বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ | ১:০৬ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ | ১:০৬ অপরাহ্ণ

এই পোস্টটি 64 বার দেখা হয়েছে

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন
পরিবেশ রক্ষায় মাংসাহার ত্যাগ করুন (নিউইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে)
কোপেনহেগেন তখন চলছিল এ জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন। বহু প্রতিক্ষিত এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সারাবিশ্বের বিখ্যাত পরিবেশবিদগণ । সম্মেলনের বাইরে তখন দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে আছেন শত শত লোক। একজন মহিলা একটি প্ল্যাকার্ড হাতে দাড়িয়ে আছেন। সেখানে ভেড়া, গরু ও শূকরের ছবি অংকিত তাতে লেখা আছে “দয়া করে আমাকে খেয়ো না” (Don’t Eat Me)”। মহিলাটি ছিলেন চিং হাই নামক নিরামিষাশী সংগঠনের সদস্যা। তিনি বলেন আমাদের প্রিয় এই পরিবেশের সুরক্ষাকল্পে অহেতুক নিরীহ প্রাণী হত্যা বন্ধ করা উচিত এছাড়া তিনি মাংসবিহীন স্যান্ডউইচ প্রদর্শন করে সম্মেলনকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। অন্যদিকে কোপেনহেগেন সম্মেলনে বক্তাদের মতে বর্তমানে পৃথিবীর জলবায়ুর দ্রুত অবনতির মূল কারণ হচ্ছে মিথেন গ্যাস এবং গ্রীণ হাউস গ্যাস। এই চরম বিষাক্ত মিথেন গ্যাস পরিবেশে উদগীরিত হয় মূলত ডেইরী ফার্ম ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে পশুর মাংস উৎপাদনের সময়। মাংসের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে বিপুল পরিমাণ ডেইরী ফার্ম পশুর মাংস উৎপাদনের ছলে প্রচুর পরিমাণ বৃক্ষ, ঘাস, লতা-পাতা ধ্বংস করছে। একদিকে অধিক পরিমাণ বৃক্ষ ধ্বংস হচ্ছে অন্যদিকে মাত্রাতিরিক্ত গ্রীণ হাউস গ্যাস পরিবেশে মিশছে। মাত্রাতিরিক্ত মিথেন ও গ্রীন হাউস গ্যাস পরিবেশে মিশ্রিত হওয়ায় খুব দ্রুত পরিবেশের বিপর্যয় হচ্ছে। পশ্চিমমাদেশগুলোর মত এবং ভারত, চীন, বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও পরিবেশ বিপর্যয়ের মারাত্মক প্রভাব বিরাজ করছে। এটি সহজেই উপলব্দি করা যায়। যেমন বর্তমানে গ্রীণ হাউস গ্যাস বেড়ে | যাওয়ায় ওজন স্তরে কাটল সৃষ্টি হয়েছে এবং | সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হওয়া শুরু হয়েছে। সাবেক বিটলস ব্যান্ডের সদস্য এবং বর্তমান ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য পল ম্যাকারটনি বলেন “আমাদেরকে মাংস উৎপাদন বন্ধে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে কেননা এতে পানি সরবরাহে বাধা এবং আবাদী জমি মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে।” পল ম্যাকারটনি দীর্ঘদিন যাবদ নিরামিষ আহারের স্বপক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তিনি বেলজিয়াম ও বাল্টিমোর এর উদাহরণ দেন। এই দুটি দেশে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ জনগণ সপ্তাহের একটি দিন তারা নিরামিশাষী দিবস পালন করে। ২০০৭ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের ঘোষিত প্যানেলের পরিচালক রাজেন্দ্র পাচুরী বলেন “মাংস আহারের ফলে পরিবেশের বিপর্যয় সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা খুব কমই দেখা যায়। কিন্তু এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা যদি ভবিষ্যত পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাই তবে আমাদের মাংস আহার পরিত্যাগ করতে হবে। বিখ্যাত “ওয়ার্ল্ড ওয়াচ ম্যাগাজিন” সম্প্রতি এক গবেষণামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তারা তাদের গবেষণায় প্রকাশ করেন যে পৃথিবীর ক্ষতিসাধনে রত ক্ষতিকর গ্যাসের অর্ধেকের উৎপত্তি ঘটছে মাংস উৎপাদনকারী ডেইরী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেই । এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল লাইকষ্টক রিসার্জ ইনস্টিটিউট ও তাদের গবেষনামূলক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, শুধুমাত্র গরুর মাংস উৎপাদনে যতটুকু কার্বনঘটিত বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয় তা দিয়ে যেকোন অঞ্চলের জলবায়ুর পরিবর্তন খুবই সহজ। জলবায়ু সম্মেলনে পরিবেশ রক্ষায় নিরামিষ তথা সবুজ বাদ্য গ্রহণ করার প্রতি জোড় দেয়া হয়েছে। মাংস উৎপাদনের প্রয়াসে কলকারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস উৎপাদনের পরিবর্তে কৃষিকাজের মাধ্যমে উৎপাদিত নিরামিষ খাবার গ্রহনে সকলকে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
হরেকৃষ্ণ। 

চৈতন্য সন্দেশ অ্যাপ ডাউনলোড করুন :https://play.google.com/store/apps/details?id=com.differentcoder.csbtg


 

Hare Krishna Thanks For Reading

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।