এই পোস্টটি 182 বার দেখা হয়েছে
(সাইন্স ডেইলি অবলম্বনে)
পরমেশ্বর ভগবানের প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাসে যে শুধুমাত্র পারমার্থিক প্রগতি হয় তাই নয়। এবার দেখা গেল তাতে শারীরবৃত্তির অগ্রগতিও সাধিত হয়। সম্প্রতি বিশ্ববিখ্যাত “সাইন্স ডেইলি” জার্নালে প্রকাশিত হয় এমন এক চমকপ্রদ তথ্য। ইউরোপের বিখ্যাত ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল সেন্টারের উদ্দেশ্য এমন এক ভিন্নতর গবেষণা সম্পন্ন করা। গবেষকদের মধ্যে প্রধান ছিলেন রুশ ইউনিভার্সিটির ধর্ম, স্বাস্থ্য ও মানবিক মূল্যবোধ শীষর্ক ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ড. জর্জ ফেচিট। গবেষণার বিষয়বস্তু হিসেবে শিকাগো শহরের বিভিন্ন হাসপাতালের মনোস্তত্ত্ব সেন্টারের চরম অথবা মধ্যম হতাশাগ্রস্থ রোগীদের উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালানো হয়। ‘জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি’ তে প্রকাশিত এই গবেষণার মন্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যেসব রোগীদের ভগবানের প্রতি বিশ্বাস অটুট, সেসব রোগীরা নাস্তিক রোগীদের চেয়েও খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। এছাড়া দেখা গেছে যে, আশ্চর্যজনকভাবে ভগবানে বিশ্বাসী রোগীদের দেহে চিকিৎসা দ্রুত অগ্রগতি সাধন করে। গবেষণায় বেক ডিপ্রেশন ইনডেনটরি, বেক হোপলেসনেস স্কেল এবং রিলিজিয়াস ওকেয়ল বিং স্কেল যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এছাড়া যারা নিয়মিত ভগবানের রূপের ধ্যান করেন তারা মেডিক্যাল ট্রিটমেন্টের কার্যকারিতার ৭৫% সফলতা লাভ করেছেন। গবেষণায় আরো প্রমাণিত হয়েছে, যে সমস্ত রোগীরা চরম হতাশাগ্রস্ত তারা যদি ভগবানের প্রতি অগাধ বিশ্বাস স্থাপন করে তবে তাদের হতাশা ৭০% পর্যন্ত কমে যায়।
রুশ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যাপলিন এবং সহযোগী অধ্যক্ষ ডঃ প্যাট্রিকা মারফি বলেন, “আমাদের গবেষণায় আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের কারণে রোগীদের জীবনে পজেটিভ দিকের উম্মোচনের বিষয়টি স্পষ্টত দৃশ্যমান হয়েছে। মূলত সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাসের কারণে রোগীরা তাঁদের মানসিক ও শারীরিক সমস্যার প্রায় অর্ধেকটাই নিরাময় করতে সক্ষম হন।” মারফি আরো উল্লেখ করেন যে, শিশুকাল থেকে কোন ব্যাক্তির প্রতি পরিবারের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ, কেউ যদি ছোটবেলা থেকে আধ্যাত্মিক পরিবারের সঙ্গ পায় তবে ভবিষ্যতে সে খুব দ্রুত তার শারীরিক কিংবা মানসিক সমস্যা থেকে রেহাই পায়। হাসপাতালে অবস্থানরত রোগীদের অনেকেই তাদের জীবনে ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের ফলাফল উল্লেখ করেন। মূলত পরমেশ্বর ভগবান ও তাঁর সৃষ্টির প্রতি কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে সে সহজেই তার জীবনের নানা সমস্যা কিংবা প্রশ্নের সমাধান করতে পারেন। হরে কৃষ্ণ।