গঙ্গা নদীর সাম্প্রতিক গবেষণা

প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৮ | ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ১২ জুন ২০১৮ | ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 936 বার দেখা হয়েছে

গঙ্গা নদীর সাম্প্রতিক গবেষণা

হরেকৃষ্ণ নিউজ ব্যুরো: শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায়  ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে, নদীদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন গঙ্গা। ২৫২৫ কিলোমিটার ব্যাপী বিস্তৃত গঙ্গা নদীকে পবিত্র নদী হিসেবে বৈদিক শাস্ত্রে বর্ণনা করা হয়েছে। যা প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষের জীবিকা র্বিাহের একমাত্র ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। এছাড়া বৈজ্ঞানিকভাবেও গঙ্গা নদীর অভূতপূর্ব শক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে। ১৮৯৬ সালে ব্রিটিশ ফিজিশিয়ান ই. হেনবুরী হেনকিন গঙ্গার জল নিয়ে গবেষণাকর্ম পরিচালিতা করেন যা ফ্রেঞ্চ জার্নাল “এ্যানালিস ডি ইনস্টিটিউট পাস্তুর’ এ প্রকাশিত হয়। তিনি পরক্ষিা করে দেখেন যে, মারাত্মক কলেরা রোগের জীবনা ভাইব্রিয়ো কলেরা গঙ্গার জলে নিক্ষেপের তিন ঘন্টার মধ্যে মারা যায় যা অন্য কোন সাধারণ জলের ক্ষেত্রে ঘটে না। তখন থেকে পবিত্র গঙ্গা নদীর অদ্ভুদ ক্ষমতা প্রকাশিত হতে থাকে। অন্য এক ব্রিটিশ ডাক্তার সি.ই.নেলসন আবিষ্কার করেন যে, গঙ্গার নদীর নিজে নিজেই বিশুদ্ধ হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। ১৯২৭ সালে ফ্রান্সের মাইক্রোবায়োলজিস্ট ফ্লিক্রস ডিহারলি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আবিষ্কার করেন। তিনি দেখেন যে, কলেরা বা ডায়রিয়া আকেটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আবিস্কার করেন। তিনি দেখেন যে, কলেরা বা ডায়রিয়া রোগে মৃত মানুষের দেহ গঙ্গা নদীতে ভাসলেও তা গঙ্গার জলের কোন ক্ষতি করতে পারে না। যদিও সেসব মৃত দেহে জীবাণুতে পূর্ণ হওয়ার কথা। হাজার হাজার বছর পূর্বে বৈদিক শাস্ত্রে লিপিবদ্ধ আছে যে গঙ্গা নদী মানুষের দেহ পবিত্র করে। সাম্প্রতিককালে ভারতীয় পরিবেশবিদ ও স্থপতি ডি.এস.ভর্গব গঙ্গা নদীর অসাধারণ ক্ষমতা অবলোকন করেন। তিন বছর যাবৎ হওয়া গবেষণাকর্মে তিনি দেখেন যে, গঙ্গা নদীর বায়োকেমিকেল অক্সিজেন লেবেল পূর্ণ স্থাপনের ক্ষমতা অন্যান্য নদীর তুলনায় ২৫ গুণ দ্রুতগতির। ম্যালেরিয়া রিসার্চ সেন্টার দিল্লী কর্তৃক পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা যায় যে, গঙ্গা তার জলে মশার ডিম জন্মাতে দেয় না এবং সকল প্রকারের মশার ডিম প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিন্তু অন্যান্য নদীর জল পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, সকল নদীর জলেই মশা ডিম পাড়তে পারে । গঙ্গা নদীর দুটি অভূতপূর্ব ক্ষমতা রয়েছে যা অন্যান্য নদীতে দেখা যায় না এতে ব্যাকটিরিওফার্থ রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়াকে ধবংস করার ক্ষমতা রাখে। এমনকি হানকিন ১৮৯৬ সালে গঙ্গা নদীর ব্যাকটেরিওফার্থ সম্পর্কে যে ধারণা দেন তা ছিল ব্যাকটেরিওফার্থ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা। এছাড়া এই নদীতে একটি রহস্যজনক বিষয়ের অস্তিত্ব রয়েছে যা দ্রুত অক্সিজেন  শোধন করে গঙ্গা নদীকে বিশুদ্ধ রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া প্রাচীন ডাক্তারদের মত বর্তমান গবেষকগণও ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ নিবারণে গঙ্গার জলকে এন্টিবায়েটিক হিসেবে ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন । হরে কৃষ্ণ।

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।