এই পোস্টটি 20 বার দেখা হয়েছে
গত ডিসেম্বরে ব্যাঙ্গালুরুতে তিনদিন ব্যাপী সৃষ্টিতত্ত্ব বা Cosmology বিষয়ের উপর একটি বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যার আয়োজক হলেন শ্রীনিবাস জ্যোতিষ বিজ্ঞান রিসার্চ ফাউন্ডেশন, শ্রীরঙ্গম, তামিলনাডু। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হল Global Conference on comologies perspectives of the universe.’ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় NIAS (National institute of advanced studies) এর অডিটরিয়ামে। এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে ভারতের সব খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা।
যাদের মধ্যে ইস্কনের ভক্তিবেদান্ত ইনস্টিটিউট থেকেও কতিপয় বিজ্ঞানী আমন্ত্রিত হয়। ইস্কনের হয়ে অংশগ্রহণ করেন বাসু ঘোষ দাস (ইস্কন বারোদার প্রেসিডেন্ট), রসরাজ দাস (প্রফেসর রবি গোমতাম, পরিচালক, ভক্তিবেদান্ত ইনস্টিটিউট) এবং অন্তরদ্বীপ দাস্ (ভক্তিবেদান্ত একাডেমী, শ্রীধাম মায়াপুর)। বিজ্ঞানী রসরাজের বক্তৃতার বিষয় ছিল ‘পৌরানিক সৃষ্টিতত্ত্বকে বৈজ্ঞানিক পন্থায় উপলব্ধির ক্ষেত্রে মহাকাশের নতুন গাণিতিক ধারণার সম্ভাবনা।’ তিনি ভাগবতে সৃষ্টিতত্ত্ব বিষয়ক বর্ণনা দিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেন। যাতে তিনি বর্ণনা করেন বৈদিক শাস্ত্র মতে হিমালয়ের উচ্চতা ৮০ হাজার মাইল পর্যন্ত। তারপর তিনি সম্মেলনে তার নিজস্ব উদ্ভাবিত নতুন কিছু তত্ত্ব উপস্থাপন করবেন যেটিকে পদার্থ বিজ্ঞানে বলা হয় Microscopic Quantum Mecanics (MQM)।
যার মাধ্যমে মহাকাশ সম্পর্কিত নতুন ধারণা পাওয়া যায় এবং এ ব্যাপারটি আধুনিক বিজ্ঞান এবং ভাগবতের বর্ণনার সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। বাসু ঘোষ দাস্ ভাগবতের আলোকে বিশ্বতত্ত্ব এবং মায়াপুরে নির্মিতব্য বৈদিক প্ল্যানেটেরিয়াম মন্দির নির্মাণ বিষয়ে বৈদিক কসমোলজির বর্ণনা দেন। এ বিষয়ের উপর প্রায় ৬০টি স্লাইড প্রদর্শনের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেন। এর বাইরেও ইস্কন বিজ্ঞানী ‘বিগ ব্যাং’ তত্ত্বের ভ্রান্ত বিষয়েও তুলে ধরেন। তবে সব কিছু ছাপিয়ে সম্মেলনে মায়াপুরের বৈদিক প্ল্যানেটেরিয়াম সবার আকর্ষনে পরিণত হয়। কেননা আধুনিক বিজ্ঞানের বাইরেও বৈদিক বিজ্ঞান ব্যবহার করে নির্মিতব্য এ মন্দিরটি ভবিষ্যতে বিশ্বের একমাত্র আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু হতে যাচ্ছে।
হরে কৃষ্ণ