
১৪ টি মেজর জেতা টাইগার উডসকে বলা হয় গল্ফের কিংবদন্তি | উডস্ই সমস্ত ক্রীড়া জগতের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি। এখনও র্যাকিংয়ের শীর্ষে তার অবস্থান। তবে সাম্প্রতিক নারী কেলেঙ্কারীর মত বিশ্রী কারণে তার শীর্ষত্ব অনেকটাই নড়বড়ে। এর কারণ হিসেবে সবাই বলছে সাংসারিক জীবনে তার স্ত্রীর সাথে সাময়িক দ্বন্দ্ব। এ সাময়িক দ্বন্দ্ব বা ঝগড়া এতটাই স্থায়ী রুপ নিল যে, শেষ পর্যন্ত টাইগার উডসের সংসারই ভেঙ্গে গেল। এখন ডিভোর্সের মাধ্যমে তারা দু জন একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন। গত কিছুদিন বিশ্বের সবক টি সংবাদ মাধ্যমে আলোচিত খবর ছিল টাইগার উডসের জীবনে ঘটে যাওয়া এ ঘটনা। মাতাল হয়ে বেপরোয়া অবস্থায় গাড়ী চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা আর তখন ধরা পরে টাইগার উডসের সঙ্গে অন্য এক নারীর অবৈধ সম্পর্কের কথা। ঝগড়ার সূএপাত সেখান থেকেই। এভাবে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি স্থানে, প্রতিটি দেশে, প্রতিটি ঘরে ঘরে ঝগড়া বা দ্বন্দ্ব একটা স্বাভাবিক ব্যাপার যা প্রতিটি মুহূর্তেই আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যদি আপনি ঝগড়া শ্রেণীবিভাগ চান তবে সবার উপরে থাকবে পারিবারিক বা সাংসারিক ঝগড়া। তার পরের অবস্থানটি অবশ্যই হবে দেশে দেশে ঝগড়া। তবে সব কটি ঝগড়ার সঙ্গে জড়িত মানসিকভাবে নিজের মধ্যে দ্বন্দ্ব। মানসিক দ্বন্দ্ব —– লোকদের মন খুবই বিরক্ত। প্রতিনিয়ত নিজের মধ্যে ভাল আর মন্দের মধ্যে ঝগড়া হয়। লোকেরাও প্রতিনিয়ত খুবই হতাশ এবং কোন জাগতিক সমাধানই তাদেরকে এ হতাশ থেকে মুক্তি দিতে পারছে না যত আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে সেগুলো বেশিরভাগই উচ্চবিও শ্রেণীর লোকদের মাঝেই। পারিবারিক ঝগড়া —— ফেডেরাল পরিসংখ্যান মতে, সারাবিশ্বে ৬৭% ডিভোর্স হয় বিয়ের আংটি পড়ার তিন বছরের মধ্যেই। সেজন্য প্রচলিত আছে-“, প্রথমে বিয়ের আংটি, তারপর কষ্ট।” পারিবারিক ঝগড়া বা দ্বন্দ্বের কারণে মানুষ। চলবে….. হরেকৃষ্ণ!
(মাসিক চৈতন্য পত্রিকা ২০১০ অক্টোবরে প্রকাশিত)
এরকম চমৎকার ও শিক্ষণীয় প্রবন্ধ পড়তে চোখ রাখুন ‘চৈতন্য সন্দেশ’ ও ‘ব্যাক টু গডহেড’ এ
যোগাযোগ: ০১৮৩৮-১৪৪৬৯৯