এই পোস্টটি 235 বার দেখা হয়েছে
ইস্কন স্টাফ নিউজ: সম্প্রতি সুপ্রসিদ্ধ গায়িকা লতা মঙ্গেশকর মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসাপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুম্বাইয়ের শিবাজী পার্কে দাহ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ অসংখ্য গুণীজন মঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ইস্কনও এই কিংবদন্তী গায়িকার মহা প্রয়াণে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রীকমল চরণে প্রার্থনা নিবেদন করেন, যাতে করে তাঁর বিদেহী আত্মা সদ্গতি প্রাপ্ত হয়। পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকর এবং শ্রাবন্তী মঙ্গেশকরের কোল আলোকিত করে ১৯২৯ সালে এই বিশ্বে কিংবদন্তী গায়িকার জন্ম হয়েছিল। তাঁর বাবাও ছিলেন একজন সুপ্রসিদ্ধ মারাঠী সংগীত ও থিয়েটার শিল্পী। তিনি শুরু থেকে তাঁর বারার নিকট থেকে সংগীত ও নাটকে হাতেখড়ি লাভ করেন। শিশুশিল্পী ও শিশু নাট্যকার হিসেবে তিনি ছোট বয়স থেকে বিরল প্রতিভার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
ইস্কনের শুভাকাঙ্খী ও আজীবন সদস্য এ বিশ্ব কিংবদন্তী সংগীত তারকার প্রয়ানে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন) গভীর শোক ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
লস এঞ্জেলসের “শ্রাইন অডিটোরিয়ামে” তিনি মৃত্যুর পূর্বে দেশের বাইরে সর্বশেষ যেই কনসার্টটি করেছিলেন সে কনসার্টে তিনি দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “আমি এই কনসার্টটি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন) এর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করছি, যার আয় তাদের বোম্বেতে নির্মিত একটি সাংস্কৃতিক থিয়েটারের জন্য সংরক্ষিত হবে।” তারপর তিনি ভগবদ্গীতা দিয়ে শুরু করেন তিনঘন্টার একটি কনসার্ট, যেখানে তার জনপ্রিয় গানগুলো গেয়েছিলেন। যেগুলো তাঁকে ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী করে তুলেছে। এ কনর্সাটে আগত শ্রোতাদের তিনি গানের মাধ্যমে মোহিত করেছিলেন।
কনসার্টের পরে তিনি বলেছিলেন, “আমি পাঁচ বছর বয়স থেকে গান গাইতে শুরু করি। আমার বাবা আমাকে শাস্ত্রীয় সংগীত, সামবেদের রাগগুলো শিখিয়েছিলেন। আমি যখন ছোট ছিলাম, আমি কেবল ঈশ্বরের জন্যই গান করতে শিখেছিলাম। আমার পুরো পরিবার ইস্কনের সদস্য…আমি এখন শুধু ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্য গান করি এবং আমার কাছে এটিই সম্পূর্ণ প্রাপ্তি।”