“ডাইনোসর না কি ফাইনোসর বলবে এটা তোমার ব্যাপার”

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২১ | ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ৩১ মে ২০২১ | ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 319 বার দেখা হয়েছে

“ডাইনোসর না কি ফাইনোসর বলবে এটা তোমার ব্যাপার”

জুলাই ১৯৭৬ সালে ওয়াসিংটন ডিসিতে শ্রীল প্রভুপাদ, স্বরূপ দামোদর স্বামী ও হরিসৌরী প্রভুর সাথে পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব ও বিনাশ এবং তাদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে যে আলাপ হয় তার সারসংক্ষেপ নিম্নে প্রদত্ত হল

স্বরুপ দামোদর : শ্রীল প্রভুপাদ, বর্তমানে কত প্রজাতির জীবের অস্তিত্ব আছে এবং কত প্রজাতির বিলুপ্ত হয়েছে? পূর্বে যে সব প্রজাতি ছিল তাদের সবগুলোরই কি বিলুপ্তি ঘটেছে? ব্রহ্মার একদিনের সমাপ্তিতে সমস্ত ব্রহ্মাণ্ড ধ্বংস হবে, নাকি খণ্ড প্রলয় হবে? আপনি আমাদের এই ব্যাপারে সবিস্তারে বলুন।
শ্রীল প্রভুপাদ : কোনো প্রজাতির বিলুপ্তি হইনি, তোমরা এই বিষয়ে কী পড়ছো? যা পড়েছে ও যা পড়ছো তার সবটুকুই ভ্রান্তধারণা ।
স্বরূপ দামোদর স্বামী : শারীরিক আকারগুলো।
শ্রীল প্রভুপাদ : কিছুই বিলুপ্ত হইনি। সবকিছুই বর্তমান রয়েছে।
স্বরূপ দামোদর : তারা আমাদের ডাইনোসর সম্পর্কে বলে। তারা বলে যে, ডাইনোসর একসময় ছিল এবং বর্তমানে বিলুপ্ত হয়েছে ।
শ্রীল প্রভুপাদ : এটা তাদের পুরোপুরি কল্পনা। ডাইনোসরকে কোথায় পাওয়া গিয়েছিল তার সুস্পষ্ট প্রমাণ কী তাদের কাছে আছে?
স্বরূপ দামোদর : তারা বলে যে, তাদের কাছে ডাইনোসরের সব হাড়গুলো আছে।
শ্রীল প্রভুপাদ : না, তারা এমন একটি প্রাণীর বর্ণনা দিচ্ছে যার অস্তিত্ব এখনো আছে সেটি হলো তিমিঙ্গিলা। তারা খুব সহজেই অনেক বড় একটা প্রাণীর কথা কল্পনা করতে গিয়ে খুব বড় তিমি জাতীয় মাছগুলোর সাথে সাদৃশ্য খুঁজছে। এই বড় বড় হাড়গুলো এই প্রজাতির প্রাণীর, তারা কিন্তু এখনো বর্তমান আছে। কোনোটিই বিলুপ্ত হয়নি।
রূপানুগা : এই ডাইনোসরের অস্তিত্ব আদৌ কী ছিলো? নাকি তাও পুরোপুরি কল্পনা।
শ্রীল প্রভুপাদ : অনেক বড় বড় প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব আছে। আর এই প্রজাতিকে তুমি ডাইনোসর বলবে, না কি ফাইনোসর বলবে এটা তোমার ব্যাপার। এই বড় বড় প্রজাতিগুলোকে আমি তিমিঙ্গলা বলি। আমি তাদের এই নামে অবহিত করি। কিন্তু তিমিঙ্গলার অস্তিত্ব আছে।
রূপানুগা : এখনো অস্তিত্ব আছে।
শ্রীল প্রভুপাদ : ওহ, অবশ্যই। তাদের অস্তিত্ব সবসময় ছিল। জলের নীচের অনেক জীবের অস্তিত্বের কথা এখনো তারা জানেই না। জলের নীচে স্থলের হাতির তুলনায় অনেক বড় বড় প্রজাতির প্রাণী আছে। আর এরা হলো জলের হাতি।
রূপানুগা : ও, তাহলে কোনো প্রজাতিরই বিলুপ্তি ঘটেনি।
শ্রীল প্রভুপাদ : না, বিলুপ্তির প্রশ্নই ঘটে না।
রূপানুগা : যদি কোনো প্রজাতির অস্তিত্ব এই গ্রহে কয়েক মিলিয়ন বছর আগে থাকলে তার অস্তিত্ব এখনো আছে। আমি কী ঠিক বলেছি?
শ্রীল প্রভুপাদ : হ্যাঁ, পানির নীচে গিয়ে কতো বড় প্রজাতির প্রাণী আছে তা দেখা সম্ভব নয়। তুমি শাস্ত্র থেকে তথ্য নিতে পার। পানির নীচে গিয়ে এটা দেখা সম্ভব নয় যে, সেখানে কত বড় বড় প্রাণী রয়েছে ।
হরিসৌরী : কিন্তু এটা তো সম্ভব হতে পারে কোনো প্রাণী হয়তো এই গ্রহ হতে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে কিন্তু অন্য কোনো গ্রহলোকে আছে।
শ্রীল প্রভুপাদ : না।
হরিসৌরী : কিন্তু তারা দাবি করছে যে, ইতিহাস অনুসারে……
শ্রীল প্রভুপাদ : তারা সবকিছুই দাবি করে, এটা, ওটা অনেক কিছু।
স্বরূপ দামোদর : (অস্পষ্টভাবে) ফসিল। তারা ফসিলের কথা বলে ৷
শ্রীল প্রভুপাদ : ওটা কিছুই না। তুমি কোনো মৃত প্রাণীর দেহ পেতে পারো। কিন্তু তাতে কি তা ডাইনোসর বলে প্রমাণিত হয়?
স্বরূপ দামোদর : তারা দাবি করে অনেক প্রজাতির বিলুপ্তি হয়েছে।
শ্রীল প্রভুপাদ : কিন্তু তারা কত প্রজাতির বিলুপ্তি হয়েছে তা কী বলছে?
হরিসৌরী : তারা শুধুমাত্র বর্তমান পৃথিবী সম্পর্কে ধারণা করছে মাত্র।
শ্রীল প্রভুপাদ : ১ম ব্যাপারটি হলো তারা সবাই অপরিপক্ক, ভাওতাবাজ, তাহলে তাদের কথার কী মূল্য? আমার কাছে তাদের কথার কোনো মূল্যই নেই।
রূপানুগা : তারা এইসব প্রজাতির প্রাণীগুলো কোথায় আছে তা জানেনা।
শ্রীল প্রভুপাদ : তারা অনেকটা বাচ্চা শিশুর মতো। তারা ভাওতাবাজি করছে, তাদের কথার কোনো মূল্য নেই।
স্বরূপ দামোদর : কিন্তু খণ্ড প্রলয়ের পর কী হবে। মনুর অন্তে, যখন খণ্ড প্রলয় হবে তখন এই সব প্রজাতিগুলোর পরিণতি কী হবে।
শ্রীল প্রভুপাদ : অনেকভাবেই ধ্বংস বা প্রলয় হতে পারে এবং তারা বিভিন্নভাবে ধ্বংস হতে পারে। কিন্তু যখন সৃষ্টির সূচনা হবে তখন তারা আবার ফিরে আসবে।


 

ত্রৈমাসিক ব্যাক টু গডহেড, জুলাই – সেপ্টেম্বর ২০১৪

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।