
শ্রীল প্রভুপাদঃ বিচক্ষণ মানুষেরা সদুপদেশ গ্রহণ করে, কিন্তু মূর্খরা কখনও সদুপদেশ গ্রহণ করে না। মহাকবি কালিদাস, যিনি একসময় মহামূর্খ ছিলেন, তাঁর সম্বন্ধে একটা গল্প আছে। একদিন কালিদাস একটা গাছের ডালে বসে সেই ডালটাকেই কাটছিলেন। তা দেখে একজন লোক তাঁকে বললেন, | “আপনি কেন এই ডালটা কাটছেন? আপনি তো পড়ে যাবেন।” কালিদাস উত্তর দিলেন, ‘না-না, আমি পড়ব না।” তিনি ডালটা কাটতে লাগলেন এবং অবশেষে তিনি গাছ থেকে মাটিতে পড়ে গেলেন। এইভাবে আমরা দেখতে পাই যে, যেহেতু সেই সময়ে তিনি। ছিলেন মূর্খ, তাই তিনি | সদুপদেশ গ্রহণ করেননি। তাদের তথাকথিত বৈজ্ঞানিক প্রগতির ফলে বৈজ্ঞানিকেরা নরকগামী হচ্ছে। কিন্তু তাদের যখন সেই কথা বলা হয়, তখন তারা তা শুনতে চায় না; তাই তারা হচ্ছে এক-একটি মহামূর্খ। মূর্খরা একের পর এক পরিকল্পনা করে, আর যখন সেই পরিকল্পনাগুলি ব্যর্থ হয়, তখন তারা আর একটি পরিকল্পনা করে। কিন্তু যখন আমরা তাদের বোঝাই যে, এই সমস্ত জড়জাতিক পরিকল্পনাগুলি অর্থহীন এবং সেগুলি কোনদিনও ফলপ্রসূ হবে না, তখন তারা সেই কথা শুনতে চায় না। এগুলি হচ্ছে মূর্খতার পরিচয়। মূর্খ চর্বিত জিনিসটাই বারবার চর্বণ করে। বাড়িতে, রাস্তায়, নাইট ক্লাবে, থিয়েটারে যেখানেই সে যাক না কেন, যৌন সংসর্গ করাই হচ্ছে তার একমাত্র উদ্দেশ্য এবং এইভাবেই সে সুখ ভোগ করতে চায়।
শিষ্যঃ শ্রীল প্রভুপাদ, কেউ তো বলতে পারে যে, এটা তাদের বীরত্ব।
শ্রীল প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, তুমি সেটা বলতে পার, কিন্তু তাদের বীরত্বটাই হচ্ছে তাদের মূর্খতা। তারা বীরদর্পে নরকগামী হচ্ছে, এ ছাড়া আর কিছু নয়। একবার একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে তাড়া করছিল। যে মানুষটি তাড়া করছিল, সে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি পালাচ্ছ কেন? তুমি কি আমাকে ভয় পাও?” অন্য লোকটি উত্তর দেয়, “আমি তোমাকে ভয় পাই না। আমি পালাব না কেন? আমি থামব কেন?
ঠিক তেমনই স্কুল জড়বাদীরা বীরদর্পে নরকগামী হচ্ছে। তারা বলে, “আমি আমার পাপ কর্ম থেকে বিরত হব কেন? আমি বীরের মত যে কোনও ফল ভোগ করতে প্রস্তুত আছি।”
ডঃ সিং: ওরা সব পাগলা?
শ্রীল প্রভুপাদ : হ্যাঁ, পাগলই। বেদে বলা হয়েছে, মানুষ যখন পাগল হয়ে যায়, অথবা ভূতে পায়, তখন সে নানারকম অর্থহীন প্রলাপ বকে। তেমনই জড় শক্তির দ্বারা প্রভাবিত মানুষও পাগল। তাই তারা সমস্ত অর্থহীন প্রলাপ বকছে। বৈজ্ঞানিকেরা বিজ্ঞানে মোটেই পারদর্শী নয়, তবে বাক্যবিন্যাস করে অন্যকে প্রতারণা করতে তারা খুব পটু।
ডঃ সিং: এখন তারা অনেক কিছু উদ্ভাবন করেছে যা পূর্বে ছিল না। যেমন টেলিফোন, টেলিভিশন, এরোপ্লেন, ক্ষেপনাস্ত্র এবং এরকম অনেক নতুন নতুন জিনিস।
ঠিক তেমনই স্কুল জড়বাদীরা বীরদর্পে নরকগামী হচ্ছে। তারা বলে, “আমি আমার পাপ কর্ম থেকে বিরত হব কেন? আমি বীরের মত যে কোনও ফল ভোগ করতে প্রস্তুত আছি।”
ডঃ সিং: ওরা সব পাগলা?
শ্রীল প্রভুপাদ : হ্যাঁ, পাগলই। বেদে বলা হয়েছে, মানুষ যখন পাগল হয়ে যায়, অথবা ভূতে পায়, তখন সে নানারকম অর্থহীন প্রলাপ বকে। তেমনই জড় শক্তির দ্বারা প্রভাবিত মানুষও পাগল। তাই তারা সমস্ত অর্থহীন প্রলাপ বকছে। বৈজ্ঞানিকেরা বিজ্ঞানে মোটেই পারদর্শী নয়, তবে বাক্যবিন্যাস করে অন্যকে প্রতারণা করতে তারা খুব পটু।
ডঃ সিং: এখন তারা অনেক কিছু উদ্ভাবন করেছে যা পূর্বে ছিল না। যেমন টেলিফোন, টেলিভিশন, এরোপ্লেন, ক্ষেপনাস্ত্র এবং এরকম অনেক নতুন নতুন জিনিস।
শ্রীল প্রভুপাদ : কিন্তু এর থেকে অনেক ভাল টেলিফোন রয়েছে, যে সম্বন্ধে তারা কিছুই জানে না। সঞ্জয় ধৃতরাষ্ট্রের প্রাসাদে তার সামনে বসে অনেক দূরে কুরুক্ষেত্রে কি ঘটেছিল তার বর্ণনা করেছিলেন; সেই কথা ভগবদ্গীতায় আছে। সঞ্জয়ের দর্শনের ক্ষমতা টেলিভিশনের থেকে অনেক বেশি ছিল। সেটা হচ্ছে অলৌকিক টেলিভিশন সেটা হচ্ছে হৃদয়ের টেলিভিশন, তিনি কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গন থেকে বহু দূরে একটা ঘরে বসেছিলেন, কিন্তু তবুও তিনি সেখানে কি ঘটছিল তা সব দেখতে পাচ্ছিলেন। ভগবদ্গীতায় ধৃতরাষ্ট্র সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসা করছিলেন, “আমার পুত্ররা ও আমার ভ্রাতুষ্পুত্ররা, তারা এখন কি করছে? তারা এখন কেমন আছে?” তখন সঞ্জয় বর্ণনা করলেন কিভাবে দুর্যোধন দ্রোণাচার্যের কাছে গেল এবং দ্রোণাচার্য তাকে কি বললেন, তখন দুর্যোধন কি উত্তর দিল ইত্যাদি। যদিও সেই সমস্ত ঘটনা ঘটছিল সাধারণ মানুষের দৃষ্টিশক্তি থেকে অনেক দূরে, তবুও সঞ্জয় তাঁর অলৌকিক শক্তির প্রভাবে তা দেখতে পাচ্ছিলেন এবং তার বর্ণনা করছিলেন। সেটাই হচ্ছে যথার্থ বিজ্ঞান।
ডঃ সিংঃ অনেক বৈজ্ঞানিকেরা বলে যে, আমরা প্লাস্টিক তৈরি করে, ওষুধ আবিস্কার করে অনেক উন্নতি সাধন করেছি।
ডঃ সিংঃ অনেক বৈজ্ঞানিকেরা বলে যে, আমরা প্লাস্টিক তৈরি করে, ওষুধ আবিস্কার করে অনেক উন্নতি সাধন করেছি।
শ্রীল প্রভুপাদ : বৈদিক যুগে মানুষ সোনার থালায় বা রূপার থালায় খেত, কিন্তু এখন বৈজ্ঞানিক উন্নতির প্রভাবে মানুষ প্লাস্টিকের থালায় খাবার খাচ্ছে। (হাস্য)
ReplyForward
|