এই পোস্টটি 103 বার দেখা হয়েছে


শ্রীকৃষ্ণের বাঁশী বহু রকমেরঃ
১। বেণু : ছয় ইঞ্চি দীর্ঘ।
অঙ্গুষ্ঠের মতো মোটা। ছয়টি ছিদ্র থাকে। বেণুর নাম ‘মদনঝকৃতি’। সথাদের এটি খুব প্রিয়।
৩। বংশী : বংশীর অর্ধআঙ্গুল অন্তর আটটি স্বরছিদ্র। দেড় আঙ্গুল ব্যবধানে একটি মুখরন্ধ্র। মাথার দিকে চার আঙ্গুল ও পুচ্ছের দিকে তিন আঙ্গুল মোট নয়টি ছিদ্রযুক্ত। সতেরো আঙ্গুল পরিমাণ লম্বা। বাঁশের তৈরি। বংশীর নাম ‘ভুবনমোহিনী’। ৪। মহানন্দা : বংশীর মুখছিদ্র থেকে স্বরছিদ্রের মাঝের ব্যবধান দেড় আঙ্গুল না হয়ে দশ আঙ্গুল পরিমাণ থাকে, সেই বংশীকে ‘মহানন্দা’ বা ‘সম্মোহিনী’ বলে। এটি মণিমাণিক্য দিয়ে খচিত। মহানন্দার ধ্বনি রাধারাণীর চিত্ত হরণ করে।
৫। আকর্ষণী : বংশীর মুখছিদ্র থেকে স্বরছিদ্রের মাঝের ব্যবধানটি বারো আঙ্গুল পরিমাণ হলে সেই বংশীকে ‘আকর্ষণী বলে। এটি সোনার তৈরি ।
৬। আনন্দিনী : বংশীর মুখছিদ্র থেকে স্বরছিদ্রের মাঝের ব্যবধান চৌদ্দ আঙ্গুল পরিমিত হলে সেই বংশীকে ‘আনন্দিনী’ বলা হয়। একে ‘বংগুলী’ ও বলে। বাঁশের তৈরি। এর ধ্বনি গোপবালকদের অত্যন্ত প্রিয়। রূপ গোস্বামী বর্ণনা করেছেন, শ্রীকৃষ্ণ যখন অধরে বাঁশী তুলে বাজাতে থাকেন, তখন বাঁশী শ্রীকৃষ্ণের দন্তকান্তিতে স্ফটিকের মতো রূপ প্রাপ্ত হয়, শ্রীকৃষ্ণের রক্তবর্ণ হাতের সংস্পর্শে বাঁশী পদ্মরাগমণির মতো শোভা লাভ করে, শ্রীকৃষ্ণের নীলকমলের মতো গুগণ্ডপ্রান্তে লগ্ন হয়ে বাঁশী ইন্দ্রনীল মণির মতো কান্তি বিস্তার করে। এভাবে কৃষ্ণবংশী তিন রকমের রত্নের ভ্রম জন্মায়। বৃন্দাদেবীর উক্তি ‘সমস্ত জগতের সঙ্গীত পদ্ধতির প্রথম আবাসস্থল হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের বাঁশী।’ হরেকৃষ্ণ!