স্বার্থপরতায় কোন আনন্দ নেই

প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২০ | ৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ | ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 586 বার দেখা হয়েছে

স্বার্থপরতায় কোন আনন্দ নেই

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও আচার্য কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদকৃত প্রদত্ত ভাষণের বঙ্গানুবাদ

ন চ শক্লোম্যবস্থাতুং ভ্রমতীব চ মে মনঃ।
নিমিত্তানি চ পশ্যামি বিপরীতানি কেশব ॥
                                              (গীতা ১/৩০)
“হে কেশব! আমি এখন আর স্থির থাকতে পারছি না। আমি আত্মবিস্মৃত হচ্ছি এবং আমার চিত্ত উদ্্ভ্রান্ত হচ্ছে। হে কেশী দানবহন্তা শ্রীকৃষ্ণ! আমি কেবল অমঙ্গলসূচক লক্ষণসমূহ দর্শন করছি।”

অর্জুনের বিভ্রান্তি

বিপরীতানি অর্থাৎ “সম্পূর্ণ বিপরীত।” অর্জুন বলেছেন- “আমি এখানে আমার হৃত রাজ্য পুনরুদ্ধারের জন্য যুদ্ধ করতে এসেছি কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমি এখানে যা দেখছি তা সম্পূর্ণ বিপরীত।” কেন? কারণ একজন কঠোর পরিশ্রম করে ধনী হয় শুধুমাত্র প্রদর্শনের জন্য “দেখ আমি কত ধনী, আমি কিভাবে ধনী হয়েছি।” এই হলো মানসিকতা। কেউ কৃষ্ণ সেবার উদ্দেশ্যে কঠোর পরিশ্রম করে না। এই হলো মায়া। কৃষ্ণভাবনামৃতের অর্থই হলো আমরা একই পরিশ্রম করব কিন্তু শুধুই কৃষ্ণের জন্য।
এই হলো মুক্তি অথবা নির্বাণ। আমাদের কর্ম বন্ধ করার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে। পারিবারিক জীবনে তথাকথিত আত্মীয়দের জন্য অর্থহীনভাবে কাজ করি। কিন্তু যখন আমরা একই শ্রম দিয়ে কৃষ্ণসেবা করি তখন প্রতিটি মুহূর্তই সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়। মহান কবি গোবিন্দ দাস গেয়েছেন-

শীত আতপ বাত বরিষণ,
এ দিন যামিনী জাগি রে।
বিফলে সেবিনু কৃপণ দূরজন,
চপল সুখ লব লাগি রে ॥

তিনি বলছেন- “প্রখর তাপ এবং ভয়ঙ্কর শীতকে উপেক্ষা করে আমি কর্ম করেছি।” প্রকৃতপক্ষে মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে। তুষারপাতই হোক আর প্রখর তাপই হোক মানুষকে কর্ম করতে হয়। কোথাও প্রচণ্ড শীত, কোথাও প্রখর দাবদাহ- এই হলো প্রকৃতির নিয়ম। যখন আপনি শীতের দেশে আছেন, আপনি ভাবছেন “ভারতবর্ষ উষ্ণ দেশ, ওরা কত সুখী এবং ভারতে তারা ভাবছে, ইংল্যান্ডের ওরা কত সুখী ওখানে কত ঠাণ্ডা। এই হলো মায়া। কেউ অনুভব করে না যে, ব্রহ্মলোক থেকে আরম্ভ করে পাতাল লোক পর্যন্ত কোথাও কোন সুখ নেই। আব্রহ্মাভুবনাল্লোকাঃ পুনরাবর্তিনোহর্জুন (গীতা ৮/১৬)। এমনকি যদি আপনি লক্ষ বৎসর ধরে ব্রহ্মার মতো ব্রহ্মলোকে অবস্থান করার সুযোগও লাভ করেন, যে জীবনযাত্রা এখানকার অপেক্ষা হাজার গুণ উন্নত, কিন্তু সেখানেও কোন আনন্দ নেই। মানুষ সেটা জানে না। জন্মমৃত্যুজরাব্যাধি দুঃখদোষানুদর্শনম্ (গীতা ১৩/৯)। সুতরাং আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত কিভাবে সন্তান আমাদের প্রকৃত গৃহ ভগবদ্ধামে ফিরে যাবো।

প্রসারিত স্বার্থপরতা

যখন আমরা জড় বুদ্ধিতে সর্বদাই এই চিন্তায় মগ্ন থাকি, “আমি, আমার পরিবার, আমার সমাজ, আমার জাতি…। এই হলো প্রসারিত স্বার্থপরতা। এটি হয় নিজেকে দিয়ে। একটি শিশু কখনো অন্যের আনন্দের কথা ভাবে না। সে যা পায় তাই খেতে চায়। যখন আমরা বড় হই আমাদের আনন্দগুলি আরেকটু প্রসারিত হয়” “আমার আনন্দ আমার ভাইয়ের আনন্দ, পরিবারের আনন্দ, জাতির আনন্দ, দেশের আনন্দ।” সুতরাং আপনি আনন্দের পরিধিকে প্রসারিত করছেন, কিন্তু এখানে কোনো স্থায়ী আনন্দ নেই। মূর্খ লোকেরা এটা অনুধাবন করতে পারে না। এখানে অর্জুন সাধারণ মূর্খ লোকের ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। “আমি এখানে যুদ্ধ করতে এসেছি আনন্দ পাবার জন্য এবং আমাকে আমারই জ্ঞাতিদের নিধন করতে হবে। তাহলে কোথায় আমার আনন্দ? আমি একাকী এই সম্পত্তি ও রাজত্ব উপভোগ করতে পারি বন্ধু এবং আত্মীয়ের প্রয়োজন। আমি খুব গর্বিত হব: ‘দেখ, আমি কিভাবে রাজা হলাম’। সুতরাং যদি তারা নিহত হয় তাহলে কাকে আমার এই সম্পদ প্রদর্শন করব? এই হলো মানসিকতা।
স্বার্থপরতা তা সংকুচিত হোক বা প্রসারিতই হোক এতে কোন আনন্দ নেই। মহাত্মা গান্ধী ভেবেছিলেন- “ব্রিটিশরা চলে গেলে আমার দেশের লোক সুখী হবে।” কিন্তু যখন ব্রিটিশরা চলে গেল ভারতবর্ষের সাম্রাজ্য ভারতীয়দের হাতে দিয়ে গান্ধী ভাবলেন- “ওহ আমি কত অসুখী।” তিনি হিন্দু-মুসলমানের একতা চেয়েছিলেন কিন্তু দেশ বিভক্ত হয়ে গেল। তিনি চেয়েছিলেন সরকারকে খুব সহজ-সরল হতে হবে। কিন্তু তিনি দেখলেন তার অনুগামীরা আরাম এবং বিলাসিতার পিছনে ধাবিত হচ্ছে। সুতরাং তিনি ভাবলেন-“শুধু মৃত্যুই আমাকে আনন্দ দান করতে পারে” এবং পরদিন তিনি নিহতও হলেন।

শোকের ফল অসন্তোষ

যদি আমরা জড় সুখে আসক্ত থাকি তাহলে আমরা এই অভিজ্ঞতা লাভ করব। ‘সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু, অনলে পুড়িয়া গেল।’ “আমি সুখে জীবন-যাপন করব বলে এই গৃহ নির্মাণ করেছিলাম কিন্তু আগুনে সকলই ধ্বংস হয়ে গেল।” এই হলো রীতি। আপনি আনন্দের জন্য সবকিছু নির্মাণ করছেন কিন্তু সেখানে এমন কিছু থাকবে যাতে আপনি চরম দুর্দশায় পতিত হবেন। এই হলো জড় জগৎ। সেই জন্য বুদ্ধিমান ব্যক্তি ভাবেন-“যদি জড় সুখের জন্য আমি বিপরীত ফল লাভ করি, তাহলে কেন আমি কৃষ্ণের জন্য কর্ম করব না?” শাস্ত্রানুসারে প্রতিটি জীবাত্মা হলো দাস (চৈ.চ.মধ্য ২০/১০৮-১০৯)। যদি কেউ কৃষ্ণের সেবা না করে তাহলে তাকে মায়ার দাস হতে হবে। তার মোহ-ভাবনা যাবে না। যদি তুমি কৃষ্ণের দাস না হও তাহলে তোমার স্ত্রী, আত্মীয়, দেশ অথবা তোমার কুকুরের দাস হতে হবে। অবশেষে যদি তোমার সংসার না থাকে তাহলে তোমাকে তোমার কুকুরের দাস হতে হবে। অর্থাৎ বিভিন্ন সেবা।

স্বার্থপরতা তা সংকুচিত হোক বা হোক এতে কোনো আনন্দ নেই। 

সুতরাং আমাদের ইন্দ্রিয়ের তৃপ্তির জন্য আমরা মায়ার দাসত্ব করি আমি আমার স্ত্রী অথবা স্বামীর সেবা করি। কারণ আমি ইন্দ্রিয়কে তৃপ্ত করতে চাই। এই হলো রোগ। সুতরাং প্রকৃতপক্ষে প্রভু হওয়ার পরিবর্তে আমরা দাস হয়ে যাই। কামাদিনা কতিনা কতিধা পালিতা দুর্নিদেশ- লোভ লালসা আদি সকল ইন্দ্রিয়ের দাস। যখন আমাদের ইন্দ্রিয়ের সেবা করি তখন আমাদের অনেক ঘৃণ্য কাজ করতে হয়। আপনার মালিক হয়তো বলবেন-“তোমাকে এটা করতে হবে”। কিন্তু আপনার বিবেক হয়তো এটা অনুমোদন দেয় না। তথাপি আপনাকে এটা করতেই হয়। একজন মানুষ হয়তো চুরি করতে পছন্দ করে না কিন্তু অর্থের প্রয়োজনের তাগিদে তাকে চুরি করতে হয়।
যখন আমি মায়ার দাসত্ব করি তখন আমি অনেক ঘৃণ্য কাজ করতে বাধ্য হই। পরিণাম এই যে কেউ সন্তুষ্ট নয়। একদা এক ভক্ত প্রার্থনা করছিলেন “হে ভগবান এতদিন ধরে আমি আমার ইন্দ্রিয়ের সেবা করেছি কিন্তু তারা আমার প্রতি প্রসন্ন নয়। তারা অনবরত আদেশ করে-‘এটা কর, ওটা কর।’ এখন তোমার কৃপায় আমার বুদ্ধি হয়েছে। আমি তোমার সেবা করতে এসেছি। কৃপা করে আমাকে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত করুন।” এই হলো শরণাগত। এই হলো বৈরাগ্য। মানব জীবনে আমাদের এই বুদ্ধিমত্তা এবং বৈরাগ্য থাকা উচিত আমরা শুধুই কৃষ্ণের সেবা করব, জড় জগতের সেবা করব না। মায়াবাদী দার্শনিকগণ এই সকল জড় কর্ম বন্ধ করে দেন। এমনকি বৈরাগ্য দর্শনেও নির্বাণ অর্থাৎ জড় কর্মের পরিসমাপ্তি। কিন্তু এটা বন্ধ করার পর আমরা কি করব? সবকিছুই শূন্য? এটা সম্ভব নয়। এই হলো তাদের ভ্রম।

কৃষ্ণের সেবাতেই প্রকৃত আনন্দ

মায়াবাদীরা দুই প্রকারের-নির্বিশেষবাদী এবং বৈদান্তিকবাদী। এদের দর্শন এই পর্যন্ত ভালো কারণ একজন মূর্খ মানুষ বেশি অনুভব করতে পারে না। যদি একজন মূর্খকে বলা হয় তুমি চিন্ময় ধামে ভগবানের সেবা করে এর থেকে উন্নত জীবন উপভোগ করতে পার। সে ভাববে-“ওহ! এই জড় জগতে সেবা করে এত যন্ত্রণা পেয়েছি আর আমি সেবা করতে চাই না।” যে মুহূর্তে তারা সেবার কথা শোনে তারা যন্ত্রণাময় জড়জাগািতক সেবার কথা ভাবে। উদাহরণ স্বরূপ একজন অসুস্থ শয্যাশায়ী ব্যক্তি অত্যন্ত কষ্ট পায়। দীর্ঘ দিন ধরে সে সঠিকভাবে খেতে এবং হাঁটতে পারেনি এতে সে অত্যন্ত যন্ত্রণা পায়। যদি আপনি তাকে বলেন- “একবার তুমি সুস্থ হয়ে গেলে তুমি ভালো করে খেতে এবং হাঁটতে পারবে।” তবে সে এই চিন্তাতেই শিহরিত হয়।
“আবার খাওয়া? আবার হাঁটা?” সে বিশ্বাসই করতে পারে না কেমন করে খাওয়া এবং হাঁটা একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা হতে পারে। অনুরূপভাবে মায়াবাদীরা কল্পনাও করতে পারেন না যে কিভাবে সেবা আমাদের আনন্দ দান করতে পারে। কৃষ্ণসেবা শুধুমাত্র আনন্দ এবং আনন্দ দান করে। প্রত্যেকে তাতে আরো আরো সেবা করার জন্য আগ্রহী থাকে। এই হলো চিন্ময় জগৎ। যারা এটা অনুভব করতে পারে না তারা নির্বিশেষবাদী “তারা মনে করে পরম সত্য কখনোই একজন ব্যক্তি হতে পারে না। বৌদ্ধরা সবকিছুকেই শূন্য দেখে এবং মায়াবাদীরা সবকিছুকেই নিরর্থক দেখে। তারা অনুভবই করতে পারে না যে কৃষ্ণসেবায় উৎসর্গীকৃত একটি জীবন কত আনন্দময়।
অর্জুন একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা গ্রহণ করেছেন তিনি ভাবছেন তার বন্ধু এবং জ্ঞাতিদের নিধনকারী কর্ম তাকে দুঃখিত করবে। তিনি অনুভব করতে পারছেন না যে কৃষ্ণও চাইছেন যুদ্ধ হোক এবং অর্জুনের তাঁকে সহায়তা করা উচিত। সেটাই অর্জুনকে আনন্দ দান করবে। এই হলো জড় জাগতিক পরিস্থিতি। আমরা সর্বদাই সমস্যায় রয়েছি। কিন্তু যখন জড় বন্দী মানুষের কাছে কোনো উত্তম প্রস্তাব আনা হয়- “তুমি কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণ কর, তুমি সুখী হবে”-সে দেখে নিমিত্তানি বিপরীতানি, সম্পূর্ণ বিপরীত। “কৃষ্ণভাবনামৃত কি? কিভাবে এটি আমাকে সুখী করবে? আমার পরিবার এবং আমি অসংখ্য সমস্যার মধ্যে রয়েছি, কিভাবে কৃষ্ণভাবনামৃত আমাকে সাহায্য করবে?” এই হলো জীবনের জড়জাগতিক পরিস্থিতি। সুতরাং এটা অনুধাবন করার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন।

স্বাধীনতার অপব্যবহার করবেন না

সকল নির্দেশনাবলী প্রদান করে কৃষ্ণ অর্জুনকে জিজ্ঞাসা করলেন-“এখন তুমি কি করতে চাও?” কৃষ্ণ কখনো কাউকে তাঁর নির্দেশাবলী পালন করার জন্য বাধ্য করেন না। সেই জন্য তিনি আপনাকে ক্ষুদ্র স্বাধীনতা প্রদান করেছেন এবং তিনি তাতে কখনো হস্তক্ষেপ করেন না। অন্যথায় একটি পাথর এবং জীবাত্মার মধ্যে কি পার্থক্য? জীবাত্মার অবশ্য অল্প পরিমাণে হলেও স্বাধীনতা থাকা উচিত। যখন তিনি এই বলে তার স্বাধীনতার সঠিক ব্যবহার করেন-“হ্যাঁ, কৃষ্ণ আমি তোমার শরণাগত হলাম”, এই হলো কৃষ্ণভাবনামৃত। আপনাকে স্বেচ্ছায় সম্মতি দিতে হবে যান্ত্রিকভাবে নয়। এটি অবশ্যই প্রীতিপূর্বকম্ (গীতা ১০/১০) হতে হবে। যখন আপনি প্রীতিপূর্বক উৎসাহের সঙ্গে কৃষ্ণের জন্য কর্ম করবেন সেটাই হলো আপনার কৃষ্ণভাবনাময় জীবন। যদি আপনি ভাবেন – “এটি অত্যন্ত পরিশ্রমসাধ্য এবং কষ্টকর তাই আমি কিই বা করতে পরি” এটি কৃষ্ণভাবনামৃত নয়। আপনাকে স্বেচ্ছায় আনন্দের সঙ্গে এটি করতে হবে।

উৎসাহান্নিশ্চয়াদ্ধৈর্যাৎ তত্তৎকর্মপ্রবর্তনাৎ।
সঙ্গত্যাগাৎ সতোবৃত্তেঃ ষড়ভির্ভক্তিঃ প্রসিধ্যতি ॥
                                                                        (শ্রীউপদেশামৃত শ্লোক-৩)

আপনাকে সর্বদা উৎসাহের সঙ্গে ধৈর্যশীল এবং আত্মবিশ্বাসী হয়ে কর্ম করতে হবে। নিশ্চয়াৎ অর্থাৎ আত্মবিশ্বাস: “যখন আমি কৃষ্ণের কর্মে নিয়োজিত হবো কৃষ্ণ আমাকে অবশ্যই আমার গৃহ ভগবদ্ধামে নিয়ে যাবেন।”
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলছেন- “মন্মনা ভব মদ্ভক্তো মদ্যাজী মাং নমস্কুরু মাম এব এষ্যসি” (গীতা ১৮/৬৫)। “আমি তোমাকে ফিরিয়ে নিয়ো যাবো।” অর্জুন কৃষ্ণের কথা শ্রবণ করার পর বললেন, “হ্যাঁ, কৃষ্ণ আপনি যা বলেছেন তাই সত্য। আপনার কৃপায় আমার ভ্রম অন্তর্হিত হয়েছে।” করিষ্যে বচনং তব (গীতা ১৮/৭৩)। “হ্যাঁ, এখন আমি যুদ্ধ করব। আমি আমার সকল জ্ঞাতিদের নিধন করব।”

সূত্র:ব্যাক টু গডহেড (জানুয়ারী – মার্চ) ২০২০
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ ও ব্যাক টু গডহেড এর ।। গ্রাহক ও এজেন্ট হতে পারেন
প্রয়োজনে : 01820-133161, 01758-878816, 01838-144699
সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।