প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ
এই পোস্টটি 238 বার দেখা হয়েছে
![বিজ্ঞানীদের প্রতি ঘন্টায় ১টি প্রাণী হত্যা](http://csbtg.org/wp-content/uploads/2021/09/Tj28eWVQKh55ZgPFKwpZ6a-e1632142490563.jpg)
শুধুমাত্র নতুন ঔষধ অথবা কসমেটিক দ্রব্যের পরীক্ষার জন্য প্রতি ঘন্টায় ১টি করে প্রাণী হত্যা করা হচ্ছে। এই বিভৎস ঘটনাটি ঘটে চলছে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে। টেলিগ্রাফ নামে জনপ্রিয় ১টি দৈনিক দাবি করছে যে, বার মাস সম্পূর্ণ না হতেই প্রায় ৮৮১৩টি প্রাণী যার মধ্যে পাখি, পিগস্ সহ অন্যান্য নিরীহ প্রাণীরা এই তথাকথিত পরীক্ষা নামক প্রহসনে বলি হচ্ছে। অন্য ১৬০০০ প্রাণী যাদের রাখা হয়েছে, পূর্ণ বিষয়ভিত্তিক নিরীক্ষণ এর মধ্যে। যাদের প্রয়োগ করা হচ্ছে অতি উচ্চমাত্রার ব্যথা নাশক ঔষধ যা সাধারণের পক্ষেও সহ্য করা অসম্ভব। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত পাওয়া যায় সরকারের সাম্প্রতিক প্রাণী গবেষণা সম্পর্কিত কমিটির প্রতিবেদনে। যেখানে একটি সত্য প্রমাণিত হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রাণীদের সম্পৃক্ত করা পরীক্ষাগুলোর বেশীরভাগ ব্যর্থ হয়েছে। এ শর্তেও তিন বছর ধরে এই সমস্ত ঔষধের বিকল্প হিসাবে নিরীহ প্রাণীদের উপর ১০৮৭ ক্যাপিং প্রয়োগ করা হচ্ছে যাতে ২০০৬ ও ২০০৭ এর মধ্যে কোনটি তারা ভালভাবে গ্রহন করতে পারছে তা জানার জন্য এই পর্যায়ের যদিও ঐ সমস্ত অবলা প্রাণীদের বেশীর ভাগই মৃত্যুবরণ করে।
এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে বিস্ফোরক দ্রব্য দ্বারা ঐ সমস্ত প্রাণীদের ঝলসে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র এই দেখার জন্য যে, এই বিস্ফোরক তাদের সংক্রমন পদ্ধতিকে কিভাবে প্রভাবিত। করে? পরীক্ষার নামে এই ধরনের নির্মম বর্বরতা মধ্যযুগীয় নির্যাতনকেও হার মানায়। শুধুমাত্র মেনভেই ভেবাসিন পরীক্ষার জন্যই শাজার হাজার হাজার ইঁদুর হত্যা করা হচ্ছে। লিথেল ডােড প্রয়োগ করা মাত্রই ৪০টিরও বেশী ইঁদুর সঙ্গে সঙ্গে মারা পড়ে। ক্রমান্বয়ে হাজার হাজার ইঁদুরের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানুষের স্বাস্থ্যের উপযোগী হয় এই ভ্যাক্সিনটি। নিঃসন্দেহে এটি একটি নিষ্ঠূর পদ্ধতি। উলং ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. ডেনিস রাসেল বলেন, এই পরীক্ষা পদ্ধতিটি সত্যিই নিষ্ঠূর। যেখানে এই পশু হত্যা পরীক্ষার পরিবর্তে কম্পিউটার পরীক্ষা কিংবা পশুগুলোর কোষ বা কলা পরীক্ষার মাধ্যমে ঔষধের কার্যকরি নির্ণয় করা সম্ভব সেখানে কেন সরকার এই পরীক্ষার জন্য আবেদনগুলো মঞ্জুর করে আমার বোধগম্য নয়। যেন আমরা শুধুমাত্র উপভোগের জন্যই পশুগুলো নির্মমভাবে হত্যা করছি।
এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে বিস্ফোরক দ্রব্য দ্বারা ঐ সমস্ত প্রাণীদের ঝলসে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র এই দেখার জন্য যে, এই বিস্ফোরক তাদের সংক্রমন পদ্ধতিকে কিভাবে প্রভাবিত। করে? পরীক্ষার নামে এই ধরনের নির্মম বর্বরতা মধ্যযুগীয় নির্যাতনকেও হার মানায়। শুধুমাত্র মেনভেই ভেবাসিন পরীক্ষার জন্যই শাজার হাজার হাজার ইঁদুর হত্যা করা হচ্ছে। লিথেল ডােড প্রয়োগ করা মাত্রই ৪০টিরও বেশী ইঁদুর সঙ্গে সঙ্গে মারা পড়ে। ক্রমান্বয়ে হাজার হাজার ইঁদুরের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানুষের স্বাস্থ্যের উপযোগী হয় এই ভ্যাক্সিনটি। নিঃসন্দেহে এটি একটি নিষ্ঠূর পদ্ধতি। উলং ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. ডেনিস রাসেল বলেন, এই পরীক্ষা পদ্ধতিটি সত্যিই নিষ্ঠূর। যেখানে এই পশু হত্যা পরীক্ষার পরিবর্তে কম্পিউটার পরীক্ষা কিংবা পশুগুলোর কোষ বা কলা পরীক্ষার মাধ্যমে ঔষধের কার্যকরি নির্ণয় করা সম্ভব সেখানে কেন সরকার এই পরীক্ষার জন্য আবেদনগুলো মঞ্জুর করে আমার বোধগম্য নয়। যেন আমরা শুধুমাত্র উপভোগের জন্যই পশুগুলো নির্মমভাবে হত্যা করছি।
NSW এর বিভিউ কমিটি প্রধান মারগারো রোজ বলেন বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষার ৭টি শ্রেনী এতটাই নির্মম যে, এই প্রক্রিয়ার বেদনা দান এখনই বন্ধ করা ও পশুগুলোর প্রতি সদয় হওয়া উচিত। এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১৪টি ঘেড়। প্রায় ৩০০০ মাছ যারা পানি পরিবেশ গত বিষক্রিয়ার পরীক্ষার জন্য ব্যবহার হয়েছে। এছাড়া প্রায় ১০০০ মুরগী, ৩৭৯টি ভেড়া, এবং ৫৯টি গরু। অধ্যাপক রোজ আরো বলেন, সরকারের উচিত অনেক ল্যাবরেটরি, ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রাইভেট কোম্পানীগুলোতে আইন করে এই পশু নির্যাতন বন্ধ করা।
রাসেল বলেন, এটি সত্যিকার অর্থে গুরুত্বপূর্ণ যে, এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের উচিত পরীক্ষার সময় প্রাণীগুলোর প্রতি আরো সদয় হওয়া। যদি যন্ত্রনা দান বন্ধ করা না যায় তবে এই যন্ত্রণা হ্রাস করার ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে। বিজ্ঞানীদের উচিত এই প্রক্রিয়ার একটি শেষ বের করা। যাতে এই ধরনের প্রক্রিয়ায় পশুদের ছাড়াই তাদের পরীক্ষার কার্যকারিতা প্রমাণ করা সম্ভব হবে। কিন্তু এই ধরনের পশু নির্যাতন হরহামেশাই ঘটে চলছে। পশু অধিকার কমিশনের পরিচালক গ্যালায়স অরজেস বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি প্রায় ভাবি তারা কেন এ ধরনের বিভৎস পরীক্ষাগুলো করে?
চৈতন্য সন্দেশ আগস্ট -২০০৯ ইং প্রকাশিত