এই পোস্টটি 373 বার দেখা হয়েছে

গর্গমুনি দাস: প্রভুপাদ কেন আমেরিকায় এসেছিলেন তা বুঝতে পারাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যে কাজটি উনি প্রথমে করেছিলেন তা হলো, দুইশো সেট ভাগবত এবং “পরলোকে সুগম যাত্রা” উনার সাথে এনেছিলেন। যেটি ১৯৫৮ বা ১৯৫৯ সালের দিকে প্রকাশ করেছিলেন। যখন ‘স্পুটনিক’ মহাকাশে প্রেরণ করা হয়েছিল সেসময় তিনি তা প্রকাশ করেছেন। ‘স্পুটনিক’ থেকে খবর প্রকাশ করা হয়েছিল যে, রাশিয়ানরা ছোট একটা কুকুর মহাকাশে প্রেরণ করেছে। এরপরই তিনি “পরলোকে সুগম যাত্রা” গ্রন্থটি রচনা করেন। কার্যত ১৯৭২ সালের দিকে আমি যখন প্রভুপাদের কক্ষে অবস্থান করি তখন আমি তাঁর কক্ষটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলাম এবং একটি স্টিল ট্রাঙ্ক ভর্তি প্রভুপাদের নিজ হস্তে লিখিত পান্ডুলিপি দেখতে পাই। সে সময় লেখার জন্য কোনো নোটবই ক্রয় করলে ৫ রুপি খরচ হতো। যেটি ছিল খুবই ব্যয়সাধ্য। কিন্তু প্রভুপাদ মাত্র ১ রুপি ব্যয় করতেন। প্রভুপাদের জলদূত ডায়েরীপড়লে জানতে পারা যায়, তিনি দৈনন্দিন খরচের জন্য মাত্র ১ রুপি ব্যয় করতেন। সুতরাং, ৫ রুপি ব্যয় করে নোটবুক কেনা তাঁর জন্য ব্যয়বহুলই ছিল। কিন্তু তখন ঐ সময়ে ভারতে আমরা ব্যবহৃত কাগজ কে.জি পরিমাণে ক্রয় করতাম। সাধারণত দূতাবাস হতে সংবাদপত্রটি প্রকাশ হতো। তারা দৈনিক পত্রিকা ইংরেজিতে প্রকাশ করতো। যেটি শুধুমাত্র এক পাশে থাকত। তাই আমরা প্রায় এক কিংবা দুই কেজি ক্রয় করে পত্রিকাটির পিছনের অংশ লেখার কাজে ব্যয় করতাম। প্রভুপাদের কোনো রেডিও ছিলো না। আবার, যখন তিনি বৃন্দাবনে ছিলেন তখন কোনো সংবাদপত্রও ছিলো না। কিন্তু তিনি রাশিয়ান দূতাবাসের সংবাদপত্রের মাধ্যমে সংবাদ পেতেন। এমনকি তিনি সেটি তাঁর ব্যাক টু গডহেড পত্রিকায় ব্যবহার করতেন।