এই পোস্টটি 262 বার দেখা হয়েছে
ইসকনের শ্রী জগন্নাথ রিসার্চ সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনের বঙ্গানুবাদ:
স্মরণাতীত কাল থেকে পুরুষোত্তম ক্ষেত্র (যেটি পরিচিত শ্রীক্ষেত্র, জগন্নাথ পুরী, নীলাচল, পুরুষোত্তম ক্ষেত্র ইত্যাদি) সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। স্কন্দ পুরান অনুসারে ভগবান জগন্নাথদেব এই জড় জগতে আবির্ভূত হয়েছিলেন স্বয়ম্ভুত মন্বন্তরের দ্বিতীয় ভাগে এবং সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার বর্তমান দিবসে দ্বিতীয় মন্বন্তরের (স্বরোচিষ মনুর রাজত্বকালে) সত্য যুগের প্রারম্ভে রথযাত্রা শুরু হয়েছিল। স্কন্ধ পুরানে আরো উল্লেখিত আছে যে, এই রথযাত্রা ব্রহ্মার আয়ুষ্কালের দ্বিতীয় পর্বের শেষ পর্যন্ত এই জড় জগত চলতে থাকবে।
যা হোক পাশ্চাত্য জগতে প্রথম ভগবান জগন্নাথদেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় আজ থেকে ৩৬ বছর পূর্বে ১৯৬৭ সালে আমেরিকার সানফ্রান্সিসকোতে। এই সুন্দর উৎসবটির পূর্ব ইতিহাসও খুবই সুন্দর এবং এর শুরুটা হয়েছিল ১৮৭০ এর দিকে। যখন ওড়িষ্যার প্রথম আইন গ্র্যাজুয়েট কেদারনাথ দত্ত যিনি সারাবিশ্বে বর্তমানে শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর নামে বিখ্যাত। তিনি পুরীর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডেপুটি কালেক্টর হয়েছিলেন। আর তখন সরকারের পক্ষ থেকে তাকে জগন্নাথ মন্দিরের আনুষাঙ্গিক দেখাশোনার ভার গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এতে তিনি খুবই খুশি হয়েছিলেন।
ভক্তিবিনোদ ঠাকুর ছিলেন ভগবান শ্রী চৈতন্যমহাপ্রভুর শিক্ষা ও মহিমা প্রচারের অগ্রদূত। একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং গৃহস্থ লোক হিসেবে তার ছিল অনেক দায়িত্ব। তা সত্ত্বেও তিনি একশ’রও বেশি গ্রন্থ এবং প্রবন্ধ লিখেছেন যাতে করে শুদ্ধ ভাগবৎ ধর্ম সুরক্ষা ও প্রচারিত হয়। এমনকি তিনি এ সমস্ত গ্রন্থের অনেকগুলোই পাশ্চাত্যে পাঠিয়েছিলেন এবং পাশ্চাত্যবাসীরা সেগুলো সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। বিশেষত জার্মান এবং আমেরিকান দার্শনিকরা।
এরপর ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের এ প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে ভাগবত ধর্ম প্রচারের সহযোগী হিসেবে ১৮৭৪ সালে জগন্নাথ পুরীতে আবির্ভূত হয় আরেক মহান শুদ্ধভক্ত শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী প্রভুপাদ। অভিজ্ঞ জ্যোতিষবিদরা এই নবজাতকের মধ্যে মহাপুরুষের বিভিন্ন লক্ষণ দেখতে পান। অধিকন্তু ব্রাহ্মণ পৈতার ন্যায় গলায় নাভীরজ্জু দ্বারা মোড়ানো নিয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
১৮৭৪ সালে রথযাত্রার সময় পুরীতে ভগবান জগন্নাথের রথ ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের গৃহের সামনে থেমে যায়। বিমল প্রসাদের (ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী) মাতা ভাগবতী দেবী শিশুটিকে জগন্নাথের রথের পাশে নিয়ে আসেন। ছয় মাস বয়সী সেই ছোট শিশুটি মায়ের কোল থেকে নেমে হামাগুড়ি দিয়ে ভগবান জগন্নাথকে আলিঙ্গন করতে গেলে ভগবানের গলার মালা শিশুটির গলায় এসে পরে। জগন্নাথের মহাপ্রসাদ দিয়ে শিশুটির জন্য অন্ন প্রসাদ এবং সমস্ত অন্যান্য পবিত্র অনুষ্ঠানাদি সম্পাদিত হয়।
জীবনের শুরু থেকেই শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত ছিলেন যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত এবং তার পরবর্তী মিশনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি ভারতসহ বহির্বিশ্বে ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বাণী বিভিন্ন ভাষায় প্রচার করেছিলেন। অনেক শিক্ষিত ভারতীয় এবং অনেক বিদেশীরা তার শিষ্য হয়েছিলেন। ১৯৩৩ সালে তিনি লন্ডনে তার প্রথম প্রচারক দল পাঠান। সেসময় সেখানকার একজন নাস্তিক দার্শনিক, অধ্যাপক রৌবার তাকে লিখেছিলেন, কেন তিনি শুধু শুধু কতগুলো প্রচারকদের ইংল্যান্ডে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন তারা তাদের হৃদয়ে এক ইঞ্চি পরিমাণ স্থানও সেসব প্রচারকদের জন্য দেবেন না। কেননা তারা তাদের দেশের গুরুদেবদের অনেক আগেই বাইরে তাড়িয়ে দিয়েছেন। শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত এর উত্তর দেন “আমি তোমাদের হৃদয়ের এক ইঞ্চি পরিমাণ স্থান আশা করি না। পক্ষান্তরে সমগ্র ইউরোপটাই আমার চাই যেখানে অধিষ্ঠিত হবে পুরুষোত্তমের সিংহাসন।” এভাবে শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত চেয়েছিলেন সমগ্র ইউরোপ পুরুষোত্তম ক্ষেত্রে পরিণত হবে।
পরবর্তী বছর ১৯৩৪ সালের ১৯মে, আলালনাথ মন্দিরে ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর বলেছিলেন, “আমাদের অবশ্যই ভগবান জগন্নাথকে বিমান রথে করে পূর্বসীমা (ভারত) থেকে লন্ডনে নিয়ে যেতে হবে।” এটি তৎক্ষণাৎ ঘটেনি, কিন্তু ১৯৬০ সালে শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত ঠাকুরের এই অপ্রাকৃত বাসনা পূরণ করেন তারই সুযোগ শিষ্য এ. সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী যিনি সারাবিশ্বে শ্রীল প্রভুপাদ নামে পরিচিত এবং যিনি লন্ডনে ভগবান জগন্নাথকে পরিচয় করিয়ে রথযাত্রার সূচনা করেছিলেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশের অনেক অনেক শহরে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।
১৯৭০ সালে ফেব্রুয়ারিতে এক চিঠিতে শ্রীল প্রভুপাদের অন্তরঙ্গজন বিখ্যাত গীতা প্রেসের প্রতিষ্ঠাতা হনুমান প্রসাদ পোদ্দারকে লিখেছিলেন, “আমার প্রিয় হনুমান প্রসাদ পোদ্দার, ইসকনের মন্দিরগুলোতে এখন পূজিত হচ্ছে জগন্নাথ, বলদেব, সুভদ্রা এবং রাধাকৃষ্ণ। যখন আমরা প্রথম মন্দির খুলি প্রথম বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করি জগন্নাথের। আমার গুরু মহারাজ এ দেশগুলোতে জগন্নাথের মন্দির খোলার জন্য বলেছিলেন। তাই আমি সর্বপ্রথমে জগন্নাথকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই অনুপ্রাণিত হই কেননা তিনি ম্লেচ্ছদের প্রতিও দয়ালু। তারপর যথাসময়ে আমি রাধাকৃষ্ণ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করি।”
১৯৭৩ সালে শ্রীল প্রভুপাদ আরেক চিঠিতে লিখেছিলেন, “আমি চাই আমার শিষ্যরা সারাবিশ্বে দুটি জিনিস পরিচিতি করুক তা হল রাধাকৃষ্ণ মন্দির খোলা এবং রথযাত্রা উৎসব।” অতএব এটি নিশ্চয়ই এমন নয় যে, পশ্চিমা বিশ্বে ভগবান জগন্নাথের পূজা এবং রথযাত্রা আকস্মিকভাবে কোন কারণ ছাড়াই আগমন ঘটেছে। পক্ষান্তরে এর পেছনে ভগবান এবং তার শুদ্ধভক্তদের একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল যার পরিপূর্ণতা করেছেন ইস্কন প্রতিষ্ঠাতা ও আচার্য শ্রীল এ.সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ ।
শ্রীল প্রভুপাদ প্রথম ইস্কন প্রতিষ্ঠা করেন আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে এবং পরে আমেরিকার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর সানফ্রান্সিসকোতে ইস্কন সেন্টারে ১৯৬৭ এর প্রথম দিকে ভগবান জগন্নাথের অলৌকিক আগমন ঘটে। তার এক শিষ্যা মালতীর একটি স্টোরে জগন্নাথের সন্ধান পান । তারপর শ্রীল প্রভুপাদের নির্দেশে তার স্বামীকে জগন্নাথের অবিকল একট মূর্তি প্রকাশ করতে বলা হয়। এরপর জগন্নাথ সেখানে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ইস্কন অনুসারীদের কাছে সানফ্রান্সিসকোতে পরিচিত হয়ে উঠে “নিউ জগন্নাথপুরী” হিসেবে।
পরবর্তীতে তারই নির্দেশনায় ১৯৬৭ সালে পশ্চিমা বিশ্বে প্রথম রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় সানফ্রান্সিসকোতে। যেটি ছিল এক বিরাট সফলতা। লোকেরা খুবই উৎসাহ সহকারে এতে স্বতস্ফূর্তভাবে যোগদান করে এক অন্যরকম দিব্য আনন্দের স্বাদ লাভ করে।
এরপর খুব শীঘ্রই লন্ডনে রথযাত্রা পরিচিতি লাভ করে। যখন শ্রীল প্রভুপাদ এবং তার শিষ্যরা কোন নতুন স্থানে কৃষ্ণভাবনা নিয়ে আসে প্রথমে তারা সেখানে ভগবান জগন্নাথের পূজা পরিচিতি করান। ১৯৭০ এ জাপানের টোকিওতে প্রথম রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৭ পর্যন্ত শ্রীল প্রভুপাদ ব্যক্তিগতভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন শহরে লসএঞ্জেলেস লন্ডন, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া, নিউইয়র্ক, নিউ জগন্নাথপুরী (সাফ্রান্সিসকো) অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭২ সালের গ্রীষ্মে ফিলাডেলফিয়াতে জগন্নাথের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সেটি ছিল আমেরিকার পূর্ব উপকূলে প্রথম কোন রথযাত্রা এবং ফিলাডেলফিয়ার ভক্তগণের কাছে পরিচিতি পায় ‘নিউ নীলাচলধাম’ নামে। ১৯৭২ সালে আমস্টারডামে জগন্নাথের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি বর্তমানে বেলজিয়ামে রাধাদেশে পূজিত হচ্ছে।
লন্ডনের বিশাল রথযাত্রার সময় ৭৬ বছরের বৃদ্ধ বয়সেও ট্রাঘালগার স্কয়ার পার্কে বাহু তুলে যুবকের মত নৃত্য করেছিলেন এবং সেখানে তিনি পবিত্র নামের উপর একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন। পরদিন ‘ডেইলী গার্ডেন’ এর সামনের পৃষ্ঠায় সেই রথযাত্রার ছবি ছাপানো হয়। সেখানে মন্তব্যে লেখা হয়, It rivaled the famous column of lord neison. পরবর্তীতে শ্রীল প্রভুপাদের নির্দেশনায় এ রথযাত্রা পরিচিতি লাভ করে কানাডা (টরেন্টো, মন্ট্রিল), ফ্রান্স (প্যারিস), অস্ট্রেলিয়া (মেলবোর্ন, ব্রিসবেন) ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় শহরে। ১৯৭৬ সালে বিশ্বের ১০টি প্রধান শহরে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় এবং মিডিয়াসহ সরকার কর্তৃক মন্তব্য করেন যে, বিশ্বের অন্যান্য উৎসবের তুলনায় এ রথযাত্রা উৎসব সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এবং সুব্যবস্থাকৃত। শ্রীল প্রভুপাদ বলেন, ‘এই হল প্রকৃত জাতিসংঘ (United Nations) যে প্রত্যেকেই সম্মিলিতভাবে নৃত্য করছে এবং জগতের নাথ জগন্নাথকে মহিমান্বিত করছে।” ঐ একই বছর ১৯৭৬ সালে নিউইয়র্কের রথযাত্রায় প্রভুপাদ অংশগ্রহন করেন। তখন মিডিয়ার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ‘East meets west on the fifth Avenue’ | সেই রথযাত্রার পর শ্রীল প্রভুপাদ তার শিষ্য জয়ানন্দ দাসকে লিখেছিলেন, ‘অনেকদিনের আখাঙ্ক্ষা ছিল নিউইয়র্কে রথযাত্রা হবে এবং তুমি আমার সেই আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ করেছ’। এজন্য শ্রীল জয়ানন্দের প্রতি বিশেষ কৃপা বর্ষন করেন ৷
এভাবে গত ২০ বছর ধরে কেনিয়ায় মহাসমারোহে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে শ্রীল প্রভুপাদ প্রথম জগন্নাথ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৩ সালে মেক্সিকোতে প্রথম রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাজিলসহ সাউথ আমেরিকার অনেক দেশে এ রথযাত্রা উদযাপিত হয়। আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এয়ারসের অন্যতম একটি জনপ্রিয় রেস্তোরার নাম দেয়া হয় ‘জগন্নাথ প্রসাদম’। একইভাবে রাশিয়ার মস্কোর আরেকটি জনপ্রিয় রেস্তোরার নাম ‘জগন্নাথ এক্সপ্রেস’।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর এবং বাংলাদেশের কিছু ইস্কন মন্দিরের নাম দেয়া হয় ‘শ্রী জগন্নাথ মন্দির’। মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশে ইস্কনের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে সেই ১৯৮০ সাল থেকে। সুইজারল্যান্ডের জুরিখে জগন্নাথের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ঐ স্থান পরিচিত হয় ‘নিউ জগন্নাথ পুরী’ হিসেবে এবং নিয়মিতই সেখানে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। স্পেনে তিনটি শহর মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও মালাগাতে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ইতালীর মিলানেও এবং অবশ্যই ভারতের বহু স্থানেও এটি অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রীল প্রভুপাদের অপ্রকটের পর তার শিষ্য, প্রশিষ্যরা সারাবিশ্বে এ ধারা অব্যাহত রেখেছে। এখন উপরোক্ত বিশ্বের স্থানগুলোর সঙ্গে যোগ হয়েছে আরো অনেক অনেক দেশ ও শহর। এ সীমিত পরিসরে বিশ্বে কোথায় কোথায় জগন্নাথের রথযাত্রা অত্যন্ত শ্রদ্ধাভরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তা উল্লেখ করা সম্ভব নয় এবং সে সাথে সমস্ত রথযাত্রার সম্পূর্ণ বর্ণনা দেওয়াও দুঃসাধ্য। ভগবান জগন্নাথের মহিমা তার শুদ্ধভক্তরা সর্বদা প্রসারিত করে এবং এমনকি এ ক্ষুদ্র উপস্থাপনাও কেবলমাত্র তাদেরই কৃপার প্রতিফলন। হরে কৃষ্ণ
বি. দ্র. : বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে প্রতি বছর জুলাই মাসে মহাসমারোহে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ, জুন-২০১২ইং সালে প্রকাশিত