সুখের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা কি ভুল?

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২০ | ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ | ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 577 বার দেখা হয়েছে

সুখের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা কি ভুল?
আমাদের জন্য যে সুখের মান উপযুক্ত তা জড় কার্যাবলী থেকে প্রাপ্ত সুখ থেকে ভিন্ন

শ্রীপাদ রাধেশ্যাম দাস 

সুখের জন্য উচ্চাকাঙ্খা স্বাভাবিক, কিন্তু বৈজ্ঞানিক আয়োজনের দ্বারা জড় বস্তু থেকে সুখ অর্জনের প্রয়াস একটি মোহময় প্রচেষ্টা যা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। কৃষ্ণভাবনাময় অনুশীলনের মাধ্যমে পরমেশ্বর ভগবানের কর্তৃত্ব স্বীকার করার দ্বারা এবং তাঁর প্রতি সেবা নিবেদন করে প্রকৃত সুখ অর্জন করা যায়।
এই জড় জগতে প্রত্যেক জীব সর্বোচ্চ স্তরের সুখ লাভের বাসনা করে। তবুও প্রত্যেকেই অসুখী। আমরা জীবনের ব্যাপ্তিকাল এবং মান বাড়াতে পারি তথাপি জড়া প্রকৃতির আইনের দ্বারা আমরা সকলেই অসুখী হবো। কারণ আমাদের জন্য যে সুখের মান উপযুক্ত তা জড় কার্যাবলী থেকে প্রাপ্ত সুখ থেকে ভিন্ন।
জীব সচ্চিদানন্দময় বিগ্রহ ভগবানের চিন্ময় শক্তির একটি ক্ষুদ্র অংশ। তাই তার আনন্দ উপভোগের বাসনা রয়েছে যা গুণগতভাবে চিন্ময়। দুর্ভাগ্যবশতঃ সে এখন জড়া প্রকৃতির অপরিচিত পরিবেশ থেকে ব্যর্থভাবে সুখ উপভোগের চেষ্টা করছে। কোন মাছকে জল থেকে তুলে এনে সুখ প্রদানের সকল প্রকার আয়োজন করা হলেও সে সুখী হতে পারবে না। আপনি তাকে টিভি, ফ্রিজ, এসি কক্ষ এবং সুন্দর আহার্য প্রদান করতে পারেন। কিন্তু তাকে জলে না রাখলে সে সুখী হতে পারবে না। তদ্রুপ জীবন এই জড় জগতে তার বিভ্রান্ত মস্তিষ্কে যেকোন প্রকার পরিকল্পনার মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে সুখী হতে পারে না। তাকে একটি ভিন্ন প্রকৃতির সুখ প্রদান করতে হয় যা চিন্ময়। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত চিন্ময় আনন্দ উপভোগ করা এবং অনিত্য সুখ বর্জন করা।
আমরা যদি সুখ অর্জন করতে চাই তাহলে প্রকৃত সুখ কি সে সম্পর্কে আমাদের কিছু জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এক মূর্খ লোকের গল্প রয়েছে যে কখনো আখ খায়নি। সে যখন তার বন্ধুকে আখের বৈশিষ্ট্যসমূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল বন্ধু তাকে বলেছিল আখ দেখতে বাঁশের মতো। পরবর্তীতে সে বাঁশ থেকে রস আহরণ করতে শুরু করেছিল কিন্তু সে তার প্রয়াসে ব্যর্থ হয়েছিল। মোহিত জীবের এই হচ্ছে অবস্থা। সে নিত্য সুখের সন্ধানে রয়েছে। সে জড় জগৎ থেকে সুখ আহরণের চেষ্টা করে যা কেবল দুঃখপূর্ণই নয় বরং চপল এবং অজ্ঞানতাপূর্ণ।

জড় সুখ-দুঃখের ক্ষণস্থায়ী প্রশমন

সমস্ত বিশ্বই জড় সুখের পেছনে ছুটছে, বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও বাস্তবতা এটাই যে, এই জগতে সুখ নেই। দুঃখালয়ম অশাশ্বতম্-সুখ বলে যা মনে হয়, তা হচ্ছে দুঃখের ক্ষণস্থায়ী প্রশমন। যেমন, পূর্বে জমিদারের পেয়াদারা চোর হতে সত্য কথা বের করার জন্য তাকে একটি কাঠে উল্টো করে বেঁধে জলে চুবাতো। কিছু সময় পর তাকে জল থেকে তুলত। চোর তখন একটু শ্বাস নিয়ে ক্ষনিক শান্তি অনুভব করত। তাকে পুনঃপ্রশ্ন করার পর আবারো জলে চুবাতো। তদ্রুপ এই জড় জগতে আমরা দুঃখের মধ্য হতে ক্ষুদ্র পরিত্রাণ লাভ করি।
কেউ যদি নিজেকে পর্যবেক্ষণ করে তবে সে দেখবে দুঃখকে নিবৃত্ত করার জন্যই মানুষের সকল প্রয়াস। কেউ যদি সাফল্যের সাথে দুঃখকে নিবৃত করতে পারে তবে তাকেই সে ‘সুখ’ বলে মনে করে। এখানে প্রকৃত কোনো সুখ নেই। বোম্বে শহরের খুব ভীড় করা রেলের দৃষ্টান্ত গ্রহণ করা যাক। রেলওয়ের প্লাটফর্মে দাঁড়ালে তুমি লোক ভর্তি তিনটি ট্রেনকে একের পর এক অতিক্রম করতে দেখবে। নিজেকে তখন আশ্রয়হীন বলে মনে হবে। যাহোক, লোকের ধাক্কায় চতুর্থ ট্রেনে একটি ক্ষুদ্র বসার স্থান পেলে তুমি ‘সুখ’ অনুভব করবে। কিছু সময় পর সৌভাগ্যবশতঃ জানালার পাশের আসন পেলে তুমি ‘খুব সুখ’ অনুভব করবে। কিন্তু পার্শ্ববর্তী লোকের দ্বারা তোমাকে ক্রমাগত পিষ্ট হতে হবে তারপর পরবর্তী জংশনে লোকের ভিড়ে কিভাবে নামবে তা নিয়ে উদ্বেগ শুরু হবে। তাই প্রতি পদক্ষেপেই দুঃখের সাময়িক নিবৃত্তিকে সুখ বলে মনে করা হয়।

অর্থের মাধ্যমে সুখ অন্বেষণ

সকলেই অর্থের পেছনে ধাবমান কারণ সেটিই ইন্দ্রিয়তৃপ্তির জন্য বস্তুসমূহের বিনিময়ের মাধ্যম। নিঃসন্দেহে এরূপ প্রতিযোগিতাময় পরিবেশে শান্তির প্রয়াস একটি দিবাস্বপ্ন। গগনচুম্বী কার্যালয়ের সর্বোচ্চ নির্বাহী থেকে রাস্তার কুলি পর্যন্ত সকলেই বৈধ অথবা অবৈধভাবে সম্পদ সঞ্চয়ের ভাবনায় মহাব্যস্ত। প্রকৃতপক্ষে কারো স্বার্থে কাজ করা একই সাথে বেআইনি এবং ধ্বংসাত্মক।
যারা পরমেশ্বর ভগবানের প্রীতিময় সেবায় নিয়োজিত নয় তারা ভাবে তারা দিনের পর দিন যে অর্থ সঞ্চয় করছে যা ভবিষ্যতে তাদের জন্য সুখ আনতে যাচ্ছে। কৃষ্ণ গীতায় বলেছেন-আসুরিক লোকেরা ভাবে, আজকে আমার এত ধন রয়েছে এবং আমার পরিকল্পনা অনুসারে আমি আরো বেশী ধন অর্জন করব। এখন আমার অনেক কিছু রয়েছে এবং তা ভবিষ্যতে আরো বেশী বেশী বৃদ্ধি পাবে। (গীতা ১৬/১৩) কাম এবং ক্রোধের শত সহস্র বাসনার দ্বারা আবদ্ধ হয়ে তারা ইন্দ্রিয়তৃপ্তির জন্য অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে (গীতা ১৬/১)।

সুখকে মূল্যায়ণ করার জন্য জীবনের একটি অংশ হিসেবে দুঃখের প্রয়োজন রয়েছে কি?

কিছু লোক তর্ক করে-এই জগতে যে দুঃখ রয়েছে সে ব্যাপারে আমরা একমত। কিন্তু দুঃখের মধ্যে ভুল কোথায়। দুঃখ থাকলেই আমরা কেবল সুখের অনুভব করতে পারি। যদিও এই জগতে কেবল দুঃখই রয়েছে। কেবল সুখ থাকলে আমরা সুখের মূল্য জানতে পারব না। আপনি কি মনে করেন এটি সত্য? প্রকৃত সুখ আস্বাদনের জন্য আপনার কি কিছু দুঃখ প্রাপ্ত হওয়া প্রয়োজন?
দৃষ্টান্তস্বরূপ একটি কৌতুক উল্লেখযোগ্য। একবার এক ব্যক্তি দেয়ালে তার মস্তক পুনঃপুন আঘাত করছিল। কেউ তাকে জিজ্ঞাসা করল কেন সে এমন করছে? উত্তরে সে বলল, আমার মাথায় আঘাত না করলে আমি সুখ পাই না। তাই সুখ পাওয়ার জন্য তাকে বারংবার মাথায় আঘাত করতে হয়।
একজন কাঠ ব্যবসায়ী যদি জানতে পারেন তার দোকানে যেকোন সময় অগ্নি দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। যদি কখনো এরূপ দূর্ঘটনা ঘটে সেজন্য তিনি নিঃসন্দেহে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখবেন। সে কখনো অর্থ হারানোর অভিজ্ঞতা লাভ করতে চাই না। যদি চাই, তবে তা হবে মূর্খতা। কেউই দুঃখ পেতে চায় না। বাস্তবে, এই জগতের সকলেই এমন একটি জীবনের জন্য কাজ করছে, তাদের দুঃখ থাকবে না। মূর্খ লোকেরই কেবল আধ্যাত্মিক সমাধানকে অবহেলা করে। এমনকি এই জগতে যারা সুখ এবং দুঃখ উভয়ই অনুভব করছে কাল তাদেরকে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য অনুভব করতে দেয় না। এটি বিজ্ঞতার সাথে স্মরণ রেখে আধ্যাত্মিক সমাধান গ্রহণ করা উচিত।

জড় সুখ ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিপদজ্জনক

জীব একজন বণিকের মতো বসবাসের জন্য প্রকৃতির বিভিন্ন প্রাণীতে পূর্ণ একটি বনে প্রবেশ করছে। মূল্যবান কাঠ এবং বালি বিক্রয় করে অথবা অন্যান্য উপায়ে অর্থোপার্জনের সন্ধানে সে তার জীবনের ঝুঁকি গ্রহণ করছে। তদ্রুপ জড় জগৎ সুখ ভোগের একটি অরণ্যের মতো যেখানে জীবন ভগবানের সেবক হিসেবে তার আদি পরিচয় সম্পূর্ণভাবে বিস্মৃত হয়ে সংগ্রামে রত হয়।
প্রহ্লাদ মহারাজ তার আসুরিক সহপাঠীদের নিকট প্রচারের সময় বলেছিলেন, অর্থ এত প্রিয় যে কেউ অর্থকে মধুর চেয়েও মধুরতর বলে মনে করে। সেজন্য, বিশেষতঃ গৃহস্থ জীবনে অর্থ সঞ্চয়ের বাসনাকে বর্জন করতে হয়। চোর, সৈনিক এবং বণিকেরা এমনকি তাদের প্রিয় জীবন দিয়ে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করে। (শ্রীমদ্ভাগবত ৭/৬/১০)


চোরেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কারো গৃহে প্রবেশ করে। এতে তারা আক্রান্ত হতে পারে, এমনকি জীবনও নাশ হতে পারে। কেবল অর্থোপার্জনের জন্যই তারা জীবনের ঝুঁকি গ্রহণ করে। তদ্রুপ, একজন সৈনিক যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি সত্ত্বেও সে যুদ্ধ করে। তেমনই বণিকেরা নৌকায় করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক দেশ হতে আরেক দেশে যায় অথবা মুক্তা এবং মূল্যবান রত্ন সংগ্রহের জন্য জলে ডুব দেয়। সেজন্য এটি ব্যবহারিকভাবে প্রমাণিত এবং প্রত্যেকেই স্বীকার করবে-মুদ্রা মধুর থেকেও মধুরতর।
অর্থোপার্জনের জন্য কেউ ঝুঁকি গ্রহণ করতে পারে এবং গৃহস্থ জীবনের প্রতি অত্যধিক আসক্ত ধনী ব্যক্তিদের জন্য এটি বিশেষভাবে সত্য। অতীতে অবশ্য উচ্চবর্ণের লোকেরা (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্যরা) ব্রহ্মচর্য এবং যোগ অনুশীলনের দ্বারা গুরুকুলে প্রশিক্ষণ শেষে গৃহস্থ জীবনে প্রবেশ করতো। এভাবে অতিমাত্রায় লোভের পরিবর্তে জীবনধারণের জন্য যা প্রয়োজন কেবল তা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া উচিত।

কৃষ্ণের প্রতি ভক্তি অর্জনের জন্য কি করতে হয়?

দু’টি ভিন্ন ভক্তিযোগের প্রক্রিয়া আছে-বৈধী ভক্তি এবং রাগানুগা ভক্তি। রাগানুগা ভক্তি পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্য, যারা অপ্রাকৃত প্রীতির দ্বারা আসক্তি বিকশিত করেছেন তাদের জন্য এবং অন্যটি যারা অপ্রাকৃত প্রেমের দ্বারা পরম পুরুষের জন্য আসক্তি বিকশিত করেনি তাদের জন্য।
দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন বিধি নিষেধ রয়েছে যা অনুসরণ করে কেউ চরমে কৃষ্ণের প্রতি আসক্তির স্তরে উন্নীত হতে পারে। ভক্তিযোগ হচ্ছে ইন্দ্রিয়সমূহের পরিশোধন। বর্তমানে জড় অস্তিত্বে ইন্দ্রিয়সমূহ সর্বদাই অশুদ্ধ অর্থাৎ ইন্দ্রিয়তৃপ্তিতে নিয়োজিত। কিন্ত ভক্তিযোগের অনুশীলনের দ্বারা এই ইন্দ্রিয়সমূহ পরিশোধিত হতে পারে এবং পরিশোধিত অবস্থায় তারা সরাসরি ভগবানের সাথে সংযুক্ত হয়।
জড় অস্তিত্বে আমি কোনো মালিক বা প্রভুর সেবায় নিয়োজিত থাকতে পারি। কিন্তু আমি প্রকৃতপক্ষে প্রীতিসহকারে আমার প্রভুর সেবা করি না। কেবল কিছু অর্থ উপার্জনের জন্য আমি সেবা করি। মালিকও প্রীতির মধ্যে নেই। তিনি আমার থেকে সেবা গ্রহণ করেন এবং আমাকে বেতন দেন। তাই সেখানে প্রীতির কোনো প্রশ্নই নেই। কিন্তু আধ্যাত্মিক জীবনের জন্য শুদ্ধ প্রেমের স্তরে উপনীত হতে হয়। বর্তমান ইন্দ্রিয়সমূহের দ্বারা ভক্তিমূলক সেবার অনুশীলন করে প্রেমের সেই স্তর অর্জন করা যায়। এই ভগবৎপ্রেম এখন সবার হৃদয়ে সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে এবং ভগবৎপ্রেম ভিন্ন উপায়ে প্রকাশিত হলেও জড় সঙ্গের কারণে তা দূষিত হয়ে গেছে। এখন হৃদয়কে জড় সঙ্গ থেকে পরিশুদ্ধ করতে হবে এবং কৃষ্ণের প্রতি সুপ্ত ও স্বাভাবিক প্রেম পুনঃজাগরিত করতে হবে। এটিই হচ্ছে সামগ্রিক প্রক্রিয়া।

এই জগতে কিভাবে সুখী হতে হয়?

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় (৫/২৩) বলেন, “এ দেহ ত্যাগের পূর্বে কেউ যদি জড় ইন্দ্রিয়ের বেগসমূহ সহ্য করতে সক্ষম হয় এবং বাসনা ও ক্রোধের শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তিনি এই জগতে সুখী হন।” কেউ যদি আত্মোপলব্ধির পথে প্রগতি সাধন করতে চান তাকে জড় ইন্দ্রিয়সমূহের বেগকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে। বাক্যের বেগ, ক্রোধের বেগ, মনের বেগ, উদরের বেগ, জিহ্বা ও উপস্থের বেগ রয়েছে। যিনি এই বেগসমূহ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন তাকে স্বামী বা গোস্বামী বলা হয়। সেজন্য এই দেহ ত্যাগের পূর্বেই তা নিয়ন্ত্রণের প্রয়াস করা উচিত। যিনি এটি অনুধাবন করেছেন তিনিই সুখী হন।

লেখক পরিচিতি: রাধেশ্যাম দাস শ্রীমৎ রাধানাথ স্বামী মহারাজের শিষ্য। ভয়েস এর পরিচালক, আই,আই,টি মুম্বাই থেকে এম, টেক ডিগ্রী অর্জন করেন। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, সময় ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি বিষয়ের উপর বিভিন্ন কোম্পানি ও কলেজে সেমিনার প্রদান করেন। যুব উপদেশক এবং পেশাজীবি পরামর্শক। তিনি যুব প্রচারে তাঁর মূল্যবান অবদানের জন্য ইস্‌কন তাঁকে ২০০৪ সালে গ্লোবাল এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।

সূত্র:ব্যাক টু গডহেড (এপ্রিল – জুন) 
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ ও ব্যাক টু গডহেড এর ।। গ্রাহক ও এজেন্ট হতে পারেন
প্রয়োজনে : 01820-133161, 01758-878816, 01838-144699
সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।