এই পোস্টটি 1521 বার দেখা হয়েছে

এই সময়: শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সুবিশাল মন্দির। তাকে ঘিরে গড়ে উঠবে পূর্ণাঙ্গ একটি ঝকঝকে শহর। একদিকে যেমন থাকবে কৃষিক্ষেত্র, তেমনই দেশ-বিদেশের ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে হেলিপ্যাডণ্ড। মায়াপুরকে এমনই সব ব্যবস্থাসহ আধুনিক শহর হিসাবে গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইস্কন কর্তৃপক্ষ। বুধবার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে সেই প্রকল্পের জমির বিষয়ে কোনও সমস্যা আছে কি না, তা প্রশাসনিক অধিকারিদের কাছ থেকে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ওরা একটা আধুনিক শহর গড়তে চায়। এ নিয়ে কারও কোনও আপত্তি নেই তো?’ বৈঠককে হাজির জন প্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্তারা জানান, জমি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কারণ, মন্দিরকে ঘিরে আধুনিক শহর গড়ে তোলার মত জায়গা ইস্কনের রয়েছে।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওরা সিটিটা তো ভালো করে করুক। ওরা বলেছে এখানে একটা সিটি করতে চায়। যদি জমিটা ওদের ভক্তদের হাতেই থাকে আর জমি নিয়ে কোনও সমস্যা না-থাকে, তাহলে করুক। সেখানে ওরা অনেক টাকা খরচ করবে। একটা হেলিপ্যাড- হবে। আরও অনেক কিছু করবে। দেশ-বিদেশের তীর্থযাথীরা আসবেন। দোকানপাট বাড়বে। সুযোগ যদি থাকে, আর জমি নিয়ে যদি কোনও সমস্যা না-থাকে তো আপত্তির কিছু নেই।’ এ নিয়ে নদীয়ার জেলাশাসক সুমিতি গুপ্তাকে দ্রুত একটি রিপোর্টও জমা দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মায়াপুর ইস্কনের চিফ কো-অর্ডিনেটর জগদার্তিহা দাস বলেন, ‘আমরা একটি বৈদিক নগরী গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সেটাকেই মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেছেন। আমাদের তরফ থেকে একটি প্রকল্প রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এখানে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, আমাদের ভক্তদেরই জমি রয়েছে। রাজ্য সরকার আমাদের সহযোগিতা করছে।’
কি থাকবে সেই প্রকল্পে? চিফ কো-অর্ডিনেটর জানান, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর একটি বিশাল মন্দির তৈরি কাজ কয়েক বছরের মধ্যেই শেষ হবে। এছাড়া সেখানে এখানকার তাঁত শিল্প, ডেয়ারিফার্ম, কৃষিক্ষেত্র সবই থাকবে। পাশাপাশি জলঙ্গী ও গঙ্গা-এই দুই নদীর যাতে দূষণ না-হয়, তারও ব্যবস্থা থাকবে। বাংলার প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসার আদর্শ গোটা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেওয়াও এর অন্যতম লক্ষ্য। হরেকৃষ্ণ!