এই পোস্টটি 102 বার দেখা হয়েছে
বিস্তৃত আপেল বাগান। প্রতিটি গাছে রয়েছে সুন্দর টকটকে আপেল। কোঁকড়ানো চুলভর্তি এক ভাবুক বিজ্ঞানী কোন এক আপেল গাছের নীচে বসে ভাবনায় নিমগ্ন। হঠাৎ এক আপেল বৃত্ত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরাসরি তার মাথায় এসে পড়ল। তৎক্ষণাৎ তার মনে প্রশ্ন জাগল, আপেলটি গাছ থেকে উপরের দিকে না গিয়ে মাটিতে পড়ল কেন? এ ভাবনা থেকে আবিষ্কৃত হল মাধ্যাকর্ষন শক্তি বা অভিকর্ষ এবং মহাকর্ষ। সেই বিজ্ঞানী হল নিউটন।
অপরদিকে প্রাচীন ভারতীয় এক বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ ভাস্করাচার্য বৈদিক শাস্ত্র গভীরভাবে অধ্যয়ন করতে লাগলেন। গভীরভাবে অধ্যয়ন বিকোষে হয়নি ভাবনা জাগল এই পৃথিবী ও ভিন্নগ্রহগুলি একে অপরের সাথে কেমন আকর্ষনে আবদ্ধ আছে। ১২০০ শতকে তিনি এ সকল ভাবনা ও বৈদিক শাস্ত্রের নির্ভুল তথ্যের সাহায্যে রচনা করলেন “সিদ্ধান্ত শিরোমনি” নামক গ্রন্থ। এই গ্রন্থে তিনি পরিপূর্ণভাবে মাধ্যাকর্ষন শক্তির কথা প্রথম উল্লেখ করেন এবং ব্যাখ্যা করেন। এখানে ১ম ঘটনাটি আমাদের অনেকেরই জানা কিন্তু ২য় ঘটনাটি হয়ত আমাদের অনেকেরই জানা নেই। অর্থাৎ নিউটনের মধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিস্কারের অন্তত ৫০০ বছর পূর্বেই ভাস্করাচার্য তা ব্যাখ্যা করেছেন বৈদিক শাস্ত্র থেকে।
শুধু তাই নয়, সেই বৈদিক যুগ থেকেই বৈদিক শাস্ত্রবিদগণ আলোর গতিবেগ সম্পর্কে জানতেন। বৈদিক শাস্ত্রে উল্লেখ আছে আলোর গতিবেগ অর্ধ নিমেষে ২২০২ যোজন দূর। বৈদিক শাস্ত্র মতে এক যোজন হচ্ছে ৯.০৬ মাইলের সমান এবং অর্ধ নিমেষ সময়কাল বর্তমান ১ সেকেন্ডের ১০ ভাগের ১ ভাগ সময়ের সমান। এই গাণিতিক প্রক্রিয়া হুবহু বর্তমান আধুনিক আলোর গতিবেগের সমান।
সম্প্রতি ভারতে বিখ্যাত টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস একটি গ্ররুপ এক ব্যাঙ্গালুরুর এনজিও ‘সংস্কৃত ভারতী’ নামক প্রতিষ্ঠান একত্রে বৈদিক ঐতিহ্য ও ব্যাপ্তি বিষয়ক এক প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রদর্শনীতে ১৫০টি পোস্টার রাখা হয় যাতে উন্নত বিজ্ঞানভিত্তিক বৈদিক সভ্যতার পরিচয় দেওয়া হয়। এই প্রদর্শনীতে উল্লেখ্য ছিল পাশ্চাত্যের জনগণকে উন্নত প্রাচীন বৈদিক সভ্যতা সম্পর্কে পরিচিতি ঘটানো। বিশ্ববাসী জানে যে, ইংরেজি সংখ্যা জিরো বা শূন্য এসেছে। মূলত বৈদিক শাস্ত্র তথা ভারতীয়দের মাধ্যমে। প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ ভাস্করাচার্য, বৌদ্ধজন, অপস্তম্ভ এবং লীলাবতী প্রভৃতি, গণিতশাস্ত্রে এবং বিজ্ঞানে বহু অবদান রেখেছেন। সেই সময় শুধুমাত্র বৈদিক শাস্ত্র অধ্যয়ন করে তারা বিজ্ঞানের বহু সূত্র আবিস্কার করেছিলেন। সুতরাং ভগবান কর্তৃক মানবসমাজের কল্যাণে দেওয়া বৈদিক শাস্ত্রের ব্যাপকতা যে কত বিশাল তা সহজেই অনুমেয়। উল্লেখ্য যে, ইস্কন; ভক্তিবেদান্ত ইনস্টিটিউট এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীমহল ও বিদগ্ধ সমাজে বৈদিক সংস্কৃতি ও কৃষ্টি ও কৃষ্ণভাবনামৃতের বৈজ্ঞানিক দর্শন প্রচার করে যাচ্ছে। বর্তমানে শুধুমাত্র ৫০০’র ও অধিক বিজ্ঞানী ভক্তিবেদান্ত ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে কৃষ্ণভাবনাময় জীবন যাপন পালন করছেন। হরে কৃষ্ণ।