পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভূমি

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 109 বার দেখা হয়েছে

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভূমি

যেখানে পৃথিবীর সমস্ত প্রান্ত থেকে লোকেরা ভগবানের খোঁজে আসে । এমনকি দেবতারাও এখানে জন্মগ্রহণ করতে বাসনা করেন।

পুরুষোত্তম নিতাই দাস


ভারতবর্ষ মানবজাতির শৈশব অবস্থার দোলনা, মানুষের ভাষার জন্মভূমি, ইতিহাসের মাতৃকা এবং কিংবদন্তী ও ঐতিহ্যের পিতামহী।

-মার্ক টোয়েন, আমেরিকান লেখক।

বিখ্যাত দার্শনিকেরা, লেখকেরা, ঐতিহাসিকেরা এবং বুদ্ধিজীবীরা বহুযুগ ধরে ভারতবর্ষের গৌরবময় অতীতের জয়গান গেয়ে আসছেন। জুলস মাইক্লেট একজন ফরাসি ঐতিহাসিক এবং ‘হিস্ট্রি ডি ফ্রা’-র লেখক বলেছেন, ‘ভারতবর্ষ ছিল পৃথিবীর গর্ভ।’
ভারতবর্ষ বৈচিত্রপূর্ণ, অনেক ভাষাভাষীর দেশ। ভারতবর্ষের মানুষের ভাষা শুমারী অনুসারে প্রায় ৭৮০টি ভাষাতে ভারতবর্ষে কথা বলা হয়। ভারতবর্ষ আবার অনেক ধর্মের জন্মভূমিও।
ভারতবর্ষ তিন মুখ্য ধর্মের জন্মভূমি-শিখ, জৈন এবং বুদ্ধ। এটি মুসলিম গণনা অনুসারে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ, ইন্দোনেশিয়ার পরেই। ভারতবর্ষ সমগ্র পৃথিবীতে তৃতীয় বৃহত্তম শিয়া সম্প্রদায় সম্বলিত আহমেদীয়া মুসলিমদের শৈশব ভূমি বলে মনে করা হয়। পৃথিবীতে মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশের মধ্যে এটি একটি দেশ যেখানে কমপক্ষে এক লক্ষ আহমেদীয় মুসলিম আছেন।
জোরাষ্ট্রিয়ান এবং ইহুদিদেরও ভারতবর্ষে প্রাচীন ইতিহাস আছে এবং প্রত্যেকের বহু হাজার হাজার ভারতীয় অনুগত সমর্থক ছিল। ভারতবর্ষের এক বৃহৎ জনসংখ্যা যারা পৃথিবীর মধ্যে বাহাই এবং জোরাষ্ট্রিয়ান ধর্মে (পার্সি এবং ইরানী) বিশ্বাসী যদিও এই দুই ধৰ্মই আদতে ভারতীয় নয়। পৃথিবীর আরও অন্যান্য ধর্মের ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক ভাবের প্রতি সম্পর্ক আছে যেমন বাহাই ধর্ম বিশ্বাসে বুদ্ধ এবং কৃষ্ণকে পরম পুরুষোত্তম ভগবানের অবতার বলে স্বীকার করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে ভারতবর্ষের বৈচিত্র্যের কোন তুলনা নেই, এটি পৃথিবীর এক অনন্য আশ্চর্য। বেদ বলে প্রত্যেকেই প্রত্যেককে ভালবাসুন কাউকেই ঘৃণা নয়। আমরা কি কখনো মনে মনে কল্পনাও করেছি যে, ভারতীয়দের রীতি, ঐতিহ্য, ভাষা, প্রথা, ধর্ম ইত্যাদি আলাদা আলাদা হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে তারা একত্রে শান্তিতে বহুশত বছর ধরে একত্রে বসবাস করছে?
শ্রীল প্রভুপাদ লিখেছেন, ‘ভারতবর্ষে, এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামেও হিন্দু এবং মুসলিমরা নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন করে সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। হিন্দু এবং মুসলমানরা আমন্ত্রণ গ্রহণ করছে এবং একে অপরের সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করছে।’ (চৈ.চ. আদি ১৭-১৪৮)
ভারতীয়দের বহু বছর ধরে এই বিশিষ্ট গুণাবলী প্রদর্শন সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র মহান বৈদিক সাংস্কৃতির প্রভাবে যা প্রত্যেকের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বসবাস করার শিক্ষা প্রদান করে ।
বেদ এই শিক্ষা দেয় যে, প্রতিটি জীবাত্মা পরম পুরুষোত্তম ভগবানের অংশ। তাই প্রত্যেকের সকলকেই ভালবাসা উচিত। কাউকেই ঘৃণা করা উচিত নয়। বেদ আরও শিক্ষা দেয় ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, সহানুভূতি, নম্রতা ইত্যাদি গুণাবলী বৃদ্ধি করতে। যদি কোন ব্যক্তি এই সমস্ত ধার্মিক গুণাবলী আয়ত্ত করতে চেষ্টা করে সে অবশ্যই ভক্তে পরিণত হবে এবং অপরের পরম মঙ্গলাকাঙ্ক্ষীতে রূপান্তরিত হবে। সে কখনোই নিজেকে অনৈতিক কাজে নিয়োজিত করবে না, যা অন্যকে ব্যাথা দেয়। পরন্তু অপরের দুঃখ দুর্দশাকে উৎপাটিত করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকবে।

ভারতবর্ষের সমৃদ্ধ বৈদিক সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ

ভারতবর্ষের বৈদিক সংস্কৃতি প্রায়শই হয় আভ্যন্তরীণভাবে না হয় বাহ্যিকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। বহু বহিঃশত্রু ভারতবর্ষে এসেছে শুধুমাত্র ধন সম্পদ লুণ্ঠন করার উদ্দেশ্যে, নয় তারা বৈদিক সভ্যতা এবং সংস্কৃতিকেও ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। ভারতবর্ষ বহু শত এ বৎসর বৈদেশিক শাসনের দখলে ছিল যদিও আমরা প্রায় ৭০ বছর আগে স্বাধীনতা অর্জন করেছি কিন্তু এখনো ভারতবর্ষের সমৃদ্ধ বৈদিক ঐতিহ্যের ওপর আঘাত চলছেই। যারা ভারতবর্ষের শত্রু তারা এক বিশেষ পন্থা অবলম্বন করেছে যার মাধ্যমে বৈদিক গ্রন্থের ভুল ব্যাখ্যা করছে, বৈদিক ইতিহাসকে বিকৃত করছে এবং বর্তমান ভারতবর্ষে জাতি এবং ধর্মের নামে যে সামাজিক অবিচার চলছে তার কারণসমূহ বৈদিক শিক্ষা এবং বেদের ওপর আরোপ করা হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে আমরা দেখেছি যে, কিভাবে ভারতীয় যুবসমাজের মনকে বিষিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে তারা ভারতবর্ষের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিরোধী ধ্বনি দিতেও দ্বিধা করছে না।
তা সত্ত্বেও আমরা যদি নিরপেক্ষভাবে বেদ অধ্যয়ন করি তাহলে আমরা এই শাস্ত্রের সমৃদ্ধতা সম্বন্ধে অবশ্যই গুণগান করবো। যদি আমরা বেদ গভীরভাবে অধ্যয়ন করি তাহলে আমরা দেখতো পাবো যে, বেদ শান্তির বাণী বহন করে এবং অপরকে উপেক্ষা করতে শেখায় না। আমরা নির্ভয়ে সংযোজন করতে পরি যে, বহু বৈচিত্রের মধ্যে ভারতীয়দের একতা সম্ভব কারণ আমাদের মৌলিক শিক্ষাই হচ্ছে বৈদিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য ।
বৈদিক শাস্ত্র পৃথিবীর প্রাচীনতম শাস্ত্র। এর গভীরতা সমূহ:
১. বেদ চার প্রকারের ঋগবেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ এবং অথর্ববেদ এবং সমগ্রভাবে ২১, ১০৯, ১০০০ এবং ৫০টি শাখা আছে আর লক্ষাধিক পংক্তি বর্তমান। তার মধ্যে অনেকগুলিই নষ্ট হয়ে গেছে। আজ আমরা প্রায় ২০,০২৩ ( অথবা প্রায় ২০,৩৭৯) পংক্তি এই চার বেদের মধ্যে দেখতে পাই ।
২. আঠারোটি পুরাণ বর্তমান এবং তাতে ৪,০০,০০০ পংক্তি বর্তমান
৩. মহাভারত সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে বৃহত্তম মহাকাব্য যাতে ১,১০,০০০ পয়ার বর্তমান।
৪. রামায়ণ আরেক অনন্য মহাকাব্য যাতে ২৪,০০০ পংক্তি বর্তমান ।
৫. তালিকা এখানেই শেষ নয়; আরও বহু অনবদ্য মহাগ্রন্থ আছে যেমন ব্রহ্মসংহিতা, আরণ্যক, উপনিষদ্, উপবেদ, বেদাঙ্গ ইত্যাদি ।
এই বিশালাকায় গ্রন্থগুলি এই পৃথিবীতে অতুলনীয়। এই গুলি প্রমাণ করে যে, যারা এই সমস্ত সমৃদ্ধ গ্রন্থগুলি রচনা করেছিলেন তারা সাধারণ আত্মা ছিলেন না। তাঁরা অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন এবং তাঁদের লিখিত গ্রন্থগুলির মধ্যে দিয়ে তারা চেয়েছিলেন একটি আধ্যাত্মিক চেতনাযুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে যেখানে প্রত্যেকে ভগবানের আশ্রয়ে আছে বলে অনুভব করবে।
এটি আমাদের পক্ষে অত্যন্ত বেদনাদায়ক যখন আমরা দেখি যে, কিছু ভারতীয় পক্ষপাতদুষ্ট ছদ্ম পণ্ডিতদের প্রভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে ভারতবর্ষের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে কথা বলে । যদিও এরকম আক্রমণ নতুন নয় এবং এই আক্রমণগুলিকে সর্বদাই সাফল্যের সঙ্গে প্রতিহত করা হয়েছে। অধিকাংশ ভারতীয়ই ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল এবং ভগবদ্ বিশ্বাসী। শ্রীল প্রভুপাদও এই কথারই প্রতিধ্বনি করেছেন; ৯৯.৯ শতাংশ ভারতীয়দের কাছে এমনকি যারা গ্রামের সাধারণ কৃষক যারা অশিক্ষিত এবং যারা সম্ভ্রান্ত নয় তারাও আত্মার দেহান্তরে বিশ্বাস করে, অতীত এবং ভবিষ্যতে, বিশ্বাস করে এবং পরমেশ্বর ভগবানের এবং তাঁর পার্ষদদের পূজা করে। (চৈ.চ. আদি ৯/৪১)

কেন ভারতবর্ষ মহান ?

মানব জীবনের উদ্দেশ্যই হল ভগবদ্‌জ্ঞান লাভ করা। বৈদিক গ্রন্থগুলি আমাদের ভগবদ্‌প্ৰেম লাভের শিক্ষা দেয়। যারা ভারতবর্ষে জন্মগ্রহণ করেছেন তারা বৈদিক জ্ঞান লাভের সুবিধা প্রাপ্ত হয় যা ব্যাখ্যা করে যে, কোন্ পন্থায় অগ্রসর হলে একজন ভগবদ্ ভক্তে রূপান্তরিত হয়ে বৈকুণ্ঠ ধাম প্রাপ্ত হতে পারে। শ্রীল প্রভুপাদ লিখেছেন যে, ‘সবদিক দিয়েই ভারতবর্ষ হল সেই বিশেষ ভূমি যেখানে একজন খুব সহজেই ভগবদ্ ভক্তি লাভ করতে পারে এবং সেটি আত্মস্থ করে তার জীবনকে সার্থক করতে পারে।’
পৃথিবীর সমস্ত প্রান্ত থেকে লোকেরা এখানে ভগবানের খোঁজে আসে। এমনকি দেবতারও এখানে জন্মগ্রহণ করতে বাসনা করেন। কূর্ম পুরাণে বলা হয়েছে; দেবতাদের এই ইচ্ছা সেখানে প্রকাশ পেয়েছে—

অনধিকারিণো দেবাঃ স্বৰ্গস্থা ভাতোদ্ভবম্ ।
বাঞ্ছন্ত্যান্তমবিমোক্ষার্থমুদ্রেকার্থেহধিকারিণঃ ॥

দেবতারা যদিও স্বর্গলোকে অতি উচ্চপদে অধিষ্টিত, তবুও তারা এই পৃথিবীর ভারতবর্ষে আসতে ইচ্ছা করেন। তা থেকে বোঝা যায় যে, দেবতারাও ভারতবর্ষে বাস করার উপযুক্ত নন। অতএব ভারতবর্ষে জন্মগ্রহণ করা সত্ত্বেও যারা এই জন্মের পূর্ণ সুযোগ না নিয়ে কুকুর বেড়ালের মতো জীবন যাপন করে তারা অবশ্যই অত্যন্ত দুর্ভাগা। (৫/১৯/২৯-৩০ শ্রীমদ্ভাগবত তাৎপর্য)
এই সেই ভূমি যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, ভগবান শ্রীরাম চন্দ্র এবং ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁরা এখানে বহু বিস্ময়কর লীলা বিলাস করেছেন যা আজও কোটি কোটি মানুষের হৃদয় হরণ করে। মহান আধ্যাত্মিক মহাজন যেমন রামানুজাচার্য, মধ্বাচার্য, ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর, শ্রীল প্রভুপাদ এখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁরা আমাদের আধ্যাত্মিক অচেতনা থেকে জাগিয়ে তুলে শিখিয়েছেন কিভাবে বাস্তবে আমরা ভক্তি জীবনে প্রগতি করতে পারি।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন—

ভারত-ভূমিতে হৈল মনুষ্য-জন্ম যার।
জন্ম সার্থক করি কর পর-উপকার ॥

যারা ভারতবর্ষে মনুষ্য জন্ম লাভ করেছেন, তাদের কর্তব্য হচ্ছে তাঁদের জন্ম সার্থক করে পর-উপকার করা।
বর্তমানে ভারতবর্ষ যদিও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভৌতিক সম্পদে ধনী নয় কিন্তু আধ্যাত্মিকতায় আজও সমৃদ্ধ। একদা পাশ্চাত্যে একজন ভদ্রলোক শ্রীল প্রভুপাদকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আমাদের এখানে সব কিছুই আছে। আপনি এক দরিদ্র দেশ থেকে এসে আমাদের কি দিতে পারেন?’ শ্রীল প্রভুপাদ বিনীতভাবে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘বৃটিশেরা ভারতবর্ষের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে কিন্তু বৈদিক জ্ঞান নিয়ে আসতে ভুলে গেছে। আমি এখানে এসেছি সেই জ্ঞান তোমাদের উপকারের জন্য বিতরণ করতে।’
বেদের শিক্ষা যেমন ভগবদ্‌গীতা যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ এমনকি ভৌগোলিক সীমারেখাকেও অতিক্রম করে গেছে। মানবকুল আজও এই জ্ঞানকে সময়োপযোগী বলে মনে করে। যে মুহূর্তে তারা এই শাস্ত্রজ্ঞানের শিক্ষা নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করতে শুরু করে সেই মুহূর্ত থেকেই তারা জীবনে শান্তি এবং আশীর্বাদের অনুভূতি পেতে শুরু করেছে।
ভারতবর্ষের এই ভূমি সুমহান এবং আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, আমরা এখানে জন্মেছি। এখানে ভক্তিময় জীবনযাপন করার অসীম সুযোগ সুবিধা আমরা পাই যা আমাদের জন্ম, মৃত্যু, জরা এবং ব্যাধির কালচক্র হতে মুক্ত হতে সাহায্য করে। সর্বশেষে আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ধামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ লাভ করি।
লেখক পরিচিতি: পুরুষোত্তম নিতাই দাস ইস্‌কন কলকাতার ভক্তিবৃক্ষের একজন সদস্য। বর্তমানে তিনি টেক মহিন্দ্রায় কর্মরত।


জানুয়ারী-মার্চ  ২০১৮ ব্যাক টু গডহেড
সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।