খেলাধুলার সর্বোচ্চ শিখরে নিরামিষাশী খেলোয়াড়গণ

প্রকাশ: ৬ মার্চ ২০২২ | ৮:০২ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ৬ মার্চ ২০২২ | ৮:০২ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 197 বার দেখা হয়েছে

খেলাধুলার সর্বোচ্চ শিখরে নিরামিষাশী খেলোয়াড়গণ

সূত্রঃ ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন খেলাধুলায় ক্রমান্বয়ে সর্বোচ্চ সাফল্য ও সম্মান লাভ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন নিরামিষাশী খেলোয়াড়গণ। কেনসাস শহরের ডেভিড টারি সেদেশে সুপার বোল খেলার বিখ্যাত খেলোয়াড়। যিনি তার দল নিউইয়র্ক জায়ান্টকে জয়ী করেছেন বহুবছর ধরে অপ্রতিদ্বন্ধী থাকা নিউ ইংল্যান্ড পেট্রিয়টকে হারিয়ে তিনি একজন নিরামিষাশী। এছাড়া এন.এফ.এল জয়ী একজন বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় টনি গোঞ্জালেস। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে যে, তিনি না খেললে তার দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারত না। টনি গোঞ্জালেস

খেলাধুলায় সর্বোচ্চ শিখরে নিরামিষাশী

ছিলেন একজন কঠোর নিরামিষাশী। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, মাছ, মাংস, ডিম, ফাস্টফুড খাওয়া ছাড়া ও মানুষ শক্তিশালী হতে পারেন। আরো উল্লেখ করেন যে, “মাংসসহ খুব চর্বিযুক্ত খাবার একজন ফুটবল খেলোয়াড়ের জন্য উপযুক্ত নয়। এটি তাঁদের হার্টের রোগ, ক্যান্সারসহ অন্যান্য বিভিন্ন মারাত্মক স্বাস্থ্যগত রোগ সৃষ্টিতে সাহায্যে করে। অনেক পেশাদার অ্যাথলেট এবং অলিম্পির্ক সুপারস্টারগণ নিরামিষ খাবার গ্রহণের উপকারিতা সমন্ধে দীর্ঘ বক্তব্য দিয়েছেন। ভারউত্তোলন প্রতিযোগীতায় চারবার মি. ইউনিভার্স খেতাব পাওয়া বিল পার্ল, বিল মেনিটি, ১৯৫১ এ মি. আমেরিকা খেতাপ পাওয়া রয় হিলগেন, বিশ্ব রেকর্ড ভাঙ্গা স্টেন প্রিস, ফুটবল খেলোয়াড় এবং হন্সম্যান ট্রফি জেতা ডিসমন্ড হাওয়ার্ডসহ অনেকেই জীবনে কখনো আমিষ গ্রহণ করেন নি। নিরামিষ গ্রহনের মাধ্যমে শুধুমাত্র মানুষই শক্তিশালী ও রোগমুক্ত হচ্ছেন না, এছাড়া বিভিন্ন প্রাণী যেমন বানর, জিরাফের এবং হাতির মত বিশাল প্রাণী ও নিরামিষাশী। ইন্টারন্যাশনাল ন্যাচারাল বডিবিল্ডিং এন্ড ফিটনেস ফেডারেশন (আই.এন.বি.এফ) এবং ইন্টারন্যাশানাল বডিবিল্ডিং এসোসিয়েশনের (আই.বি.এস) রবার্ট চিক সম্ভবত সমগ্র পৃথিবীর সুপরিচিত নিরামিষাশী বড়ি বিল্ডার। এছাড়া জনপ্রিয় শরীর চর্চা প্রশিক্ষক মাইক মাহ্হ্লার বলেন, “নিরামিষাশী হওয়ায় আমার প্রশিক্ষনের মান গভীরভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একসময় আমার দেহে প্রচুর চর্বি জমেছিল এবং ওজন ৩১৫ পাউন্ডের উপর হয়েছিল। কিন্তু যখন থেকে আমি আমিষ পরিহার করলাম তখন থেকে উপলব্ধি করলাম যে আমি খুব দ্রুত সুস্থ সবল হয়ে উঠছি এবং কয়েক মাসের মধ্যে আমার মেদবহুল শরীর, ১০ পাউন্ডের শক্তিশালী, সুস্থ সবল শরীরে রূপান্তরিত হয়েছিল। এছাড়া অন্যান্য নিরামিষাশী খেলোয়াড়, টেনিস সুপারস্টার মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, আয়ারনম্যান খ্যাত ছয়বার চ্যাম্পিয়ন ডেভিড স্কট তাদের মাংসাশী প্রতিদ্বন্ধীদের বহুবার পরাজিত করেছেন। জন্ম থেকে নিরামিষাশী সাতারু ঘুরে রোস ৬টি অলিম্পিক মেডেল অর্জন করেছেন। । এছাড়া দৌড়বিদ ডেবি লরেনস এবং চাকতি নিপেক । আল ওরটার কমপক্ষে ৪টি অলিম্পিক পদক অর্জন করেছেন, যারা হচ্ছেন নিরামিষাশী। বিখ্যাত খেলোয়াড় এডুইনমোস বলেন, “পুষ্টিকর নিরামিষ খাবার গ্রহণের ফলে আমি দুইবার অলিম্পিক পদক জয় করতে পেরেছি।” এছাড়া অলিম্পিক পদক বিজেতা কার্ল লুইস বলেছেন,“খেলায় আমার সর্বশ্রেষ্ঠ সাফল্যর বছর হচ্ছে সেটি যে বছর আমি প্রথম নিরামিষ খাবার গ্রহণ শুরু করি।” বিখ্যাত আর্জেন্টিনার ফুটবল গোলকিপার কার্ললোস রো কে তার সতীর্থরা “লা লিচুগা” বলে ডাকেন তার কঠোর নিরামিষ খাবার গ্রহণের প্রত্যয় দেখে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাস্কেটবল খেলোয়াড় বিল ওয়ালটন এবং রবার্ট পেরিস ছিলেন নিরামিষাশী 1 এছাড়া পেশাদার বাস্কেটবল স্টার জন সেলি হচ্ছেন নিরামিষাশী। এছাড়া ম্যারাথন দৌড় জয়ী ডোম রেপটা হচ্ছেন নিরামিষাশী যিনি মাত্র ২০ঘন্টায় ১০০ মাইল অতিক্রম করেন। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট সুপারস্টার গ্রেগ চ্যাপেল আমিষ আহার গ্রহন করেন না। এছাড়া ভারতের অন্যতম সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক লেগ স্পিনার এবং বর্তমান জাতীয় টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক অনিল কুম্বলে একজন নিরামিষাশী। সম্প্রতি তিনি নিরামিষ আহারের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে একটি বিজ্ঞাপন চিত্র নির্মাণ করেছেন। অনিল বলেন, “নিরামিষ খাদ্য প্রাণীদের জীবন রক্ষা করে, সুস্বাস্থ্য গঠনে সহায়তা করে এবং মানুষের মাঝে ধৈর্য, সহিঞ্চুতা বৃদ্ধি করে, নিরামিষ খাদ্যে মানুষের সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয় সকল ভিটামিন ও প্রোটিন রয়েছে এবং নিরামিষ খাদ্য সকল রকমের চর্বি, কোলেস্টেরল এবং মাংসের বিষ হতে মুক্ত।

চৈতন্য সন্দেশ মার্চ ২০২২ প্রকাশিত
সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।