গুণ্ডিচা মন্দির

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২২ | ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ১৩ জুন ২০২২ | ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 141 বার দেখা হয়েছে

গুণ্ডিচা মন্দির
জগন্নাথের জন্মস্থান গুণ্ডিচা মন্দিরে। জগন্নাথভক্ত ইন্দ্রদ্যুম্ন মহারাজের স্ত্রী গুণ্ডিচার নামে এই মন্দিরের নামকরণ করা হয়েছে। এখানে গুণ্ডিচা দেবীর বিগ্রহ রয়েছে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে, তিনি বাম হাতে ভক্তদের কৃপা বর্ষন করেন। জগন্নাথ মন্দিরের সিংহদ্বার থেকে এই মন্দিরের দূরত্ব তিন কিলোমিটার এবং এটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত। জগন্নাথ যখন রথে চড়ে মন্দিরে প্রবেশ করেন তখন জগন্নাথের মাসি খ্যাত শুণ্ডিচা দেবী জগন্নাথকে চালের তৈরি বিশেষ পদোয়াপিঠা খেতে দেন। গুণ্ডিচা মন্দিরের বিশাল চূড়াটি ভগবান শ্রীবিষ্ণুর চক্র দ্বারা নির্মিত। এছাড়া জগন্নাথ মন্দির এবং গুণ্ডিচা মন্দিরের মধ্যখানে একটি বিখ্যাত মাসিমা মন্দির রয়েছে। পুরাণ মতে, একবার পুরীতে বন্যা হলে পুরীর ভক্তদের রক্ষার উদ্দেশ্য এই দেবী বন্যার অর্ধেক জল পান করেছিলেন। তাই তাকে অর্ধস্বিনী বলা হয়। এছাড়া গুণ্ডিচা মন্দিরের আরেকটি আকর্ষণ হচ্ছে এখানের দিব্য কচ্ছপ। পৌরাণিক মতে, যে সমস্ত সেবকগণ এই গুণ্ডিচা মন্দির নির্মাণ করেছিলেন তারা পরবর্তীতে মন্দিরে সর্বদা অবস্থান গ্রহণের উদ্দেশ্যে কচ্ছপরূপ পরিগ্রহ করেন। তারাই একমাত্র মন্দিরের নির্মাণ দর্শনকারী এবং তাদেরকে পবিত্র বলে মানা হয়, সম্মান প্রদর্শন করা হয়। গুণ্ডিচা মন্দিরে একটি মহাবেদী রয়েছে যেখানে জগন্নাথ, বলদেব এবং সুভদ্রা দেবী ইন্দ্রদ্যুম্ন রাজার সময় প্রকাশিত হয়েছিল। এটি জগন্নাথের জন্মস্থান নামে পরিচিত। এই স্থানে ইন্দ্রদ্যুম্ন রাজা এক হাজার অশ্বমেধযজ্ঞ সম্পন্ন করেছিল।
এখানে জগন্নাথ ৭দিন অবস্থান করেন, জগন্নাথের এই গুণ্ডিচা মন্দিরে যাত্রাকে শুণ্ডিচা যাত্রা বলা হয়। শাস্ত্রে বর্ণিত আছে যখন জগন্নাথ, বলদেব, সুভদ্রা এখানে প্রকাশিত হয়েছিল তখন ইন্দ্রদ্যুম্ন রাজা ভগবানের কাছে কিছু বর প্রার্থনা করেছিল। এই সব বরসমূহের মধ্যে একটি ছিল যে, তার যাতে কোন পুত্র সন্তান না হয়, যাতে করে কেউ এই মন্দিরকে মালিকানা হিসেবে দাবী করতে না পারে। যখন জগন্নাথ এই বর দিতে সম্মত হল, তখন গুণ্ডিচাদেবী খুব বিষণ্ন হয়েছিল। কেননা তিনি কখনো পুত্র সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না। তখন ভগবান তাকে শান্ত করে। তার কাছে প্রতিজ্ঞা করলেন যে তিনি তার ছেলে হিসেবে থাকবেন। বলা হয়ে থাকে এখনও জগন্নাথ ইন্দ্রদ্যুম্ন রাজা এবং গুণ্ডিচা রাণীর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করেন। ভগবান গুণ্ডিচাকে বলেছিলেন যে, “তোমার প্রীতিবিধানার্থে আমি তোমার এ মন্দিরে প্রতি বছর একবার আসব।
সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।