি বৈষ্ণবদের কৃপা প্রার্থী” তখন মহারাজ উত্তর দিলেন, “অনেক বৈষ্ণব তোমার জন্য প্রার্থনা করছে। তাদের কৃপায় তুমি সফল হবে। তোমার প্রতি ভগবানের কৃপা, গুরুদেব ও বৈষ্ণবদের কৃপা রয়েছে।” সেদিন সকাল জুড়ে ব্রজলীলাকে মহারাজ কৃষ্ণকথা এবং কীর্তন শ্রবণ করান। তিনি শ্রীল প্রভুপাদের কাছে প্রার্থনা করেন যাতে এরকম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রভুপাদ তাঁকে সহায়তা করেন। কৃষ্ণের কাছে সর্বদা প্রার্থনা করেন যাতে কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত হয়ে ব্রজলীলা যেন দেহত্যাগ করতে পারে। সে সময় মাঝে মাঝে কফ জমে ব্রজলীলার কণ্ঠ রুদ্ধ হচ্ছিল। যখন সেগুলো দূর করতে কষ্ট হচ্ছিল তখন তার চোখ আতঙ্কিত রূপ ধারণ করত। সে সময় ভক্তরা তাকে কিছুটা ওপরে তুলে কফ চলে যেতে সাহায্য করত। যদিও প্রতিক্ষণই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছিল কিন্তু তার চেতনা ছিল স্বচ্ছ। সকালের অন্তিম ভাগে তিনি মহারাজকে তার শেষ প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করেন ।

শেষ প্রশ্নোত্তর

ব্রজলীলা : গুরুদেব, আমি যদি ভাল হয়ে যাই এবং তারপর যদি আপনার এই আগমন বৃথা হয় সেজন্যে আমি ভীত।
ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বামী: তুমি আমাকে শ্রীবৃন্দাবন ধামে নিয়ে এসেছ । প্রত্যেক ভক্তদেরই বৃন্দাবনের কৃপা প্রয়োজন।
ব্রজলীলা: আমাকে নিশ্চিত হতে হবে যে, আমি ভগবদ্ধামে যাচ্ছি ।
ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বামী : তুমি এই মুহূর্তটির জন্য অনেক বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছ। তুমি যত মালা জপ করেছ, যত সেবা করেছ, যত প্রসাদ পেয়েছ এই সব কিছুর মাধ্যমে তুমি ভগবদ্ধামে প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছ। এত অনুশীলনের পর মৃত্যুর সময় কৃষ্ণকে স্মরণ করা তোমার জন্য দুরূহ নয়। শুধু তোমাকে দৃঢ় হতে হবে।
তুমি তোমার বার্তাই আমাকে বলেছিলে, তুমি নিশ্চিত যে, চিজগতের অস্তিত্ব রয়েছে। তুমি যদি জীবনের এই শেষ কটা দিন গভীরভাবে কৃষ্ণকে স্মরণ কর তবে তুমি চিজগতে প্রত্যাবর্তন করতে পারবে। চিজগৎ হল সদ্, চিদ্ ও আনন্দময়। সেখানে সবাই কীর্তন, নৃত্য করে এবং প্রতিটি দিনই একেকটি উৎসব।
কৃষ্ণ তার প্রেমময়ী ভক্তদের সঙ্গে গোলকে অপ্রাকৃত লীলাবিলাসে মগ্ন। সেখানে গোবর্ধন পর্বত, যমুনা নদী ও অনেক সুন্দর সুন্দর স্থান রয়েছে। ভগবান আমাদেরকে সেই চিজ্জগতে ফিরে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সেখানে যাওয়ার যোগ্যতা হল তোমার উৎসাহ ।
ব্রজলীলা : ভগবানের ব্যক্তিগত সেবার প্রশিক্ষণ ছাড়া কিভাবে আমি চিন্ময় জগতে যেতে পারি?
ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বামী : এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সর্বত্র কৃষ্ণের লীলাবিলাস হচ্ছে। একজন যোগ্য ভক্ত এখানে দেহত্যাগ করার পর সেই স্থানে গমন করে এবং ভগবানের সেবা করার প্রশিক্ষণ নেয়। আমি জানি তুমি পুণরায় এই জড়জগতে ফিরে আসতে চাও না, অতএব তোমার একমাত্র বিকল্প হল সেখানে প্রত্যাবর্তন করা ।
ব্রজলীলা : আমি যে সেখানে প্রত্যাগমন করতে পারব তা আমার মনে হয় না, আমি অযোগ্য ।
ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বামী : তোমার যোগ্যতা হল শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপা। এই কলিযুগে আমরা অনেক অসদৃ গুণাবলী নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি, কিন্তু মহাপ্রভুর কৃপায় আমার সেই অসদ্ গুণাবলী অতিক্রম করতে পারব। ঠিক জগাই-মাধাই এর মত, তাদের যোগ্যতা ছিল শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শরণাগত হওয়া । এতটুকুই। তারা পাপময় জীবন ত্যাগ করে ভক্তিপূর্ণ সেবা গ্রহণ করেছিল। তুমি সেটাই করেছিলে। অতএব, তুমিই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপা লাভের যোগ্য ।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপায় যে কোন কিছু সম্ভব । ভক্ত কখনো নিজেকে যোগ্য মনে করেন না। গুরু ও কৃষ্ণের কৃপাতেই আমরা চিজগতে প্রত্যাবর্তন করতে পারি। ভগবান প্রত্যেক জীবের বাসনা পূর্ণ করেন। যদি কেউ জাগতিক বাসনা করে তবে কৃষ্ণ সেটিও পূর্ণ করেন। যদি কেউ ভক্তিপূর্ণ সেবা করতে চাই, কৃষ্ণ নিশ্চয়ই সেই বাসনা পূর্ণ করেন।
ব্রজলীলা : আমি কৃপার সাগরে নিমজ্জিত, কিভাবে আমি এর পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারি?

ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বামী : শুধু ভগবানের ভাবনায় মনকে নিবদ্ধ কর। তখন তোমার আর অন্য কোন দায়িত্ব কর্তব্য থাকবে না ।
গান্ধবিকা তোমার শরীরের যত্ন নিচ্ছে। কৃষ্ণ চিন্তা বিনা তোমাকে আর কিছু করতে হবে না। যদি দেহে কোনো যাতনা থাকে তবে তোমার মনে “হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ!” বলে শুধু চিৎকার কর।
তোমার গুরুদেব হিসেবে আমি চাইব তুমি সমস্ত ভক্তদের জন্য একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন কর। শ্রীল প্রভুপাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ কর : মৃত্যুর সময় কৃষ্ণভাবনাময় হয়ে কৃষ্ণের কাছে ফিরে যাও।
ব্রজলীলা : আমার এখনও সামান্য জাগতিক বাসনা রয়েছে।
ইন্দ্ৰদ্যুম্ন স্বামী : কি ধরনের বাসনা?
ব্রজলীলা : (লজ্জিতভাবে) মাঝে মাঝে আমার টমেটো খাওয়ার বাসনা জাগে ।
ইন্দ্ৰদ্যুম্ন স্বামী : [কৌতুক পূর্ণভাবে, উপস্থিত ভক্তদের দিকে তাকিয়ে] চিজগতে কি টমেটো রয়েছে? যা হোক, সেখানে কল্প-বৃক্ষ রয়েছে, এবং কৃষ্ণসেবার জন্য তুমি সেখান থেকে যা চাও তাই পাবে। যদি তোমার এই অন্তিম সময়ে কেবল এই বাসনায় অবশিষ্ট থাকে তবে তুমি সৌভাগ্যবান বটে।
ব্রজলীলা : মৃত্যুর সময় যদি আমি কৃষ্ণকে স্মরণ করতে না পারি?
ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বামী : কৃষ্ণ আমাদের চেয়েও অধীর আগ্রহে তার নিত্য ধামে আমাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। তার বাসনা আমাদের চেয়েও প্রবল। তুমি তার ভক্ত এবং তার প্রতি কেউ সামান্যতম সেবা নিবেদন করলে তিনি তা বিস্মৃত হন না। তিনি তোমার হৃদয়ের বাসনা সম্পর্কে অবগত।
ব্রজলীলা : আপনি আমার এত বেশি যত্ন নেন?
ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বামী : ভালোবাসা বিনিময় হয়। যখন ভক্তরা শ্রীল প্রভুপাদকে বলেন, “প্রত্যেকেই আপনাকে ভালবাসে, প্রভুপাদ।” প্রভুপাদ উত্তর দেন, “এর কারণ আমি প্রত্যেককে ভালবাসি।” যদি কেউ তোমাকে ভালোবাসে, তখন তুমি স্বাভাবিকভাবে তাদেরকে ভালোবাসবে। এটি বিশেষভাবে ভক্তিমূলক সেবার ক্ষেত্রে সত্য।

অন্তিম সময়গুলো

এই প্রশ্নগুলোর পর ব্রজলীলা একটু ঘুমাতে চাইলেন, মহারাজ মৃদুভাবে কীর্তন করছিলেন। দুপুর দুটা নাগাদ তিনি হঠাৎ জেগে উঠে মহারাজের দিকে তাকিয়ে এমন মুখভঙ্গি করলেন যেন তিনি মহারাজের উৎসাহ চান। মহারাজ তখন সবকিছু ঠিক আছে বলে মাথা নাড়লেন। তারপর বালিশে মাথা রাখতেই গান্ধবিকা এক চামচ মিষ্টি দুধ খাওয়াতে চাইলেন। কিন্তু তিনি তাতে অসমর্থ হলেন। ব্রজলীলার চোয়াল আটকে গিয়েছিল। গান্ধবিকা বলে উঠলেন, “গুরুদেব, এটি তো ভালো লক্ষণ নয়। আমার মনে হয় ব্রজলীলা শীঘ্রই দেহত্যাগ করতে যাচ্ছেন।”
মহারাজ তাড়াতাড়ি বিছানার পাশে গিয়ে ব্রজলীলার এক কর্ণে এবং অন্য কর্ণে গান্ধবিকা হরিনাম করছিলেন। মানসী গঙ্গা ব্রজলীলার সম্মুখে শ্রীশ্রী রাধা-শ্যামসুন্দরের চিত্রপট ধরেছিলেন। ইতোমধ্যে অন্যান্য ভক্তরা কক্ষে প্রবেশ করে কীর্তন করতে লাগলেন। হঠাৎ ব্রজলীলা জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে লাগল। কীর্তন আরো ঘনিভূত হল। মহারাজ তাকে উৎসাহ দিতে লাগলেন, “ব্রজ কীর্তন শ্রবণ কর। ভীত ও আতঙ্কিত হইও না। আমি এখানেই আছি। শুধু তোমার মনকে কৃষ্ণের শ্রীপাদপদ্মে নিবদ্ধ কর এবং তার নাম জপ-কীর্তন কর!” তখন ব্রজলীলা হরিনাম জপ করতে লাগলেন । ব্রজ এ মুহূর্তে ভীত হলেই মহারাজ তাকে পুনরুজ্জীবিত করতেন, “ব্রজ চেষ্টা কর! হরিনাম জপ কর!” তখন তিনি নির্ভীক পুনরায় কীর্তন করতেন। গান্ধবিকা তখন বিছানায় পাশেই অবস্থিত ছোট বেদি থেকে ব্রজলীলায় গোবর্ধন শিলা নিয়ে এসে তার মুখমণ্ডলের সম্মুখে ধরে রাখলেন। ব্রজ তখন চোখ বড় বড় করে নিবিড়ভাবে গিরিরাজের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। তিনি একবার গোবর্ধন শিলা আরেকবার রাধা শ্যামসুন্দরের চিত্রপট দর্শন করছিলেন। মাঝে মাঝে সেই চিত্রপট স্পর্শ করতে চাইতেন।
দেড় ঘণ্টা পর মহারাজ ক্লান্ত হয়ে পড়েন, কিন্তু তখনও তিনি প্রাণপন প্রচেষ্টা করছেন। কীর্তন আরো ঘনিভূত হল। ব্রজের শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুততর হল। হঠাৎ সবাই উপলব্ধি করল ব্রজলীলা যে কোনো মুহূর্তে দেহত্যাগ করবে। মহারাজ রাধাকুণ্ডের পবিত্র জল তার মস্তকে দিলেন। তারপর হঠাৎ ব্রজলীলার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেল। রাধা শ্যামসুন্দরের দিকে তাকিয়ে আরো চারটি গভীর নিঃশ্বাস নেওয়ার পর চলে গেলেন। সেই মুহূর্তে গান্ধবিকা অজ্ঞান হয়ে ভূমিষ্ট হতেই অন্য একজন ভক্ত ধরে ফেললেন।
কীর্তন চলতে লাগল, ব্রজলীলার নাড়ীস্পন্দন পরীক্ষা করে মহারাজ ব্রজলীলার চোখের পাতা বন্ধ করলেন।


 

জানুয়ারী-মার্চ  ২০১৮ ব্যাক টু গডহেড

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।