এই পোস্টটি 1317 বার দেখা হয়েছে
বিজ্ঞানের ইতিহাসে অনেক বৈজ্ঞানিক এই বিশ্ব সভ্যতার উন্নয়নে অবদান রেখে গেছেন। যাদের মধ্যে আইনস্টটাইন, নিউটন, ডাল্টন এসব বিজ্ঞানীদের সমগ্র বিশ্ববাসী চেনে। কিন্তু বিজ্ঞানের বর্তমান আরো যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন সেসব বিজ্ঞঅনীরা এখনও অনেকের কাছে অজানা। বৈদিক বিজ্ঞানের সহায়তায় তারা একে অবদান রেখে গেছেন বিজ্ঞানের প্রতিটি সেক্টরে। নিম্নের প্রতিবেদনটিতে সেসব বিজ্ঞানীদের এক সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হল।
পারমানবিক তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য্য কণাড
(৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে)
ভারতের ছয়টি প্রধান দর্শনের অন্যতম ‘বৈশেষিক দর্শনের’ প্রতিষ্ঠাতা আচার্য্য কণাড ছিলেন দর্শনের ক্ষেত্রে একজন প্রতিভাধর ব্যক্তি। ধারণা করা হয় তার জন্ম গুজরাটের দ্বারকার নিকটতম স্থান প্রভাস ক্ষেত্রে। তিনি ছিলেন বস্তুতন্ত্রবাদ, ল অব কশিয়েশন এবং পারমানবিক তত্ত্ব প্রদানের অগ্রদূত। তিনি সৃষ্টির সমস্ত বিষয়গুলোকে নয়টি উপাদানে শ্রেণিবিভক্ত করেন যেগুলো হল : মাটি, পানি, আলো, বায়ু, ইথার, কাল, শূন্যস্থান, মন এবং আত্মা। তিনি প্রথম বলেন, “সৃষ্টির প্রতিটি বস্তুই হল পরমানুর তৈরি যেগুলো অনু তৈরিতে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়।” তার এই পারমানবিক তত্ত্বই বিশ্ব প্রথমবারের মত আলোচিত হয়। আর তার এ তত্ত্ব ডাল্টনের পরমানুবাদ তত্ত্বের আবিষ্কারের ২৫০০ বছর পূর্বে আবিষ্কৃত হয়। কণাড পরমানুর আকৃতি বা আয়তন এবং গতি ও তাদের মধ্যকার রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্পর্কেও বর্ণনা দেন। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ টি.এন কোলব্রক বলেছেন, “ইউরোপের বিজ্ঞানীদের সাথে তুলনা করলে কণাড এবং অন্যান্য ভারতীয় বিজ্ঞানীরা ছিল এক্ষেত্রে গ্লোবাল মাস্টার।”
রসায়ন বিজ্ঞানের বিস্ময় নাগার্জুন
(১০০ খ্রিস্টাব্দ)
তিনি রসায়ন বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে অনন্য অবদান রাখেন। তার মধ্যে প্রদেশের বালুকা গ্রামে দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষনা তিনি রসায়নের অনেক নব আবিষ্কার ও উদ্ভাবনে অবদান রাখেন। তার প্রকাশিত ‘রস রত্নকার’, ‘রসরুদ্য’, ‘রসেন্দ্রমঙ্গল’ হল রসায়ন বিজ্ঞানের অনন্য গ্রন্থাবলী। যেখানে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত এলকেমিস্টরা ব্যর্থ হয়েছেন সেখানে Alchemy of transmuting base metals into gold আবিষ্কার করেছিলেন। ‘আরোগ্যমঞ্জন’ এবং ‘যোগেশ্বর’ এর মত চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থের লেখক হিসেবে, তিনি মেডিসিনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তার বিশাল পান্ডিত্যের জন্য তিনি বিখ্যাত ‘নালন্দ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। নাগার্জুনের বিস্ময়কর আবিষ্কারগুলো এখনও বর্তমান বিজ্ঞানীদের কাছে বিস্ময়কর।