ফুটবল খেলোয়াড় এখন কৃষ্ণভক্ত

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০১৮ | ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৮ | ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 1025 বার দেখা হয়েছে

ফুটবল খেলোয়াড় এখন কৃষ্ণভক্ত

সারা কডিংটন ইসক্ন, অকল্যান্ডঃ নিউজিল্যান্ড ইস্কনের কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচার খুব ভালভাবেই অগ্রসর হচ্ছে। কেননা গত বছর নিউজিল্যান্ডের শীর্ষ রাগবী খেলোয়াড় মার্ক এলিস্‌ রাগবী খেলা ছেড়ে দিয়ে কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি মন্দিরে থেকে কৃষ্ণভাবনামৃত দৃঢ়তার সহকারে অনুশীলন করে চলেছেন। তার এ বিশাল পরিবর্তনে নিউজিল্যান্ডের মিডিয়াগুলোতে খুব আলোচিত হয়।কিন্তু তারও পূর্বে হরে কৃষ্ণ সোসাইটিতে যুক্ত হয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল খেলোয়াড় জন হাওয়াই। তিনি বর্তমানে গৃহস্থ জীবনে থেকে কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচার করে চলেছেন ।তার জন্ম মূলত স্কটল্যান্ডে হলেও পরে তিনি নিউজিল্যান্ডে চলে আসেন। নিউজিল্যান্ডে এসে ফুটবল খেলার দিকে ঝোঁক বাড়ে। একসময় মেলবোর্ণ জর্জ ত্রুস ফুটবল দলের হয়ে ফুটবল খেলে যাচ্ছিলেন।হাওয়াই বলেন, ‘‘১৯৭৬ সালে প্রথম যখন মেলবোর্নের রাস্তায় ভক্তরা হেঁটে যাচ্ছিল তখন তাদের প্রতি খুব আকর্ষিত হলাম। তারা তখন হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে এ কীর্তন গাইছিলেন। কিন্তু সেসময় ইস্‌কন সম্পর্কে কতিপয় গুজব রটেছিল। তাই আমিও এ গুজবে প্রভাবিত হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু এরপর একসময় আমার সে ভুল ভাঙে।” হাওয়ায় সে সময় ধীরে ধীরে নিরামিশাষীতে পরিণত হন এবং জীব হত্যার বিরুদ্ধে ছিলেন। একসময় তার স্ত্রী থেরেসের সাথে সাক্ষাত ঘটল। বিয়ে করার পর দু‘জনেই একসঙ্গে হরে কৃষ্ণ ভক্ত হয়ে যান। ধীরে ধীরে ভক্তি জীবনের উন্নতি ঘটলে তারা দীক্ষাপ্রাপ্ত হন। নাম হয় জয় শিলা (জন হাওয়াই) ও বিমলা (থেরেস)। বর্তমানে তারা একসাথে কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচারের জন্য বিসর্জন দিয়েছেন অনেক চাওয়া পাওয়া। ছেড়েছেন প্রিয় ফুটবল খেলাকে। কারণ তারা জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কি সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তাদের এখন একটাই চাওয়া, কৃষ্ণসেবা। তারা সারাজীবন কৃষ্ণ সেবা করে যেতে চান। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বাবা মায়ের সাথে তারাও কৃষ্ণভাবনামৃতকে দৃঢ়ভাবে গ্রহন করেছে। হরে কৃষ্ণ!

(মাসিক চৈতন্য সন্দেশ মার্চ ২০১১ সালে প্রকাশিত)

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।