এই পোস্টটি 173 বার দেখা হয়েছে
![নিউজিল্যান্ডে নিষিদ্ধ হচ্ছে ধূমপান](http://csbtg.org/wp-content/uploads/2023/04/77.jpg)
ধূমপান নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের মানুষ বলছেন, এই আইনের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে ধূমপানের হাত থেকে রক্ষা পাবে অধূমপায়ী ও শিশুরা, বাঁচবে অর্থ। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তামাক উৎপাদন কমানোর উপরও দেয়া হচ্ছে গুরুত্ব। “ধূমপান মৃত্যুর কারণ”, “ধূমপানে ক্যান্সার হয়” এমন স্লোগানেও নিরুৎসাহিত করা যায়না ধূমপায়ীদের। এবার আরো কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। আগামী প্রজন্মকে ধূমপানমুক্ত করতে সিগারেট নিষিদ্ধ হচ্ছে নিউজিল্যান্ডে। ২০২২ সালেই এটি আইনে পরিণত করতে চায় দেশটির সরকার। আইনটি পাস হলে ২০২৭ সাল থেকে ১৪ বছর বা তার কম বয়সীরা কোনোভাবেই সিগারেট কেনার অনুমতি পাবে না। এমনকি ১৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে কিনতে পারবে না সিগারেট। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তরুণরা যেন কখনোই ধূমপান না করে এটা নিশ্চিত করতে চাই, করতে চাই মাদকমুক্ত প্রজন্ম। এটি যে সব ব্যক্তির জন্য অনিরাপদ সেটা শুধু বার্তার মাধ্যমেই নয় আইনের মাধ্যমে নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। তামাক উৎপাদন কমানোর উপরও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।” নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এমন ঘোষণায় খুশি দেশটির সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মানুষকে পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া তরুণদের নিকোটিনে আসক্ত হওয়ার সংখ্যা অনেক কমে আসবে। সত্যি দারুণ উদ্যোগ। কারণ, রাস্তাঘাটে সিগারেট খাওয়ার সময় অনেক শিশু পাশে থাকে, যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়া এটি কার্যকর হলে অনেক অর্থ বাঁচবে। ধূমপানের বিকল্প সবসময়ই আছে। অনেকে ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া শুরু করেছে সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত। এছাড়া হুট করে ছেড়ে দেওয়াটা কঠিন। অবশ্য দিনশেষে এটি ভাল ধারণা বলে মনে করছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী মাত্র যাদের বয়স ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে তাদের প্রায় ১১.৬ শতাংশ ধূমপায়ী। ভুটানের পর, নিউজিল্যান্ড হবে দ্বিতীয় দেশ যেখানে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে ধূমপান।
পরিসংখ্যান অনুসারে:
১. ২০২০ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ১২% এরও অধিক লোকের মৃত্যুর কারণ টোবাকো যা এইডস্, সন্তান-প্রসব, যানবাহন দূর্ঘটনা, আত্মহত্যা ও ঘাতক কর্তৃক সর্বমোট মৃত্যুর চেয়ে অধিক।
২. টোবাকো প্রতিদিন বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ হাজার লোককে হত্যা করে। যথাযথ কার্যকরী পন্থা গ্রহণ করা না হলে ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক মৃত্যু ৮ মিলিয়নেরও অধিক হয়ে যাবে!
৩. বিশ্বে ধূমপায়ীর সংখ্যা ১ বিলিয়ন।
৪. ধূমপানে মৃত্যুর মধ্যে অর্ধেক যারা কৈশোরে ধূমপান শুরু করেছে তারা মধ্যবয়সেই মৃত্যুবরণ করবে। অর্থাৎ স্বাভাবিক জীবনের প্রায় ২২টি বছর তারা হারাবে।
৫. টোবাকো প্রতিবছর প্রায় ৬ মিলিয়ন লোককে হত্যা করে। এর মধ্যে ৫ মিলিয়ন সরাসরি ধূমপানের মাধ্যমে এবং ৬ লক্ষ সেকেন্ড হ্যান্ড ধূমপান থেকে মৃত্যুবরণ করে।
৬. টোবাকোতে ৪,০০০ এরও অধিক রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে। যাদের মধ্যে অন্তত ২৫০টি হলো ক্ষতিকারক এবং ৫০টিরও অধিক দ্রব্য ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
৭. অধূমপায়ীদের চেয়ে ধূমপায়ীদের ২০০% থেকে ৪০০% হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশী থাকে।
৮. প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে ৪ জনের অন্তত ১জন ধূমপায়ী পিতা/মাতা রয়েছে।
(সূত্র: ইন্টারনেট)
চৈতন্য সন্দেশ জানুয়ারি-২০২২ প্রকাশিত