এই পোস্টটি 22 বার দেখা হয়েছে
শ্রীমৎ সৎস্বরূপ দাস গোস্বামী
জপ মহিমা
“মৃত্যুকালে, মানুষ অবশ্যই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, কারণ তার শারীরিক প্রক্রিয়া বিপর্যস্ত হয়ে যায়। সারাজীবন ধরে যে-মানুষ ভগবানের পবিত্র নাম জপের অভ্যাস করে এসেছে, সে-ও সেই সময়ে খুব স্পষ্টভাবে হরেকৃষ্ণ মন্ত্র জপ করতে না-ও পারে। তা হলেও সে আজীবন পবিত্র নাম জপের সমস্ত সুকৃতি ফল উপভোগ করে থাকে। তাই, শরীর যতকাল থাকে, তখন কেন আমরা ভগবানের পবিত্র নাম উচ্চস্বরে আরও স্পষ্টভাবে জপ করতে থাকব না? ভগবানের পবিত্র নাম সবসময়ে যিনি জপ করতে থাকেন, তাঁর নিজ আলয়ে, ভগবদ্ধামে ফিরে যাওয়া সুনিশ্চিত হয়।”-ভাগবত ৬/২/৪৮ তেজোদ্দীপ্ত জপ করতে হলে, জোরে জোরে উচ্চারণ করে জপ করা চাই; তাতে শক্তিলাভ হয়। জপ করবার সময়ে যদি উচ্চারণে আর শব্দবিন্যাসে একটু বেশি শক্তি দেওয়া যায়, তাহলে অতি সহজেই অসংলগ্ন মনটাকে বশে রাখা যায়।
কৃষ্ণভাবনা অনুসরণে আর অন্তত ষোল মালা জপ চর্চায় যদি আমরা লেগে থাকতে পারি, তাহলে ভক্তিসেবা অনুশীলনের সেই পরিপূর্ণতার মাধ্যমে আমরা আর তেমনভাবে বিচলিত কিছুতেই হব না। ফলে, এমন অবস্থায় কখনও পড়ব না যে, সব রকম ভক্তিচর্চা আর সারাদিন ষোল মালা জপ ইত্যাদি সব বন্ধ করে দিতে হবে।
“নীরবেই জপ করতে হবে তেমন কোনও কথা নেই। নীরবেই কর বা জোরেই কর, সবই ঠিক। কোনই বিধিনিষেধ নেই। শুধু একটি বিষয়ে আমাদের মন দিতে হবে যেন, খুব মনোযোগ সহকারে জপ করা হয়, আর পরিস্কারভাবে উচ্চারিত ধ্বনিতরঙ্গ বেশ শোনা যায়।”
৮ই মার্চ ১৯৬৯ইং তাং শ্রীল প্রভুপাদের চিঠি থেকে।
হরে কৃষ্ণ।
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ , ডিসেম্বর – ২০১০ ইং