এই পোস্টটি 630 বার দেখা হয়েছে
কেউ প্রশ্ন করতে পারে, “পুতনার মতো একজন ভয়ংকর শত্রুভাবাপন্ন জীব কিভাবে ভগবানের কৃপা লাভের যোগ্য হয়? নিশ্চয় এর কোন অন্তর্নিহিত কারণ রয়েছে। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ এ (৪/১০/৪০-৪৩) পুতনার পূর্ব জন্মের কথা বর্ণিত হয়েছে। একবার নারদ মুনি নারায়ণ ঋষিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “অসুররূপী এই নারীটির কি পরিচয়? তিনি নিশ্চয় একজন মহান ভক্ত। তিনি কি পূণ্যকর্ম করেছিলেন যার ফলে তিনি কৃষ্ণ দর্শন ও কৃষ্ণলোকে গমন করেছিলেন?” শ্রীনারায়ণ ঋষি উত্তর দিয়েছিলেন, “যখন বলি মহারাজের কন্যা রত্নমালা সুদর্শন ভগবান বামনদেবকে যজ্ঞ প্রাঙ্গনে দর্শন করলেন, তিনি তৎক্ষণাৎ মাতা যেভাবে সন্তানের প্রতি বাৎসল্য রসে সিক্ত হয় সেভাবে তিনি ভগবান বামনদেবকে নিজ সন্তানের মত প্রেমপূর্ণ বাৎসল্য স্নেহ নিবেদন করেছিলেন।” তিনি ভাবলেন, “যদি আমি তাকে পুত্ররূপে লাভ করতাম তবে আমি তাকে আমার বুকে জড়িয়ে নিজ স্তন্য পান করাতাম।” তার মনোভাব উপলব্ধি করে কৃষ্ণ তার আরেকটি জন্মে তার স্তন্য পান করেছিলেন। এক সমুদ্রসম কৃপা যেমন সকল অভিলাষ পূরণ করে, তেমনি কৃষ্ণ তাকে মাতৃপদ দান করলেন। কেউ কেউ বলেন, যখন রত্নমালা সর্বপ্রথম ভগবান বামনদেবকে দর্শন করলেন তিনি তার প্রতি আকর্ষিত হয়ে তাকে পুত্ররূপে লাভ ও স্তন্য পান করানোর অভিলাষ করেছিলেন। কিন্তু যখন রত্নমালা দেখলেন বামনদেব তার পিতা বলি মহারাজের সবকিছুই হরণ করছেন, তখন তিনি রেগে গেলেন এবং ভাবলেন, “যদি আমি তাকে আমার স্তন্য পান করাতাম তবে অবশ্যই সেখানে বিষ মিশ্রিত করতাম যেন তাকে হত্যা করতে পারি।” তাই কৃষ্ণ তারা দুই অভিলাষ পূরণ করার জন্য রত্নমালাকে পুতনার শরীর প্রদান করেছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ১ হাজার নাম উল্লেখিত হয়েছে সাত্বত-তন্ত্রের ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে।
পুতনার সাথে জড়িত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৪টি নাম রয়েছে।
কৃষ্ণের সেই বিখ্যাত নামসমূহ হল- পিতপুতনিকাস্তন্য – অর্থাৎ যিনি পুতনার স্তন্য পান করেছিলেন। পুতনাপ্রাণশোষণ – যিনি পুতনার প্রাণ শোষণ করেছিলেন। পুতনাংস্থলস্থয়ী – যিনি পুতনার বক্ষে স্থিত ছিলেন। পুতনামোক্ষদায়ক – যিনি পুতনাকে মোক্ষ প্রদান করেছিলেন।
সূত্র: মাসিক চৈতন্য সন্দেশ
মাসিক চৈতন্য সন্দেশ ও ব্যাক টু গডহেড এর ।। গ্রাহক ও এজেন্ট হতে পারেন
প্রয়োজনে : 01820-133161, 01758-878816, 01838-144699