ডাইনোসরোর কি সত্যিই অস্থিত্ব ছিল ? (পর্ব- ১)

প্রকাশ: ৪ আগস্ট ২০১৮ | ১২:০৪ অপরাহ্ণ আপডেট: ৮ আগস্ট ২০১৮ | ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 1437 বার দেখা হয়েছে

ডাইনোসরোর কি সত্যিই অস্থিত্ব ছিল ? (পর্ব- ১)

পৃথিবীতে একসময়ে একটি বৃহৎ আকারের প্রাণী বাস করত যা বর্তমানের যে কোন প্রাণী থেকে বৃহৎ এবং খুব ভয়ংকরও। বিজ্ঞানীরা এ ধরনের ঘোষনা দিয়ে আসছিলেন বহু দিন ধরে। সেই বৃহৎ আকারের প্রাণীর নাম হল ‘ডাইনোসর’। এর যৌক্তিকতা বা প্রমাণ খুঁজতে গেলে উঠে আসবে বিভিন্ন স্থানে আবিস্কৃত বৃহদাকারের ফসিলসমূহ। তারা এ প্রাণীর হাঁড়গুলোর সমন্বয় করে একটি গঠন দাঁড় করিয়ে প্রমাণ করছে এটি প্রকৃত পক্ষে ডাইনোসরেরই। এ নিয়ে অনেকগুলো ডকুমেন্টারি ফিল্মও তৈরি করা হয়েছে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত প্রাণী তাই এখন ডাইনোসরই । এসবের বাইরেও প্রশ্ন থেকে যায় আসলেই কি এই পৃথিবীতে ডাইনোসর নামে কোন প্রাণীর অস্থিত্ব ছিল? আবার এটাও প্রশ্ন উঠে আসছে পৃথিবী থেকে যদি তারা বিলুপ্ত হয়ে যার তবে ৪টি যুগের (সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি) ঠিক কোন যুগে তারা বাস করত? এসব সন্দেহ এবং প্রশ্নের অবতারণা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কেননা এটি সত্য যে মানুষ প্রকৃতপক্ষে এই পৃথিবীর মাত্র একটি ক্ষুদ্র অংশ সম্পর্কে অবগত, পড়ে রয়েছে বিশ্বের আরো বিশাল পরিমানের স্থান যেখানেও হয়ত রয়েছে নানান রকমের বিচিত্র সব প্রাণী। স্থলভাগের যদি এ অবস্থা হয় তবে কি বলা যাবে সাগর বা মহাসাগর নিয়ে। এখনও তো তারা এগুলোর কিছু গভীরে প্রবেশ করছেে মাত্র । আর তাতইে আবিষ্কৃত;হচ্ছে প্রতি বছর নত্যি নতুন অনকে অনকে বচিত্র প্রজাতীর প্রাণী। সরসিৃপ , মাছ পাখ, স্তান্যপায়ী অনকে প্রাণীগুরো আকারওে বৃহৎ । এই শতাব্দিতেই আবষ্কিৃত হল অনকে বড় বড় প্রজাতরি প্রাণী যমেন ভয়িতেনাম থকেে আবষ্কিৃত হচ্ছে প্রতিবছর নিত্য নতুন অনেক বিচিত্র প্রজাতীয় প্রাণী সরিসৃপ, মাছ ,পাখী, স্তন্যপায়ী অনেক প্রাণীগুলো আকারে ও বৃহৎ। এই শতাব্দিতেই আবিষ্কৃত হয় জঙ্গল শূকর, রিউ- কিউ আর্কিপেলোগো থেকে আাবিষ্কৃত হয় নতুন প্রজাতির একটি বড় হাঙর, মেক্সিকোতে পুমা (Puma) দক্ষিণ আমেরিকা চিতাবাঘ সদৃশ হিংস্র জন্তুর মত দেখতে ভিন্ন এক প্রাণী ওনজা (Onuja, মহাসাগরের তলদেশে আবিষ্কৃত জায়ান্ট বা বৃহৎ আকুতির অক্টোপাস সহ নানান ধরনের বিচিত্র সব প্রাণী। বিজ্ঞানীরা বলছে পৃথিবী থেকে অনেক প্রজাতিরই বিলুপ্ত ঘটেনি। পৃথিবীতে এরা এখনও পর্যন্ত। বেদের উল্লেখ রয়েছে ৮৪০০০০০ (৮৪ লক্ষ) প্রজাতির জীব রয়েছে এবং সেগুলোর সবগুলিই এই পৃথিবীর প্রতিটি আংশিক বা সম্পূর্ণ প্রলয়ের পরও পুনরায় আবির্ভাব ঘটে। উল্লেখ্য, এই পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত আংশিক আংশিক প্রলয় সাধিত হচ্ছে। এভাবে সামগ্রিক প্রলয়ের পর ও এই পৃথিবীতে সেই প্রজাতিগুলোর উদ্ভব ঘটে থাকে। শাস্ত্র অনুসারে জলজ নভ- লক্ষনি। অর্থাৎ ৯লক্ষ প্রজাতির জলচর এবং পশস্ ত্রিমস্ল লক্ষনি অর্থাৎ ৩০ লক্ষ প্রজাতির পশু রয়েছে। যার মধ্যে মানুষ আবিষ্কার করতে পেরেছে মাত্র কয়েকশ প্রজাতির। তার মানে এখনও অনাবাষ্কিৃত রয়েছে বহু প্রজাতি। তাহলে মানুষ কি করে নিশ্চিত হতে পারে যে, অনেক প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বড়জোর এটি বলা যায় আমাদের দৃশ্যমান নির্দিষ্ট স্থানে এই প্রাণী সমূহের বিলুপ্ত ঘটেছে বা দেখা মিলছে না। তার মানে এই নয় যে তারা পৃথিবী থেকেই বিলুপ্ত। সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করলে যৌক্তিকতা উঠে আসে এখনও ডাইনোসর নামে ঐ প্রাণীর অস্থিত প্রসঙ্গে। তবে এক্ষেত্রে ডাইনোসর নাম টি মানুষ প্রদত্ত নাম। এটি বিরল প্রজাতির বৃহৎ প্রাণী। এদের অস্থিত্ব সাগর তলদেশে থাকাটাও অস্বভাবিক নয়। বৈদিকশাস্ত্রে বৃহৎ আকারের প্রাণীদের বর্ণনা দেওয়া আছে সেগুলো হল, বৃহৎ ঈগল (শ্রীমদ্ভাগবত ৫.২৩.৩) তিমিঙিলা একটি বৃহৎ তিমি (শ্রীমদ্ভাগবত ৮.৭.১৮.৮.১০১০-১২,১০.১৫-৭)। শ্রীমদ্ভাগবতে বর্ণিত আছে বৃহৎ আকারের টিকটিকির কথাও (৮.১০.১০-১২) অবশ্য বেদেও উল্লেখ রয়েছে যে, সময়ের বিবূতনে এসব জীবগুরো ক্ষুদ্রাকৃতির হয়ে গেছে। যেমন মানুষের কথায় ধরা যাক। মানুই তো হাজার হাজার বছর পূর্বে দীর্ঘদেহী ছিল সেক্ষেত্রে অন্যান্য জীবদের কথা আর কি বলার আছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা ডাইিনোসর আবার আকাশে উড়তেও পারত। সেক্ষেত্রে উড়ন্ত ডাইনোসরের সঙ্গে শাস্ত্রে বর্ণিত এক প্রকার প্রাণীর বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে বিরাট মিল পরিলক্ষিত হয়। হতে পারে, বর্তমানে যে ফসলিগুলো আবিষ্কৃত হচ্ছে তা ঐ প্রাণীরই। আগামী সংখ্যায় বিজ্ঞানীদের সাথে শ্রীল প্রভুপাদের এ বিষয়ের উপর বিশেষ সাক্ষাতকার তুলে ধরা হবে। যাদের হাতে বড় প্রমাণ ছিল ডাইনোসরের হাড় আবিষ্কার। বিজ্ঞানীরা প্রাণীটির বৈশিষ্ট্য যা দেখছে তার ভিত্তিই বা কতটুকু? পৃথিবীতে কি এরা এখনও বেচেঁ আছে? এ বিষয়ে নানা যুক্তি, তর্ক ও প্রামাণ আবেং শাস্ত্র উক্তি দিয়ে ডাইনোসরের অস্থিস্ত প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে।এই রোমাঞ্চকর তথ্যসমূহের মাধ্যমে এতদিনের জানা সত্যের ভিত্তি কতটুকু তা উঠে আসবে। (চলবে…) হরেকৃষ্ণ।
(মাসিক চৈতন্য সন্দেশ সেপ্টম্বর ২০১০ সালে প্রকাশিত)

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।