এই পোস্টটি 484 বার দেখা হয়েছে
পুতনা ছিলেন বকাসুরের বোন, যিনি একসময় পক্ষীরূপ ধারণ করে কৃষ্ণকে হত্যা করতে এসেছিলেন। তার ভ্রাতার মতো পুতনাও একটি পক্ষীরূপ ধারণ করে ব্রজে প্রবেশ করেছিলেন। হরিবংশ পুরাণে (২/৬/২২-২৩) বর্ণিত আছে: “একসময়, মধ্য রাত্রিতে কংসের ধাত্রি ভয়ংকর পুতনা রাক্ষসী, যিনি কারো জন্য ভীতি সঞ্চার করতে পারেন এবং স্ব ইচ্ছায় বিভিন্ন রূপ ধারণ করতে সক্ষম ছিলেন, তিনি পক্ষীরূপ ধারণ করে ক্রোধান্বিতভাবে ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে ব্রজে প্রবেশ করেছিলেন।” “ব্রজে প্রবেশ করে মধ্যরাত্রীতে তিনি একটি ব্যঘ্রের ন্যায় পুনঃ পুনঃ তর্জন-গর্জন করে পুতনা একটি নারীরূপ পরিগ্রহ করলেন। যখন ব্রজের বাসিন্দারা সবাই নিদ্রামগ্ন ছিলেন তখন তিনি একটি ঠেলাগাড়ির চাকার নিচে শুয়ে ছিলেন এবং অতঃপর তার স্তন পানের জন্য কৃষ্ণের কাছে তা নিবেদন করলেন।” (হরিবংশ পুরাণ (২/৬/২৪-২৫)
শ্রীমদ্ভাগবতে আবার বর্ণনা রয়েছে পুতনা নন্দ মহারাজের গৃহে প্রবেশ করেছিলেন কৃষ্ণের কাছে যাওয়ার জন্য। অপরদিকে হরিবংশ পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ (৫ম স্কন্ধ, ৫ম অধ্যায়) এবং ব্রহ্ম পুরাণে (৭৫/৬-২২) বলা হয়েছে যে, পুতনা একটি ঠেলাগাড়ির নিচে এসেছিলেন। হরিবংশ পুরাণে (২/১০১/৩০-৩২) এ আরও বলা হয়েছে: “যখন শিশু কৃষ্ণ একটি ঠেলাগাড়ির নিচে একটি দোলনাতে ঘুমাচ্ছিলেন, তখন পুতনা রাক্ষসী যিনি একটি পক্ষীরূপ পরিগ্রহ করতে পারতেন, তিনি তাঁকে হত্যা করতে এসেছিলেন। তিনি তার বিষমাখা স্তন শিশু কৃষ্ণকে দান করেছিলেন, কিন্তু কৃষ্ণ তাকে হত্যা করেছিলেন। ব্রজের বাসিন্দারা পুতনাকে দর্শন করেছিলেন যিনি ছিলেন দেখতে ভয়ংকর, সুবিশাল ও শক্তিশালী। তিনি বনের মধ্যে মৃত হয়ে শুয়েছিলেন। কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ সম্পূর্ণ নিরাপদ ছিলেন এবং সবাই তাকে অধোক্ষজ বলে অভিহিত করেন যা উল্লেখ করে যে, যিনি ঠেলাগাড়ির নিচে অন্য আরেকটি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।”