এবার ক্যান্সার প্রতিরোধে গোবর

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০১৮ | ১২:০৬ অপরাহ্ণ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৮ | ১২:০৬ অপরাহ্ণ

এই পোস্টটি 1238 বার দেখা হয়েছে

এবার ক্যান্সার প্রতিরোধে গোবর

গাভীর দুধ এবং মূত্র যে আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী দ্রব্য তা গবেষকদের গবেষণায় ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। অনেক আগেই ‘চৈতন্য সন্দেশ’ পত্রিকায় এ নিয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছিল। এখন শুধুমাত্র বাকি রইল গাভীর গোবর। যে গাভীর এতগুলো গুণাবলীর অধিকারী হতে পারে সেখানে তার গোবরের কোন গুণাবলীই থাকবে না তা কি কখনো হয়? আর তাই গাভীর মল বা গোবর নিয়েই গবেষণায় নেমে পড়েছে সারাবিশ্বের অনেক বিজ্ঞানীরা। অবশ্য এ তথ্য অনেক আগেই বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করেছেন যে, গোবর হল একটি সম্পূর্ণ জীবাণুনাশক দ্রব্য। যে কথা হাজারো বছর আগের বৈদিক শাস্ত্রে ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই বিশেষত গ্রামাঞ্চলে এখনও অনেক মাটির ঘরে দেখতে পাওয়া যায় কিভাবে গৃহস্থরা তাদের ঘরগুলোতে প্রতিদিন গোবর ব্যবহার করে। এ প্রথা অনেক আগের থেকে প্রচলন ছিল। গোবর সম্পর্কে এসব তথ্য কম বেশি সবারই জানা। তবে গোবর সম্পর্কিত সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক গবেষণায়। আর সেটি হল গোবর মানুষের ক্যান্সার প্রতিরোধেও সক্ষম। বিষয়টি অনেকটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও বিশ্বখ্যাত নিউ সাইন্টিস্ট ম্যাগাজিন কিন্তু তাই বলছে। বিজ্ঞানসম্মত এ ম্যাগাজিনটির এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয় যে, গোবর কিভাবে ফুসফুসের ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সারের মত ভয়াবহ রোগের উপযুক্ত প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পরে। শুধু তাই নয় হতে আরও তুলে ধরা হয়েছে, আপনার যদি টিউমার, লিম্ফোমা এবং মেলানোমা নামক ভয়ংকর রোগও থেকে থাকে তাহলে আপনার সেরে উঠার জন্যই এটি প্রতিরোধকারী দ্রব্য। বিজ্ঞানীদের দাবী যেসব কৃষকরা গাভীর প্রতিপালন করে থাকে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণ জণগণদের থেকে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। এতেই চমকে শেষ নয়, তারা শুকনো গোবর নিয়ে যে তথ্য দিয়েছে আশা করি তা জানার পর এখন থেকেই অনেকেই আধুনিক চুলো ছেড়ে গোবরের গুটি দিয়ে রান্নাবান্না শুরু করে দিতে পারে। কেননা, বিজ্ঞানীদের মতে যেসব কৃষকরা গো-খামারে কাজ করে তাদের শ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে প্রায়ই শুকনো গোবরের গন্ধ প্রবেশ করে। ফলশ্রুতিতে এরই সঙ্গে গোবরের কতগুলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া তাদের শরীরে প্রবেশ করে যা ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেকটাই সহায়তা করে। গোবরে যে সমস্ত জীবাণু বিদ্যমান তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর তাই নিউ সাইন্টিস্ট ম্যাগাজিনে সাধারণ জনগণদের আমন্ত্রণ জানানো হয় যে, “যদি লোকেরা সুস্বাস্থ্যসম্মত এবং যে কোন ধরনের ইনফেকশন মুক্ত জীবন যাপন করতে চায় সেক্ষেত্রে গরুর গোবর হল সবচেনামক ওয়েলিংটনের মালাহান ইনস্টিটিউট অফ য়ে উপকারী দ্রব্য। এদিকে মাই ব্রীজ মেডিকেল রিসার্চের একজন বিজ্ঞানী এ বিষয় নিয়ে নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড সংবাদপত্রে তার অভিমত পেশ করেন। তিনি বলেন, এ খবর নিশ্চয়ই একটি আশ্চর্যপদ খবর বটে, তবে আমি মনে করি “নিউজিল্যান্ডের খামার কৃষকদের চেয়ে ইউরোপিয়ান খামারগুলো কৃষকরাই এ সুবিধাটি বেশি পাবে কেননা তাদের খামারগুলো নিউজিল্যান্ডের খামারগুলোর চেয়ে অধিক সুসঙ্গত।” এক্ষেত্রে তিনি পরোক্ষভাবে গরু তথা গাভীর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরে সবাইকে গো-পরিচর্যা ও রক্ষণবেক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। সুতরাং গাভী মাতাকে সুষ্ঠভাবে লালন পালনের প্রতি সবারই গুরুত্ব আরোপ করা উচিত এবং আমাদের সবারই একান্ত কাম্য যেন অধিক হারে গো-খামার গড়ে উঠে। এক্ষত্রে গোবর সম্পর্কিত বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্দ এসব তথ্যসমূহ থেকে প্রত্যেক কৃষকরা আরো বেশি গাভী পালনের প্রতি উৎসাহী হয়ে উঠবে এটি কাম্য। সূত্রঃ নিউজিল্যান্ড প্রেস এসোসিয়েশন। হরে কৃষ্ণ ॥

(মাসিক চৈতন্য সন্দেশ নভেম্বর ২০০৯ সালে প্রকাশিত)

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।