শ্রীনিত্যানন্দের আবির্ভাব (পর্ব-১)

প্রকাশ: ৩ আগস্ট ২০২০ | ৫:২২ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ৩ আগস্ট ২০২০ | ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 506 বার দেখা হয়েছে

শ্রীনিত্যানন্দের আবির্ভাব (পর্ব-১)

একচক্রাধামে শ্রীনিত্যানন্দের আবির্ভাবের পূর্বাভাস সম্পর্কে শ্রীনরহরি চক্রবর্তী ঠাকুর “শ্রীভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের দ্বাদশ তরঙ্গে বলেছেন- দ্বাপর যুগের শেষে কুন্তীদেবীসহ পঞ্চপাণ্ডব ভ্রমণ করতে করতে রাঢ়দেশে প্রবেশ করে একচক্রা নামক গ্রামে কিছুকাল অবস্থান করেছিলেন। তাঁরা একচক্রা গ্রামে নির্জনে মহানন্দে অবস্থান করে একচক্রা ভূমির মনোহর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দর্শন করে মুগ্ধ হন। যুধিষ্ঠির মহারাজ মনে মনে বিচার করলেন অনেক দেশে ভ্রমন করে দর্শন করেছি কিন্তু একচক্রা ভূমির ন্যায় পরম সৌন্দর্য কোথাও মন আকৃষ্ট হয় নাই। তাই মনে হয় এই একচক্রা ভূমি শ্রীভগবানের লীলাস্থলী। শ্রীভগবান কৃপা করে যদি এই স্থানে মহিমা প্রকাশিত করেন তবেই এই ভূমির মহিমা জানা যেতে পারে। এভাবে মনে বিচার করতে করতে রাত্রি যখন প্রায় শেষ হয়ে আসল তখন শ্রীকৃষ্ণের কৃপায় নিদ্রা যুধিষ্ঠির কৃপায় নিদ্রা যুধিষ্ঠির মহারাজকে আকর্ষণ করল। তখন রোহিণী নন্দন শ্রীবলরাম একচক্রা গ্রামে যুধিষ্ঠির মহারাজকে রাত্রে স্বপ্ন যোগে দর্শন দিয়ে নবদ্বীপে মহাপ্রভু শ্রীগৌরাঙ্গের আবির্ভাব এবং একচক্রা গ্রামে তিনি স্বয়ং শ্রীনিত্যানন্দরূপে যে আবির্ভূত হবেন তার ইঙ্গিত দিয়ে ভগবদ্ধাম  শ্বেতদ্বীপের দর্শন প্রদান করে অন্তর্হিত হন। প্রাতঃকালে নিদ্রাভঙ্গ হলে যুধিষ্ঠির মহারাজ তাঁর ভ্রাতাদের নিকট রাত্রির স্বপ্নকথা প্রকাশ করেন।
কলিযুগের প্রথম সন্ধ্যায় শ্রীবলরামই শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু নামে বীরভূম জেলার ঐ একচক্রা গ্রামে ১৩৯৫ শকাব্দে মাঘ মাসে শুক্লা ত্রয়োদশী তিথিতে (১৪৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ১২ জানুয়ারী) মধ্যাহ্ন সময়ে আবির্ভূত হন। তাঁর পিতার নাম শ্রীমুকুন্দ বন্দোপাধ্যায়। সমাজে তিনি হাড়াই পণ্ডিত বা হাড়ো ওঝা নামে পরিচিত ছিলেন। পিতামহের নাম সুন্দরামল্ল নকড়ি বাড়ুরী। শ্রীনিত্যানন্দের পিতৃপুরুষ শাণ্ডিল্য গোত্রীয় রাঢ়ী শ্রেণীর ব্রাহ্মণ। শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর মাতার নাম শ্রীমতী পদ্মাবতী দেবী। মাতামহ ছিলেন ময়ূরেশ্বরের রাজা মুকুট নারায়ণ রায়। শ্রীগৌরগণোদ্দেশ দীপিকার মতে, পূর্ব অবতারের বসুদেব ও দশরথের মিলনে হাড়াই পণ্ডিত বা শ্রীমুকুন্দ বন্দোপাধ্যায় আবির্ভূত হন। রোহিণী ও সুমিত্রা মিলনে শ্রীমতী পদ্মাবতী দেবী আবির্ভূতা হন। হাড়াই পণ্ডিতের সাত পুত্র ছিলেন- নিত্যানন্দ, কৃষ্ণানন্দ, সর্বানন্দ, ব্রহ্মানন্দ, পূর্ণানন্দ, প্রেমানন্দও বিশুদ্ধানন্দ। নিত্যানন্দ ছিলেন সর্ব জ্যেষ্ঠ।

সূত্র: মাসিক চৈতন্য সন্দেশ 
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ ও ব্যাক টু গডহেড এর ।। গ্রাহক ও এজেন্ট হতে পারেন
প্রয়োজনে : 01820-133161, 01758-878816, 01838-144699
সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।