এই পোস্টটি 212 বার দেখা হয়েছে
বর্তমান সময়ে প্রাক্তন বা অধুনা প্রায় সকল চিকিৎসকই প্রায়শই তাদের রোগীদের উপদেশ দিয়ে থাকেন যে “আপনার যথেষ্ট পরিমাণ জল পান করা উচিত” কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ মানে কি পরিমাণ? ১ লিটার? ২ লিটার? ১ বালতি? এই বিষয়ে আয়ুর্বেদ আমাদের পাঁচটি সমাধান দিচ্ছে নিন্মে তা বর্ণিত হল:-
১. সকলের জন্য জল পান করার কোনো সাধারণ নির্ধারিত কোনো নিয়ম নেই। কারো ২ লিটার জল, কারো জন্য এর কম আবার কারো জন্য অতিরিক্ত হতে পারে, একজন ব্যক্তির দৈনিক কি পরিমাণ জল গ্রহণ করা প্রয়োজন সেটি ১টি সূত্রের মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়। সূত্রটি হল: শরীরের ওজন (কিলোগ্রাম) : ২৮.৩= গৃহীত জলের পরিমান অর্থাৎ এটি অত্যন্ত পরিস্কার যে ৫০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তির জন্য (২ লিটার জল ) গ্রহণ করার প্ৰয়োজনীয়তা নেই ।
২. দিনেই সর্বোচ্চ পরিমাণ জল গ্রহণ করুন, ৪০% জল প্রাতরাশ সম্পন্ন করার পূর্বে গ্রহণ করা উচিত অর্থাৎ দিবসের প্রথম নয় ঘন্টার মধ্যে, ৮০% জল দুপুরের খাবার শুরু করার পূর্বে (দিবসের প্রথম ১৪ ঘন্টার পূর্বে), দুপুরের খাবার পর অবশিষ্ট ২০% জল গ্রহণ করা উচিত অর্থাৎ ১৯ ঘন্টা পর, এটা নির্ধারিত নয় যে সকল জল এক সাথে পান করতে হবে।
৩. জল অবশ্যই জীবন্ত এবং যথার্থ রূপে সুসংগঠিত। জল হচ্ছে জীবনদায়ি আদ্রতা যা শরীরের কোষকে পরিপূর্ণ করে। বৈজ্ঞানিকগণ যারা জলের স্ফটিক কণা নিয়ে গবেষণা করেছেন, তারা দেখতে পেয়েছেন যে, ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় জলের স্ফটিক কণা তার ঘটন অবস্থার পরিবর্তন করছে। শুধুমাত্র জলীয় কোষই তার মেমব্রেনের অভ্যন্তর অন্য কোষ পরিব্যপ্ত হতে পারে। তাই এটি যথার্থভাবে সুসংঘঠিত (ষড়ভুজ আকৃতির)। সকল জলীয় কণা এই রকম নয়। মাইক্রোওয়েভে (যান্ত্রিক চুল্লিতে) সিদ্ধ হওয়া জলকে সাধারনত মৃত বলে বিবেচনা করা হয়। দ্বী স্রাবন প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধকৃত জলকেও মৃত বলে বিবেচনা করা হয়। সবচেয়ে সুপ্রেয় জল হচ্ছে প্রাকৃতিক জল বা যথার্থ উৎস হতে প্রাপ্ত জল, তবে ঐ ভুঃগর্ভস্থ উৎস হতে উত্তোলিত নলকূপের জল, পরিচ্ছন্ন পাত্রে ক্লোরিন দ্বারা পরিশোধিত জল ও অতটা খারাপ নয়। আশ্চর্যের বিষয় এই যে, জলের কিছু সুশ্রবণযোগ্য ভাল শব্দ উচ্চারণ করলে সেটির আনবিক গড়নের তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি ঘটে। তোমাকে ধন্যবাদ, হে প্রেমময়…আদি শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে আপনি জীবন্ত জল পান করতে পারেন।
৪. পানীয় জল ঊষ্ণ বা ঈষৎ গরম হওয়া উচিত, তবে অতি গ্রীষ্মকালে শীতল জল পান করা যায়, মনে রাখতে হবে শীতল জল কিডনীতে প্রবাহিত হয়ে কিডনীর ক্ষতি করতে পারে।
৫. চা বা অন্যান্য পানীয়কে জল হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়, এগুলো অনেকটা খাবারের মত, সব গুলোই শুদ্ধ জল গ্রহনের সমকক্ষ নয়। শুদ্ধজল বলতে H2O কে বুঝায়। হরেকৃষ্ণ!
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ এপ্লিল ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ