শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯

নাসার প্রমাণ: মহাবিশ্বের শ্রেষ্টতম ভাষা সংস্কৃত (শেষ পর্ব)

প্রকাশ: ২ নভেম্বর ২০১৮ | ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ২ নভেম্বর ২০১৮ | ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ
নাসার প্রমাণ: মহাবিশ্বের শ্রেষ্টতম ভাষা সংস্কৃত (শেষ পর্ব)

ভদ্র বলরাম দাস: জড় বিজ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আধুনিক বিজ্ঞান এখনো প্রকৃতির নিয়ম সর্ম্পকে সামান্যতম জ্ঞান অন্বেষণের জন্যও বারংবার বিফল প্রচেষ্টা করছে। এর কারণ হল প্রকৃতি কখনোই তার নিয়ন্ত্রন অন্য কাউকে সমর্পন করে না। প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রন তো অনেক দূরের বিষয়, প্রকৃতি সর্ম্পকে সম্যক জ্ঞান আহরণও মানুষের দুঃসাধ্য।
সংস্কৃত ভাষায় রচিত মন্ত্রসমূহ হল মহাজাগতিক কোড। কেউ যদি সুস্পষ্টভাবে সেগুলো উচ্চারণ করতে পারে, তবে সে দেব-দেবী ও পরমেশ্বর ভগবানের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেন। এটি হল বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানীদের রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে দূরবর্তী কোন যান নিয়ন্ত্রন করার মত। কিন্তু একমাত্র পার্থক্য হল, এটি কোন রিমোট কন্ট্রোলের মত নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে ঘটে না, বরং ভগবানের প্রতি প্রার্থনার মাধ্যমে সংগঠিত হয়। কেননা দেব-দেবীগণ হলের উচ্চতর কর্তৃপক্ষ। সকলেই জানেন কর্তৃপক্ষের নিকট রূঢ় আচরণের দ্বারা কেউই তাদের আনুকূল্য লাভ করতে পারেন না। অতীত বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে, যেখানে সঠিক মন্ত্র জপের মাধ্যমে সুদক্ষ ব্যক্তিগণ অগ্নি, বৃষ্টি এমনকি বায়ুকেও বশিভূত করতে পারেন দেব-দেবীদের সহযোগীতায়। দেব-দেবীগণ হলেন মহাজাগতিক শক্তির নিয়ন্ত্রক তাই মন্ত্র ব্যবহার (যাকে বলা যায় তারহীন নির্দেশ)করার মাধ্যমে আমরা মেঘ, ঝড়, ঠান্ডা, তাপ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রন করতে পারি। মহাবিশ্বে অসীম পরিমাণ গ্রহ-নক্ষত্র সমূহ হল আমাদের স্যাটেলাইটের মত তবে এগুলো অনেক উন্নত প্রকৃতির।
বিভিন্ন দেশের সরকার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচিত তাদের কারিকুলামে সংস্কৃত ভাষা শিক্ষাদান চালু করা যেন নতুন প্রজন্মের অধিকতর মানুষ এই বিদ্যা অর্জন করে জড় জগত সর্ম্পকে অধিক উপলব্ধি ও জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়। এটি বাস্তবায়িত হলে মানুষের কোটি কোটি টাকা বাঁচবে, অধিক শক্তি ও সময় অপচয় বন্ধ হবে, কল্পনাকেন্দ্রিক ও পরিবর্তনশীল তত্ত্ব সমৃদ্ধ মহাকাশ গবেষণার নামে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অপচয় দূর হবে। হরেকৃষ্ণ!

(মাসিক চৈতন্য সন্দেশ পত্রিকা সেপ্টেম্বর ২০১৮ তে প্রকাশিত)

সম্পর্কিত পোস্ট

About csbtg