
অনেকে মনে করে পাথরের যে প্রাণ নেই। পাথর কখনো আয়নের বৃদ্ধি পায় না । তবে রোমানিয়ায় এক ধরনের রহস্যময় পাথর আছে। যাদের সম্পর্কে বাস্তবে বিজ্ঞানীরাও কোনো ব্যাখা খুঁজে পাননি। এসব পাথর আসলে পৃথিবীর কিনা সে নিয়েও কারও কারও মনে প্রশ্ন রয়েছে। ইউরোপের বলকান অঞ্চলের দেশটিতে থাকা যেসব পাথর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকারে বৃদ্ধি পায়। পাথরের উপরের নিয়মিত পানি কিংবা অতিবৃষ্টি হলে সেগুলো দ্রুতই বৃদ্ধি পেতে থাকে। এসব পাথর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচলও করে। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, কেন এই পাথরের পানির প্রতি এত আকর্ষণ? আধুনিক বিজ্ঞান এই প্রশ্ন সম্পূর্ণ নিরব। রোমানিয়ার এইসব পাথরকে তারা পৃথিবীর একমাত্র জীবন্তু পাথর বলে আখা দিয়েছেন। তবে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা নিরীক্ষা ঠিকই করেছেন পাথরগুলোকে নিয়ে। কিন্তু জীবন্ত পাথরের কোনো ব্যাখ্যা এখনও মেলেনি। রহস্যময় পাথরগুলোর বৃদ্ধি অনেকটাই চোখে পড়ার মতো। পুরো পাথরই যে আকারে বাড়ে তা ও নয়, এর শরীরের কোনো কোনো স্থান দিয়ে বাড়তি অংশবৃদ্ধি পায়। স্থানীয়রা এসব পাথরকে ‘ট্রোভেন্টস’ নামে ডেকে থাকে। যার অথ হচ্ছে সিমেন্টের বালি। বিজ্ঞানীরাও সেসব রহস্যময় পাথর পরীক্ষা করে দেখেছেন, ভেতরে অদ্ভুত শক্ত বালুর মতো পদার্থ ছাড়া আর কিছু নেই তবে সেসব পাথরে স্তর রয়েছে, যা অন্য সাধারণ পাথরে দেখা যায় না। অবশ্য এই রহস্যময় পাথর রোমানিয়ার সব স্থানে পাওয়া যায়, তাও নয়। দেশটির প্রত্যন্ত গ্রাম ‘কোসটেসতি’ তেই একমাত্র এমন অদ্ভুত পাথরের সন্ধান মেলে ফলে কারও দাবি, এসব পাথর পৃথিবীর বাইরে থেকে এসেছে। এর উপাদানে হয়তো বা মহাজাগতি উপাদান রয়েছে, যার সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞান এখন পরিচিত নয়। তবে বৈদিক শাস্ত্র মতে পাথরেও প্রাণ বিদ্যমান। হরেকৃষ্ণ।
(মাসিক চৈতন্য সন্দেশ জুন ২০১৮ সালে প্রকাশিত)