এই পোস্টটি 275 বার দেখা হয়েছে
“নিউ জগন্নাথ পুরীর “ফুড ফর লাইফ”-এর ভক্তরা ১০৮ পট বিরিয়ানী রান্না করে
মাধব স্মুলেন: দক্ষিণ আফ্রিকায় ডারবান শহরের ফিনিক্সে অবস্থিত ইস্কন নব জগন্নাথপুরী মন্দিরের “ফুড ফর লাইফ” বিভাগের ভক্তবৃন্দ ৯ আগস্ট ১০৮ বৃহৎ রন্ধন পাত্রে বিরিয়ানি, অন্ন, সবজিসহ বিভিন্ন রকম প্রসাদ প্রস্তুত ও বিতরণ করার অনুষ্ঠান আয়োজন করে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ভক্তরা অত্যন্ত উৎসাহের সাথে নব জগন্নাথপুরী মন্দির প্রাঙ্গণে সারি সারি চুলায় কাঠ দিয়ে তারা রান্না চালিয়ে যায়। ফুড ফর লাইফের ভক্তবৃন্দ জাতি-বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে দরিদ্র মানুষের মাঝে ২১,৬০০ প্যাকেট প্রসাদ বিতরণ করে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বার্ষিক জাতীয় মহিলা দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন এই প্রচেষ্টা অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরের অধ্যক্ষ প্রভানু দাস বলেন, “আমরা আগের দিন (রবিবার) সমস্ত খাদ্য উপাদান আধা প্রস্তুত করে রেখেছিলাম, যাতে সোমবার সকালে খাদ্য উপাদানসমূহ মসৃণ থাকে ও রান্না দ্রত করা সম্ভব হয়। প্রতি গ্রপের ভক্তদের জন্য দশটি পাত্র বরাদ্দ ছিল, যাতে তারা সেগুলোতে খাদ্য উপাদান রাখতে পারে এবং যথার্থভাবে রান্না সম্পূর্ণ করতে পারে। আমরা ভোর ৪ টায় রান্না শুরু করেছিলাম এবং সকাল ১০ টার দিকে রান্না শেষ করেছি। ভক্তরা ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা মন্দিরের দক্ষিণে প্রায় ৪০ কিলোমিটার ও উত্তরে ২৫ কিলোমিটার জুড়ে সকল দরিদ্র মানুষের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করে। এছাড়াও, মন্দির হতে শুরুতে তিন থেকে চার হাজার প্রসাদ বতরণ করা হয়েছিল। কোভিড সতর্কতায় ভক্তরা মাস্ক পড়া, স্যানিটাইজেশন গ্রহণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অত্যন্ত যত্নবান ছিলেন।
একজন ভক্ত রান্নার সবজি প্রস্তুত করছেন
শ্রীপাদ প্রভানু দাসের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকার ভক্তদের উদ্দেশ্যে শ্রীল প্রভুপাদের প্রধান নির্দেশাবলীর মধ্যে একটি হল ‘ফুড ফর লাইফ’-এর মাধ্যমে প্রসাদ বিতরণ করা। তাই এটি পুনরায় চালু করা “ফুড ফর লাইফ” বিভাগের ভক্তবৃন্দের প্রতি শুভেচ্ছা ও প্রচারের উন্নতির জন্য শুভ কামনা রইল। তিনি আরো বলেন যে, “আমরা মন্দিরের আশেপাশের এলাকাটিকে যতটা সম্ভব ক্ষুধা মুক্ত অঞ্চল হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।”
প্রভানু প্রভু বলেন, “খোলা আগুনে রান্না করা প্রসাদ স্বাদে ভালো হয়”
জাতীয় মহিলা দিবস উপলক্ষে একটি স্থানীয় অনলাইন রেডিও স্টেশনে মন্দিরের বিভিন্ন দিক আলোচনা ও ভক্ত মাতাজীদের সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয় । আমার মনে হয় দরিদ্রদের মাঝে প্রসাদ বিতরণের মধ্যে দিয়ে আমরা নারীদের প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করছি। প্রসাদ গ্রহণকারীদের কাছ থেকে আমরা ব্যাপক উৎসাহ ও প্রশংসা লাভ করি। একটি বিষয় যা আমরা বছরের পর বছর ধরে শিখেছি তা হল খোলা আগুনে রান্না করা প্রসাদ অবশ্যই গ্যাসে রান্না করা প্রসাদের চেয়ে অনেক সুস্বাদু হয়। “ফুড ফর লাইফ” প্রসাদ বিতরণ কার্যে সহায়তা করার জন্য অন্যান্য সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানায়। এধরনের সফলতা লাভ করার পর “ফুড ফর লাইফ” প্রতিদিন খাবার বিতরণের লক্ষ্যে প্রতি সপ্তাহান্তে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ প্যাকেট প্রসাদ বিতরণ করছে। আমি আশা করছি এটি মানুষকে একত্রিত করবে। আমরা তাদের ক্ষুধা মেটাতে সক্ষম হব এবং এটি শ্রীল প্রভুপাদের গ্রন্থ ও কৃষ্ণভাবনামৃত প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।