পিতামাতা হিসেবে আমাদের কর্তব্য হল সন্তানের পারমার্থিক চাহিদা পূরণ করা
কৃষ্ণনন্দিনী দেবী দাসী
দশ সন্তানের জননী হিসেবে, আমাকে প্রায়ই লােকেরা জিজ্ঞেস করে, “পারমার্থিক জীবন ও পরিবারের প্রতি দায়িত্ব, কর্তব্য এ দুটো সমান্তরালভাবে কীভাবে সম্পন্ন হয়? ভগবানকে সেবা করার সময় আমি কিভাবে লাভ করি?”
আমি বলি, “এটি একটি দূরদর্শী ব্যাপার। আমি এতটুকু উপলব্ধি করি যে, ভালােবাসা আর শ্রদ্ধার সাথে স্বামী-সন্তানদের যত্ন গ্রহণের মাধ্যমে আমরা ভগবানের সেবা করতে পারি।”
একজন মা ও স্ত্রী হওয়ায় এটি আমাদের কর্তব্য এবং ভগবানের প্রতি আমাদের সেবা থেকে এটি কখনাে পৃথক হয় না। এটিই ভগবানের প্রতি আমার সেবা।
আমার সন্তানদের ভগবানের সেবা করার জন্য প্রশিক্ষিত করে তােলা, ভগবানের প্রতি কেন্দ্রীয় সেবার অন্তর্গত কীভাবে কেউ ভগবানের সেবা করতে পারে? শ্রীমদ্ভাগবতে ভগবানকে সেবা করার নয়টি পন্থার কথা বর্ণনা করা হয়েছে; ভগবানের কথা শ্রবণ, গুণকীর্তন, স্মরণ এবং ক্রমান্বয়ে ভক্তিপুত সেবার গভীর স্তরে উন্নীত হওয়া।
সন্তানদের পারমার্থিক প্রশিক্ষণ প্রথম থেকেই শুরু করা উচিত। বৈদিক সাহিত্য অনুসারে দশবিধ সংস্কারের মধ্যে একটি সংস্কার হল গর্ভাধান-সংস্কার, যার মাধ্যমে গর্ভাবস্থায় শিশুর পারমার্থিক পরিবেশ গড়ে ওঠে। আমার প্রতিটি সন্তানের ক্ষেত্রে গর্ভবতী থাকা অবস্থায় আমি শাস্ত্র অধ্যয়ন করতাম, আধ্যাত্মিক সংগীত ও প্রবচন শ্রবণ করতাম, পবিত্র নাম জপ করতাম, ভগবানের উদ্দেশ্যে রান্নাকৃত ও নিবেদিত খাবার গ্রহণ করতাম, প্রচুর প্রার্থনা এবং সাধুসঙ্গ করতাম। যখন আমি সন্তান জন্ম দিচ্ছিলাম তখন মৃদুস্বরে ভক্তিমূলক গান পাশে বাজানাে হচ্ছিল। যখনই আমার সন্তানরা বড় হচ্ছিল তখন তারা প্রতিদিন ভগবদ্গীতা এবং শ্রীমদ্ভাগবত ক্লাসে অংশগ্রহণ করত। নবম কিংবা দশম গ্রেডে না ওঠা পর্যন্ত আমি তাদের জন্য বাসায় শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলাম। আমি নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম যেন তাঁরা একটি ভাল অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড লাভের পাশাপাশি যাতে একটি শক্তিশালী পারমার্থিক ভিত্তি গঠন করার সুযােগ পায়। আমার সন্তানদের আমার ভক্তিপথে বাধাস্বরূপ মনে না করে আমি সবদাই প্রার্থনা করতাম যাতে আমি তাদের ভগবানের একজন ভক্তরূপে দর্শন করি এবং বুঝতে সক্ষম হই যে, তাদের পারমার্থিক পরিবেশে ভালােবাসার সাথে লালনপালন করার মাধ্যমে অন্যান্য ভক্তিযােগের পন্থার মতােই মূলত আমি ভগবানের আনন্দময় সেবাই করছি।
বর্তমান যুগে সন্তান লালনপালন করা খুবই কঠিন, আবার তার চেয়েও বেশি কঠিন ভক্তিযােগ অনুশীলনরত সন্তানদের লালনপালন করা। শুধুমাত্র খাবার, কাপড়, আশ্রয়, শিক্ষা এবং অন্যান্য দৈহিক ও মানসিক চাহিদা পূরণেই প্রচুর প্রচেষ্টার প্রয়ােজন পড়ে। এ ছাড়াও তার সাথে যুক্ত হয় সন্তানদের পারমার্থিক প্রশিক্ষণ ও লালনপালনের জন্য অধ্যবসায় ও সাহচর্য, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। কিন্তু ভগবানের দাস হয়ে সন্তানদের রক্ষক হিসেবে থাকার অঙ্গীকারের মাধ্যমে আত্মনিবেদিত এবং আধ্যাত্মিক স্তরে উন্নত পিতামাতা মহৎগুণ লাভ করে থাকেন। হৃদয়ের অভ্যন্তরে ভগবান আন্তরিক ও দৃঢ়বদ্ধ পিতামাতাকে বুদ্ধিমত্তা এবং দিকনির্দেশনা দান করেন যার মাধ্যমে তারা শিক্ষাপ্রাপ্ত হন যে তাদের কি করতে হবে বা কার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে। তা ছাড়াও ভগবান গুরুদেব, শাস্ত্রসমূহ, পরিবারের অগ্রজ এবং পারমার্থিকভাবে উন্নত ভক্তদের দ্বারা আমাদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
সমগ্র বিশ্বব্যাপী পারমার্থিকভাবে জড়িত অধিকাংশ ব্যক্তিই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বা হবেন। তাই প্রায় প্রত্যেক দম্পতিরই সন্তান-সন্ততি থাকবে। অধিকাংশ পিতামাতাই তাদের সন্তানদের আদর্শ, নৈতিক এবং পারমার্থিক ভাবনাময় প্রচারক রূপে গড়ে তুলতে চান যাতে তারা তাদের সামাজিক জীবনে অবদান রাখতে পারে।
সাবালক হওয়ার দীর্ঘপথে পশুপাখিদের মত মানব সন্তানরা এত দ্রুত বেড়ে ওঠে না যে তারা দ্রুত তাদের সমাজে প্রৌঢ়দের অবস্থানে মানিয়ে নিতে পারবে। মানব শিশুর বিচিত্র রকমের সময়সাপেক্ষ প্রয়ােজনীয়তা অবশ্য
পূরণ করতে হয়। যেমন – শারীরিক আবেগতাড়িত, মানসিক এবং পারমার্থিক। তাদের অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা, বিনােদন, সুরক্ষা, ভালােবাসা, সাধুসঙ্গ ইত্যাদি প্রয়ােজন। একজন উৎসর্গিত তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে আধ্যাত্মিক ভাবনায় নিয়জিত পিতামাতাকে অবশ্যই সর্বান্তঃকরণে চেষ্টা করতে হবে এই সকল প্রয়ােজনীয়তা ভালােভাবে পূরণ করার জন্য। ভগবানের সেবকের যত্ন বিধান হল পারমার্থিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই একে কখনাে অবহেলা করা যাবে না।
সর্বোৎকৃষ্ট পিতামাতারা শিশুর জন্য একটি উত্তম অনুকরণীয় আদর্শস্বরূপ। শিশুরা তাদের পিতামাতার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে, এই বিষয়টি অবগত হয়ে সেই সমস্ত পিতামাতারা তাঁদের কথা ও কাজের মাধ্যমে পারমার্থিক জীবনযাপন করেন। তাঁরা অন্যান্য কৃষ্ণভাবনাময় পিতামাতা কিংবা পরিবারসমূহ কীভাবে তাদের সন্তান পরিপালন করছেন তা শেখার চেষ্টা করেন। এভাবে তারা একটি অত্যন্ত প্রয়ােজনীয় সহায়তা পদ্ধতির সৃষ্টি করেন। সত্যিই, “একটি সন্তান লালনে একটি বিশাল গ্রামের প্রয়ােজন হয়” (প্রাচীন আফ্রিকান প্রবাদ)।
মাঝে-মাঝে সন্তানদের সাথে ভালবাসার মাধ্যমে ব্যবহারের জন্য আমাদের সন্তান লালনপালনের দক্ষতা অর্জনের প্রয়ােজন হয় যাতে পিতামাতারা সন্তানদের সাথে ভালাে যােগাযােগ বৃদ্ধি, দ্বন্দ্ব নিরসন করা, লক্ষ্য স্থির করা এবং শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই সকল গুণাবলী অর্জন করাও একটি ভক্তিমূলক সেবা কেননা এটি আমাদের সন্তান প্রতিপালনের কর্তব্যে সহায়তা করে।
ভক্তিযােগে যুক্ত পিতামাতাদের সন্তান প্রতিপালনে ত্যাগের প্রয়ােজন হয়। অন্যান্য ভক্তিসেবার মতাে এই ধরনের ভালবাসাময় ত্যাগ পরিশেষে পুরস্কার নিয়ে আসে। যত্নের সাথে এবং পারমার্থিক ভাবনাময় শিশু হচ্ছে একটি মহৎ ও মূল্যবান লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্যে পৌছানাের জন্য মহা অঙ্গীকার গ্রহণ করতে হয়।
অসাধারণ শৈল্পিক মেলবন্ধন
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় (৯/২৭), ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অজুর্নকে বলেছেন, হে কৌন্তেয় ! তুমি যা অনুষ্ঠান কর, যা আহার কর, যা হােম কর, যা দান কর এবং যে তপস্যা কর, সেই সমস্তই আমাকে সমর্পণ কর।”
সন্তান লালনপালনে সবচেয়ে গােপনীয় অস্ত্র হলাে কৃষ্ণসেবায় সবকিছুই উৎসর্গ করা। উদাহরণস্বরূপ, কৃষ্ণ ভগবদ্গীতায় (১৪/৪) বলেছেন, “আমি বীজ প্রদানকারী পিতা। তাই যখন কোনাে পিতামাতা তার শিশুর ডায়াপার পাল্টায় তখন সে নিজেকে স্মরণ করাতে পারে, “আমি একজন ভগবানের সন্তানের ডায়াপার পাল্টাচ্ছি।” ক্লান্তিহীন অবস্থায় আপনি আপনার ছেলে কিংবা মেয়ের সাথে পড়াশুনা বা খেলাধুলা করতে পারেন, তখন স্মরণ রাখতে পারেন যে ভগবান দর্শন করছেন যে কীভাবে আপনি তারই একজন সন্তানের মুখে হাসি ফোটানাের জন্য কষ্ট, ত্যাগ স্বীকার করছেন। আপনার সন্তানকে বকাবকি করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনি সেটি করছেন এমন একজনের মঙ্গলের জন্য যে আপনার চেয়েও পরম মহৎ একজনের সম্পত্তি। যদি সম্ভব হয় আপনার পতি/পত্নীর সাথে আলােচনা করে কিছু পারিবারিক নিয়ম, ধর্মানুষ্ঠান এবং রুটিন তৈরি করুন যা আপনার সন্তানের বিকাশ এবং উন্নতিতে সহায়ক হবে।
পিতামাতাগণ যাঁরা দয়ালু, বিবেচক এবং পারমার্থিক ভাবনাময় সন্তান পেতে চান তাদের অবশ্যই সন্তানের শারীরিক চাহিদার পাশাপাশি আরাে অনেক কিছু প্রদান করতে হবে। কৃষ্ণের প্রতি সমর্পিত পারিবারিক জীবন হল গৃহস্থজীবন। (ভক্তিযােগে যুক্ত পিতামাতা) যা তাদের গৃহমেধীদের (ভক্তিযােগ অনুশীলনহীন পিতামাতা) কাছ থেকে পৃথক করে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভাষায় বলতে গেলে: “সন্তানলালন পালনের কর্তব্য পালনের তপস্যাগুলাে তুমি আমাকে অর্পন কর।”
উর্ধ্বং গচ্ছতি
বৈদিক সংস্কৃতিতে জীবন চারটি ক্রমিক পর্যায়ে বিভক্ত যাকে আশ্রম বা আধ্যাত্মিক প্রগতির স্থান বলা হয়। (১) ছাত্রজীবন বা ব্রহ্মচারীজীবন (২) বিবাহােত্তর বা পারিবারিকজীবন, গৃহস্থজীবন (৩) অবসরজীবন বা বাণপ্রস্থ আশ্রম এবং (৪) সন্ন্যাসজীবন। প্রত্যেকটি আশ্রমই হল নির্দিষ্ট কর্তব্য পরিপূরণের জন্য উন্নতি সাধনের পন্থা। আধ্যাত্মিক চেতনায় অধিষ্ঠিত পিতামাতাগণ একটি আশ্রমে রয়েছেন। (গৃহস্থ আশ্রম) এবং এটি পারমার্থিক উন্নতি লাভের একটি ক্রমিক পন্থাও। গৃহস্থ আশ্রম-এর অর্থ হলাে একটি পরিপূর্ণ, ভালােবাসাময় এবং নিয়ন্ত্রিত পারিবারিকজীবন।
যেহেতু অধিকাংশ মানুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং সন্তান গ্রহণ করে, তাই গৃহস্থ আশ্রম বিবাহিতদের পারমার্থিক জীবনে উন্নতির জন্য আশা প্রদান করে। যাঁরা আন্তরিকভাবে যথার্থ কৃষ্ণভাবনাময় পিতামাতা হিসেবে সেবা করছেন তাঁরা এই সেবা সম্পাদনে স্বয়ং ভগবানের শক্তি প্রাপ্ত হচ্ছেন। কৃষ্ণভাবনাময় পরিবেশে সন্তানসন্ততি লালন করাই হল একটি অত্যাবশ্যক দায়িত্ব এবং তা ভগবান কর্তৃক স্বীকৃত।
বৈদিক শাস্ত্রসমূহ আমাদের বলছে যে, আমাদের উচিত নয় কারাে পিতামাতা হওয়া, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা তাদেরকে পারমার্থিকভাবে উন্নত হতে এবং তাদেরকে জন্মমৃত্যুর চক্র থেকে রক্ষা করার সক্ষমতা অর্জন না করব। প্রত্যাশিত পিতামাতাদের উচিত এই অসাধারণ দায়িত্ব উপলব্ধি করা।
শ্রীল প্রভুপাদ বলেছিলেন, “তােমাকে অবশ্যই উত্তম সন্তান জন্মদান করতে হবে। তাই সেই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যৌনজীবন অনুমােদিত হয়েছে এবং বিশেষত এই যুগে, এই সময়ে তােমরা যদি কৃষ্ণভাবনায় গড়ে ওঠার জন্য সন্তান জন্ম দিতে পার তবে সেটি ভগবানের প্রতি একটি মহৎ সেবা সম্পাদন করা হবে।”
শ্রীল ভক্তিবিনােদ ঠাকুর এবং তাঁর স্ত্রী শ্রীমতী ভাগবতী দেবী হলেন আদর্শ স্বামী-স্ত্রী যারা ১৯ শতকে ভারতে দশ সন্তান লালনপালন করেছিলেন। ভক্তিবিনােদ ঠাকুর ছিলেন একজন আদর্শ গুরুদেব এবং সরকারি কর্মকর্তা যিনি অত্যন্ত সঠিকভাবে তার পিতামাতার কর্তব্য, পারমার্থিক এবং প্রশাসনিক কাজের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করেছিলেন। তিনি সঠিকভাবেই স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি শুধুমাত্র ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সন্তান এবং সম্পত্তির পাহাড়াদার ভৃত্য মাত্র। একজন অতি উচ্চ দার্শনিক কবি এবং গীতলেখক হিসেবে তিনি একটি গানে লিখেছেন, “হে ভগবান, আমার জীবন, আমার স্ত্রী, আমার পরিবার- সবই আপনারই সম্পত্তি।”
ফলাফল ভগবানের ওপর নির্ভরশীল
পিতামাতা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে কৃষ্ণভাবনাময় পরিবেশ স্থাপনের একটি ভাল উদাহারণ সৃষ্টি করা। মাঝে মাঝে আমাদের অনেক চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও আমাদের সন্তানেরা আমাদের সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই, আমাদের অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে, ভগবদ্গীতা আমাদের শিক্ষা দিচ্ছে যে, আমরা শুধুমাত্র আমাদের দায়িত্ব পালন করে যেতে পারি এবং ফলাফলের জন্য ভগবানের ওপর নির্ভর করা উচিত।
বর্তমানে বহু শিশুই অমার্জিত, মন্দ, নৈতিকতাবিহীন, নিয়মানুবর্তিতাবিহীন অথবা সন্ত্রাসী হিসেবে বড় হয়ে ওঠছে। মনস্তাত্ত্বিকভাবে এবং পারমার্থিকতাহীন শিশু বড় হয়ে একজন নৈতিকতাবিবর্জিত সন্তানে পরিণত হয়।
একজন অভিনেতা ও শিক্ষাবিদ বিল কসবি বলেছিলেন, “মানুষকে ক্ষত দাও তাে নিজে ক্ষত পাও।” অন্যকথায় বলতে গেলে, যে সমস্ত মানুষ লাঞ্ছিত হয়, তারা নিজেরাই একসময় লাঞ্ছণাকারীতে পরিণত হন। আমাদের পৃথিবীতে বর্তমানে সত্যবাদী, সহমর্মী, আত্মনিয়মানুবর্তী, বিশুদ্ধ মন ও শরীর বিশিষ্ট এবং পারমার্থিকতায় আকৃষ্ট শিশুর খুবই অভাব। এই শিশুরাই তাদের এই গুণগুলাে যৌবনে নিয়ে যাবে।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই বর্তমান কলহ ও প্রতারণার যুগেও কৃষ্ণভাবনাময় একটি স্বর্ণযুগ আসার ভবিষ্যত্বাণী করেছেন। এই রাণী সার্থক করতে অধিক এবং অধিকসংখ্যক আধ্যাত্মিক চেতনাসম্পন্ন শিশু ও যুবকের প্রয়ােজন পৃথিবীকে জনাকীর্ণ করার জন্য।
শ্রীল প্রভুপাদ লিখেছিলেন, “মানবসমাজে উত্তম জনসংখ্যা হচ্ছে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং পারমার্থিক জীবনে উন্নতি লাভের মৌলিক নীতিস্বরূপ।”
ত্রৈমাসিক ব্যাক টু গডহেড, এপ্রিল-জুন ২০১৩