এই পোস্টটি 565 বার দেখা হয়েছে
শ্রীপুণ্ডরীক ধাম, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক মহা তীর্থস্বরুপ। কেননা স্বয়ং রাধারাণীর পিতা পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি যিনি দ্বাপর যুগে বৃষভানু মহারাজ ছিলেন তার জন্মস্থান। চৈতন্য চরিতামৃত থেকে প্রামাণিক কিছু শ্লোকসমূহ পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হল।
বৃষভানুতয়াখ্যাতঃ পুরা যো ব্রজমণ্ডলে ।
অধুনা পুণ্ডরীকাক্ষো বিদ্যানিধি মহাশয়ঃ ॥
(গৌরগণোদ্দেম দীপিকা-৫৪ সংখ্যা)
পূর্বে ব্রজমণ্ডলে যিনি শ্রীমতী রাধারাণীর পিতা অধুনা তিনি শ্রীপুণ্ডরীক বিদ্যানিধি মহাশয়।
পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি-বড়শাখা জানি।
যাঁর নাম লঞা প্রভু কান্দিলা আপনি ॥
(চৈঃ চঃ আদি ১০/২৪)
চৈতন্য চরিতামৃতে এমনকি এই চট্টগ্রামের নাম উল্লেখ রয়েছে যা ইতিহাস সাক্ষ্য মতে এর প্রামাণিকতা অতি সহজেই উপলব্ধি করা যায়। চৈতন্য চরিতামৃতে চট্টগ্রামকে চাঁটিগা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তার প্রমাণ নিম্নোক্ত শ্লোকটিতে পাই ।
এবে শুন শ্রীবিদ্যানিধির আগমন।
‘পুণ্ডরীক’ নাম শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়তম ॥
প্রাচ্যভুমি চাটিগ্রাম ধন্য করিবারে ।
তথা তানে অবতীর্ণ করিলা ঈশ্বরে ॥
(চৈঃ ভাঃ মধ্য ৭তম অধ্যায়)
‘শ্রীকৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয় বিদ্যানিধি, পুণ্ডরীক প্রেমনিধি নামে খ্যাত। পূর্বাঞ্চলে চাটিগ্রাম নামে একটি এলাকায় ঈশ্বরের কৃপার্শীর্বাদ পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি অবতীর্ন হয়ে সেইস্থান ধন্যাতিধন্য করেন। চলুন না দর্শন করে আসি এ শূন্য তীর্থ ভূমি শ্রীশ্রী পুণ্ডরীক ধাম। শ্রীশ্রী পুণ্ড্ররীক বিদ্যানিধি ঠাকুরের নামানুসারে এই ধামের নামকরণ করা হয় পুণ্ডরীক ধাম। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু পুণ্ডরীক বিদ্যানিধিকে বাপ বলে সম্বোধন করতেন। ইস্কন আচার্য্যবর্গদের অন্যতম শ্রীল শ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী গুরু মহারাজ প্রথম এই পুণ্ড্ররীক ধাম থেকেই বাংলাদেশে মন্দিরভিত্তিক প্রচার কার্যক্রম শুরু করেন। ইস্কন এই মন্দির তথা স্থানের দায়িত্ব পাওয়ার পর এই ধামের বহুবিধ উন্নয়ন কার্য সাধিত হয়। তার মধ্যে পুণ্ডরীক বিদ্যানিধির ভজন কুটির সংস্কার, বিশাল নাটমন্দির তৈরী, জয়পতাকা স্বামী মহারাজ কর্তৃক অপূর্ব মনোহর বার্ষবানবিমুরারী বিগ্রহ স্থাপন, শ্যামকুণ্ড, রাধাকুণ্ড, গিরিগোবর্ধন ও সর্বতীর্থ পরিক্রমা স্থাপন। অতিথিশালা, বিশাল প্রসাদকক্ষ, দৃষ্টিনন্দন প্রভুপাদ মন্দির এবং বাংলাদেশের প্রচারকার্যের অন্যতম পুরোধা আয়ারল্যান্ডবাসী নিষ্ঠুলা প্রভু কর্তৃক স্থাপিত মহোৎসব মঞ্চ ইত্যাদি।