এই পোস্টটি 66 বার দেখা হয়েছে
স্প্যানিশ অনুবাদকের আত্মীয়কে রক্ষা করলেন
কৃপাময় শ্রীনৃসিংহদেব আবারও ভক্তের প্রতি তাঁর করুণা প্রকাশ করলেন। শ্রীনৃসিংহদেবের অলৌকিক লীলার প্রভাবে স্পেনের মালাগা মন্দিরের অনুবাদক শ্রীমতি রসসুন্দরী দেবী দাসীর কাকীমার ক্যান্সার রোগ ভালো হয়ে গেল। ঘটনাটি স্বয়ং শ্রীমতি রসসুন্দরী মাতাজীর কাছ থেকেই জানা যাক। তিনি বলছেন- “ভক্তিবিঘ্ন বিনাশক শ্রীনৃসিংহদেবের লীলাকাহিনী সমূহ আমি স্প্যানীশ ভাষায় অনুবাদে রত ছিলাম। ইতোমধ্যে আমার দেশ নিউজিল্যান্ড থেকে ফোন এল কাকীমার আগ্রাসী ক্যান্সার রোগ ধরা পড়েছে এবং খুব বেশী হলে তিনি আর কয়েক সপ্তাহ মাত্র বাঁচবেন। এই খবর শুনে বর্তমানে মায়াপুরবাসী – আমার গুরুভগ্নী গঙ্গা দেবী দাসীকে (পরম ধাম = প্রভুর স্ত্রী) আমি ফোন করে খবরটা জানাই এবং শ্রীনৃসিংহদেবের কাছে প্রার্থনা জানাই। আমার কাকীমা প্রতি বৎসরই আমাকে দেখতে আসতেন এবং সেই সময় তিনি মন্দিরে আমার সঙ্গে অবস্থান করতেন। তাঁর মন্দিরে থাকাকালীন সময়ে তিনি ভগবানের বিভিন্ন সেবাও করতেন। যাই হোক, পরে মায়াপুর থেকে শ্রীমতী গঙ্গা মাতাজী আমাকে জানালেন তিনি শ্রীনৃসিংহদেবকে তুলসী মঞ্জুরি নিবেদন করে কাকীমার জন্য প্রার্থনা করছেন। আমি তখনও সেই শ্রীনৃসিংহদেবের লীলা মাহাত্ম্য অনুবাদ করে যাচ্ছিলাম। অনুবাদ তখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু আমার বাড়ী থেকে সেখানে যাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করা হচ্ছিল। কেননা তারা মনে করছিল যে, কাকীমার সময় আর বেশী নেই। অবশেষে আমি অনুবাদ শেষ করে নিউজিল্যান্ড যাবার বিমান ধরি। সেখানে পৌঁছে সোজা সেই হাসপাতালে যাই যেখানে আমার ‘কাকীমা ভর্তি আছেন। গিয়ে দেখি তখন তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেবার প্রস্তুতি চলছে কেননা তার জন্য হাসপাতালের আর কিছু করার ছিল না। কাকীমার ওজন কমে ৩০ কেজি হয়েছিল এবং তিনি কোনমতে হাঁটতে পারতেন। আমরা তাকে আমাদের পরিবারের গৃহে নিয়ে আসি এবং শ্রীনৃসিংহদেবের একটি ছবি প্রদান করে বলি যে, ভক্তরা তার জন্য শ্রীনৃসিংহদেবের কাছে প্রার্থনা করছেন। সহসা দেখা গেল, প্রতিদিনই তাঁর শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে। তিনি আগের চেয়ে ভালভাবে খেতে ও ঘুমাতে শুরু করেছেন। আমি কয়েকবার তাকে হুইল চেয়ারে করে হাঁটানোর জন্য নিয়ে যেতাম। তাকে ধরে ধরে হাঁটাতাম। কিন্তু এক সপ্তাহ পর থেকে তিনি নিজে নিজেই হাঁটতে লাগলেন। আমার সেখানে থাকাকালীন সময়ে তিনি আশ্চর্যভাবে উন্নতি করতে লাগলেন। মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে যার এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার কথা ছিল সে ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠতে লাগলো। অবশেষে কিছুদিন আগে আমি কাকীমার সঙ্গে কথা বলে জানলাম যে তাঁর ওজন এখন ১০ কে জি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তিনি এখন গৃহের অভ্যন্তরে কিছু ব্যায়াম করতে সমর্থ হচ্ছেন। ডাক্তাররা তার চেকাপে এসে বিস্মিত হলেন এবং সঠিক নির্ণয় করতে পারছিলেন না যে কাকীমার ক্ষেত্রে এমন কি অলৌকিক ঘটল। গত গ্রীষ্মে শ্রীপাদ পঙ্কজাস্ত্রি প্রভু আমাদের মালাগা মন্দিরে এসে এক প্রবচনে বলেছিলেন যে, কখনও কখনও তাঁরা ভগবান নৃসিংহদেবকে “ডঃ শ্রীনৃসিংহদেব” বলে সম্বোধন করেন। আমি তাঁর সাথে এখন একমত হতে পারছি। আমি এখন শ্রীনৃসিংহদেবের কাছে প্রার্থনা করি যে, তিনি যেমন আমার কাকীমার জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন, তিনি দয়া করে আমার কাকীমার মধ্যে পারমার্থিক অন্তদৃষ্টি দান করুন, যাতে বাকী জীবনটিকে তিনি ভগবানের সন্তুষ্টি বিধানার্থে ব্যবহার করতে পারেন।”
হরে কৃষ্ণ ।
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ , সেপ্টেম্বর – ২০১০ ইং