এই পোস্টটি 347 বার দেখা হয়েছে
‘লীভ সাইন্স’ নামক বিখ্যাত ম্যাগাজিনে সাম্প্রতিক প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে, সম্পাদনায় মিলিন্ডা ওয়ার্নার
আমেরিকার মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত বিখ্যাত “মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটি”র প্রফেসর এবং সমাজতত্ত্ববিদ জন বার্টকোস কি ও তার দল ১৬,০০০ জন শিশু এবং তাদের পরিবারের মধ্যে এক গবেষণা চালান। গবেষণার বিষয় ছিল শিশুরা কতটা আত্ম নিয়ন্ত্রণকারী, পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন অবস্থায় তাদের আচরণ কেমন, বড়দের সাথে তাদের বোঝাপড়া কতটুকু? গবেষণায় আরো বিষয়বস্তু মধ্যে ছিল যে, শিশুরা কতবার উপাসনালয়ে যায় এবং ধর্মীয় বিষয়ে তাদের আগ্রত কতটুকু। এ গবেষণায় তারা এক যুগান্তকারী বিষয় আবিষ্কার করেন।
আবিস্কার করেন। গবেষণায় দেখা যায় যে, যে সকল শিশু পিতামাতারা নিয়মিত ধর্মীয় উপাসনালয়ে গমন করেন এবং শিশুদের সাথে ধর্মী বিষয়ে আলোচনা করেন তাদের শিশুর অন্যান্য শিশুদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি আত্মনিয়ন্ত্রণকারী, সামাজিকতায় দক্ষ এবং জ্ঞান লাভে অধিক আগ্রহী হয়।
বার্টবোসকি আরো উল্লেখ করেন যে, যেসব পিতামাতাদের ধর্মীয় ব্যাপারে অবিশ্বাস রয়েছে তা তাদের শিশুদের মনে বিরূ প্রভাব বিস্তার করে। গবেষকগণ মন্তব করেন যে, তিনটি কারণে ধর্মীয় অনুশাসন পালন শিশুদের জন্য ভাল। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে শিশুরা সামাজিকতায় বড় হতে শেখে। এছাড়া ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির সমাজতত্ত্ববিদ ডব্লিউ ব্যাডফোর্ট উইলবক্সং এই গবেষণার ফলাফলের ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করেছেন।
সোশ্যাল সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দেখিয়ে বাটকোস্কি বলেন যে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় কিছু ঘাটতি রয়েছে তাই পারমার্থিক শিক্ষা সেই অভাব পূরণ করতে সক্ষম হবে। এছাড়া বোলিং স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিদ অ্যানিটা মেহোনীও এই গবেষণার সম্মতি প্রকাশ করে বলেন, শিশুরা সাধারণত ধর্মীয় পরিবেশে বেশি খাপখাওয়াতে পারে।
উক্ত গবেষণার মাধ্যমে এটিই প্রতিপন্ন হল। যে, ধর্মীয় সচেতনতা প্রতিটি শিশুর মানসিক বিকাশে অপরহার্য।
চৈতন্য সন্দেশ জুলাই-২০০৯ ইং প্রকাশিত