এই পোস্টটি 541 বার দেখা হয়েছে
প্রতিদিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ উদিত সূর্যের পূজা করতেন এবং তাঁর অংশভূত দেবতা, ঋষি ও পিতৃপুরুষদের তর্পণ করতেন। বিবেকি শ্রীভগবান তারপর যত্নসহকারে তাঁর জ্যেষ্ঠবর্গের ও ব্রাহ্মণগণের পূজা করতেন। সুবস্ত্রে বিভূষিত ব্রাহ্মণগণকে তিনি স্বর্ণবদ্ধ-শৃঙ্গ ও মুক্তা-কণ্ঠহারযুক্ত একদল শান্ত ও গৃহপালিত গাভী প্রদান করতেন। এই সমস্ত গাভীরাও সুবস্ত্রে সজ্জিত থাকত এবং তাদের খুরের অগ্রভাগ রৌপ্য দ্বারা আবদ্ধ থাকত। প্রচুর দুগ্ধ প্রদায়ী তারা ছিল প্রথম প্রসূতা এবং সবৎসা। শ্রীভগবান প্রতিদিন ১৩,০৮৪ টি গাভীর বহু দলকে ক্ষৌম-বস্ত্র, মৃগ-চর্ম ও তিল সহ পণ্ডিত-ব্রাহ্মণগণকে প্রদান করতেন।
এখানে বৈদিক ধর্মীয় আচার অনুসারে একটি বদ্ধ বলতে যে ১৩,০৮৪ টি গাভীর কথা বলা হয়েছে, শ্রীল শ্রীধর স্বামী তা প্রদর্শন করার জন্য বিভিন্ন বৈদিক শাস্ত্রগ্রন্থের উদ্ধৃতি প্রদান করেছেন। ‘বদ্ধং বদ্ধং দিনে দিনে’ কথাটি নির্দেশ করছে যে, দৈনন্দিন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পণ্ডিত-ব্রাহ্মণদের, গাভীদের এরকম বহু দলকে প্রদান করতেন। শ্রীল শ্রীধর স্বামী আরও প্রমাণ প্রদান করেছেন যে, পূর্ববর্তী যুগে মহান সাধু মনোভাবাপন্ন রাজাদের রীতিই ছিল এই ধরনের ১০৭ টি বদ্ধ বা ১৩,০৮৪ টি গাভীর দল দান করা। এইভাবে ‘মঞ্চার’ নামক এই যজ্ঞে প্রদত্ত গাভীর মোট সংখ্যা ছিল ১৪ লক্ষ বা ১৪,০০,০০০।
সূত্র: শ্রীমদ্ভাগবত শ্রীল প্রভুপাদকতৃ তাৎপর্য
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ, ডিসেম্বর ২০২০ সংখ্যা