কোনটি সেরা? ভাগ্য নাকি চেষ্টা?

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২২ | ১১:১২ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ২৫ মে ২০২২ | ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 115 বার দেখা হয়েছে

কোনটি সেরা? ভাগ্য নাকি চেষ্টা?
আমরা কি শুধুমাত্র পুতুল? আমরা কি শুধুমাত্র পূর্ব কৃত কর্মফল দ্বারা অসহায়ভাবে চালিত?

ভয়হারি দাস


আমি অসহায়ভাবে তাকিয়ে রইলাম আমার ভগ্ন গাড়ির দিকে যেটি একটি ট্রাকের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সৌভাগ্যক্রমে আমরা বেঁচে গিয়েছিলাম। আমার অবস্থা দেখে আমার পত্নী সান্তনা দিয়ে বলল, “সব ঠিক হয়ে যাবে হয়তো কোনো পূর্বের মন্দ কর্মের ফল।”
আমি তার কথাটি ভাবলাম এবং কর্মের ব্যাপারে আমার আগ্রহ জন্মাল, আমি ভাবলাম এটি কি আমার পূর্বের মন্দ কর্মের ফল? নাকি সেই ট্রাক ড্রাইভারের অসাবধানতার ফল?
আমরা কি শুধুমাত্র পুতুল? আমরা কি শুধুমাত্র পূর্বকৃত কর্মের ফলাফল দ্বারা অসহায়ভাবে চালিত? নাকি আমাদের কর্মে স্বাধীনতা রয়েছে? যদি সবকিছুই পূর্ব নির্ধারিত থাকে তাহলে কর্মের প্রতি আমাদের হস্তক্ষেপ কতটুকু? তাহলে অদৃষ্ট বা ভাগ্য আর স্বীয় প্রচেষ্টার মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
প্রাচীন কালের মহান রাজা এবং সাধু সত্যব্রত মুনি একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। যিনি তার সন্দেহ উত্তরনের জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অবতার ভগবান মৎস্যদেবের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। মৎস্যপুরাণে তাদের কথোপকথন শ্লোক আকারে উল্লেখিত রয়েছে।
সত্যব্রত মুনি জিজ্ঞেস করলেন, “হে ভগবান, কোন্‌টি সর্বোত্তম ভাগ্য নাকি মানুষের প্রচেষ্টা? আমার এই বিষয়ে সন্দেহের অবতারণা হয়েছে কৃপা পূর্বক আপনি সেই সন্দেহ নিরসন করুন।”
সত্যব্রত মুনি দর্শনগত যে প্রশ্নটি করেছেন সেটি আমাদের সকলের জন্য প্রযোজ্য। ভগবান উত্তরে ৩টি বিষয় বর্ণনা করলেন – ভাগ্য, প্রচেষ্টা এবং সময় বা কাল-এই তিনের সম্মিলন আমাদের জীবনের যেকোনো কাজে প্রভাব বিস্তার করে। ভগবান উদাহরণ হিসেবে একজন কৃষকের কথা বলেন যার ফসল নির্ভর করে। তিনটি বিষয়ের ওপর রোপন, বৃষ্টি এবং সময়। চারাগাছ রোপনের মাধ্যমে আমাদের প্রচেষ্টার প্রয়োগ হয় এবং বৃষ্টি আমাদের ভাগ্যকে নির্ধারণ করে। যদি কৃষক চারাগাছ লাগায় কিন্তু বৃষ্টি না হয় তবে ফসল উৎপাদন হবে না। এই ক্ষেত্রে আমাদের ভাগ্য ও প্রচেষ্টা উভয়ই জরুরি এবং সঠিক সময়ও জরুরি।
যদি আমরা সুচারুভাবে কর্ম করি তথা পুণ্য কর্ম করি তবে আমাদের জন্য সৌভাগ্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু যদি আমরা পাপ কর্ম করি তবে আমাদের দুঃখ-দুর্দশা ভোগ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে পরিস্থিতির বিচারে সৌভাগ্য আমাদের প্রচেষ্টা অনুসারে আবির্ভূত হবে। তদ্রুপ না চাইলেও দুর্ভাগ্য বা দুঃখ আসবে। অদৃষ্ট আমাদের সুখ কিংবা দুঃখ দিতে পারে। লটারির টিকেট জেতা, ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা কিংবা রোগা শরীর হলেও আমাদের প্রচেষ্টা বিহীন ভাগ্যের ফলাফল। আমাদের প্রচেষ্টার দ্বারা ভাগ্যকে নির্মাণ করতে পারি। আমরা যেই রকম বীজ বপন করব সেই রকম ফল প্রাপ্ত হব। কিন্তু সবাই ভালো ফল লাভের প্রত্যাশী হলেও মন্দ ফল কেউ গ্রহণ করতে চাই না। আমরা ভাগ্যকে দোষী বিবেচনা করি।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় ১৫/১৫ বলেছেন, “আমি সমস্ত জীবের হৃদয়ে অবস্থিত এবং আমার থেকেই স্মৃতি, জ্ঞান ও বিলোপ হয়। আমিই সমস্ত বেদের জ্ঞাতব্য এবং আমিই বেদান্তকর্তা ও বেদবিৎ।” পরবর্তীতে ভগবান গীতায় ১৮/৬১ আরো বলেছেন, “হে অর্জুন! পরমেশ্বর ভগবান সমস্ত জীবের হৃদয়ে অবস্থান করছেন এবং সমস্ত জীবকে দেহরূপ যন্ত্রে আরোহণ করিয়ে মায়ার দ্বারা ভ্রমণ করান।” দেহত্যাগ করার পর … জীবের যা প্রাপ্য তা সে প্রাপ্ত হয়।
আমাদের পূর্ব কর্ম অনুসারে আমাদের স্মৃতি শক্তি এবং বিস্মৃতি আমাদের কাছে আসে এবং আমাদের বাসনা এবং প্রচেষ্টার বিভিন্ন মুহূর্তে আবির্ভূত হয়। পরিশেষে আমরা তাই পায় যা আমরা বাসনা করি। বিশেষত বহু লোক কোটিপতি হতে চায় কিন্তু মাত্র কয়েকজন তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। অন্যদিকে কিছু মানুষ প্রচেষ্টা ব্যতীত কোটিপতি হয়, কেননা তারা ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছে। পুণ্য কর্ম করার অর্থ হল আমাদের কর্মের হিসেবে সঞ্চয় রাখা। যখন কেউ ব্যাংক একাউন্টে টাকা সঞ্চয় করে সে চাইলে পরবর্তীতে টাকা উত্তোলন করে ইন্দ্রিয় উপভোগ করতে পারে। কিন্তু অনেকেই আছে যারা বহু চেষ্টা করেও ধনী হতে পারে না। ঠিক যেমন একটি গাভী স্বাধীনতা পায় ততটুকুই যতটুক তার রজ্জু (দড়ি) বিস্তৃত থাকে। তদ্রূপ আমাদের বর্তমান প্রচেষ্টার দ্বারা সফলতা লাভ করার সম্ভাবনা পূর্ব কর্মের ওপর নির্ভর। পশু পাখির কর্মের সুফল বা কুফল নেই।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা পূর্বকৃত কর্মের ফলাফল পরিবর্তন করতে পারি। এই কর্মের ফলাফলের পরিবর্তনের জন্য দুটি পদ্ধতি রয়েছে। প্রথমটি হল প্রায়শ্চিত্ত এবং অন্যটি হল ভক্তিমূলক সেবা। বৈদিক ধর্ম অনুসারে আমাদের জীবন প্রণালিকে পরিচালিত করলে পাপকর্ম থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। প্রায়শ্চিত্ত হল স্বেচ্ছায় তপস্যাময় জীবন গ্রহণ করা যাতে পাপ কর্ম থেকে মুক্ত থাকা চায়। ঠিক যেমন একজন কয়েদী সাজা মওকুফের জন্য পূর্বেই শরণাগত হয়। কিন্তু প্রায়শ্চিত্তের মাধ্যমে রোগের উপসর্গ থেকে মুক্ত থাকা গেলেও পুরোপুরি রোগ থেকে মুক্তি অসম্ভব ।
একটি পাপময় কর্মের ফলে আরো বহু পাপকর্মের সূচনা হয়। প্রায়শ্চিত্ত হয়তো আমাদের দুর্দশাকে কিছুটা লাঘব করতে পারে কিন্তু পাপ করার বাসনা পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয় না। শ্রীমদ্ভাগবত ৬/১/১১ শ্লোকে শুকদেব গোস্বামী বলেছেন, “যেহেতু পাপকর্মের ফল নিস্ক্রিয় করার এই পন্থাটিও সকাম কর্ম, তাই তা দ্বারা কর্মবন্ধন থেকে মুক্ত হওয়া যায় না। যারা প্রায়শ্চিত্তের বিধি অনুসরণ করে, তরা মোটেই বুদ্ধিমান নয়। প্রকৃতপক্ষে, তারা তমোগুণের দ্বারা আচ্ছন্ন। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ তমোগুণের প্রভাব থেকে মুক্ত না হয়, ততক্ষণ একটি কর্মের দ্বারা অন্য কর্মের প্রতিকারের চেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়, কেননা তার ফলে কর্মবাসনা সমূলে উৎপাটিত হয় না। আপাতদৃষ্টিতে সেই সমস্ত ব্যক্তিদের পুণ্যবান বলে মনে হলেও তারা পুণরায় পাপকর্মে লিপ্ত হবে, সেই সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নেই। তাই প্রকৃত প্রায়শ্চিত্ত হচ্ছে বেদান্তের পূর্ণজ্ঞান লাভ করা, যার দ্বারা পরম সত্য পরমেশ্বর ভগবানকে হৃদয়ঙ্গম করা যায়।”

কর্মের পরিবর্তন

পূণ্য কর্মের ফল হিসেবে ইন্দ্রিয় সুখ লাভ হয় যা আমাদেরকে পরবর্তী পূণ্য কর্মে অনুপ্রাণিত করে। যেহেতু আত্মাকে বাধ্যগতভাবে সকল কর্মের ফল ভোগের জন্য এই জড় দেহ প্রদান করা হয়েছে তাই জন্ম-মৃত্যুর চক্রের মতোই এই সকল কর্মের ফলাফল আবির্ভূত হতে থাকবে। এর সমাধান কি? শ্রীদ্ভগবদ্‌গীতায় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের সর্বোত্তম উপায়টি বর্ণনা করেছেন—
৩/৪৭-৫০
উত্তম রূপে অনুষ্ঠিত পরধর্ম অপেক্ষা অসম্যক রূপে অনুষ্ঠিত স্বধর্মই শ্রেয়। মানুষ স্বভাব-বিহিত কর্ম করে কোন পাপ প্রাপ্ত হয় না। ৩/৪৭
হে কৌন্তেয়! সহজাত কর্ম দোষযুক্ত হলেও ত্যাগ করা উচিত নয়। যেহেতু অগ্নি যেমন ধূমের দ্বারা আবৃত থাকে, তেমনই সমস্ত কর্মই দোষের দ্বারা আবৃত থাকে। ৩/৪৮
জড় বিষয়ে আসক্তিশূন্য বুদ্ধি, সংযতচিত্ত ও ভোগস্পৃহাশূন্য ব্যক্তি স্বরূপত কর্ম ত্যাগপূর্বক নৈষ্কর্মরূপ পরম সিদ্ধি লাভ করেন। ৩/৪৯
হে কৌন্তেয়! নৈষ্কর্ম সিদ্ধি লাভ করে জীব যেভাবে জ্ঞানের পরা নিষ্ঠারূপ ব্রহ্মকে লাভ করেন, তা আমার কাছে সংক্ষেপে শ্রবণ কর। ৩/৫০
এছাড়া গীতায় ১৮/৬৬ ভগবান বলেছেন “সর্ব প্রকার ধর্ম পরিত্যাগ করে কেবল আমার শরণাগত হও। আমি তোমাকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত কর। তুমি শোক করো না।”
তাৎপর্য: ভগবদ্‌গীতার সারাংশ বিশ্লেষণ করে ভগবান বলেছেন যে, অর্জুনের উচিত যে সমস্ত ধর্মের কথা তাঁর কাছে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তা সবই পরিত্যাগ করা; তাঁর উচিত কেবল শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত হওয়া। সেই শরণাগতি তাঁকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করবে, কেন না ভগবান নিজেই তাঁকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ভক্তিরসামৃতসিন্ধু (১/১/১৭) রূপগোস্বামী বলেছেন, ক্লেশাঘ্নী-শুভদা, যার অর্থ হল ভক্তিমূলক সেবার মাধ্যমে সকল অপ্রয়োজনীয় কর্মফল, দুঃখ-দুর্দশা বিদুরিত হয় এবং কেউ সকল সৌভাগ্য লাভ করতে পারে।
ভগবান শ্রীমদ্ভাগবতের ১১/১৪/১৯ বলেছেন “প্রিয় উদ্ধব, ঠিক যেমন জলন্ত অগ্নি জ্বালানী কাঠকে ভস্মে রুপান্তরিত করে, তেমনই ভক্তি, আমার ভক্তের কৃত পাপ সমূহকে সম্পূর্ণরূপে ভস্মে পরিণত করা।’
তাই আমাদের জড় কর্মে অত্যধিক পরিশ্রম করা উচিত নয়। যাতে আমরা জড় অস্তিত্বে আবদ্ধ হয়ে পড়ব। বরং আমাদের উচিত মহা মূল্যবান সময় ভগবানের সেবায় ব্যয় করা।

দোষারোপের সংস্কৃতি

কয়েক সপ্তাহ পর মেরামত কারখানা থেকে আমার গাড়ি ফিরে এল। এটি এখন মোটামুটি পূর্বের অবস্থা ফিরে পেয়েছে। এখন আমি নিজেকে একটি অন্য রকম প্রশ্ন করার সুযোগ পেলাম । আমাদের দুর্ঘটনাটি ছিল পূর্বে নির্ধারিত যা আমাদের পূর্বকৃত কর্মের ফল নাকি অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালানোর তাৎক্ষণিক ফলাফল?
আমাদের প্রচেষ্টা হলো বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমাদের কার্যাবলী। শাস্ত্রমতে আমরা পুণ্য ও পাপ কর্মের সঠিক স্থান, কাল ও পাত্র সম্পর্কে জানতে পারি। শ্রীমদ্ভাগবতে এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা রয়েছে। যেখানে রাজা নৃগ ব্রাহ্মণদের প্রচুর পরিমাণে গাভী দান করতেন। একবার রাজার অগোচরে দানকৃত এক গাভী রাজার গো-শালায় ফিরে আসে এবং তিনি সেই গাভীটিকে অন্য ব্রাহ্মণকে দান করেন। যেহেতু রাজা নৃগ অন্য ব্রাহ্মণের সম্পত্তি অন্য ব্রাহ্মণকে দান করেছেন তাই তাকে বহু বছর গিরগিটির শরীরে অবস্থান করে কষ্ট পেতে হয়েছিল। তাই পুণ্য কৰ্মও পাপ কর্ম হতে পারে।
আমাদের ভাগ্য পূর্ব থেকেই সঞ্চিত আছে আমাদের পূর্ব কর্মের ফলে। পুণ্য কর্মের ফলে আমরা উচ্চতর গ্রহলোকে প্রবেশ। করে বহু বছর ঐশ্বর্য ভোগ করতে পারি। কিন্তু কোন্ কর্মটি পুণ্য বা পাপ কর্ম সেটি বিবেচনা করা দুরূহ। এমনকি কর্মের ফলাফল ফলাফল লাভের সম্ভাবনাও পূর্বঅনুমান করা দুঃসাধ্য। শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে, আমাদের কর্মের প্রকৃত ফলাফল অনুমান করা পুরোপুরি অসম্ভব। ভাগ্য এবং প্রচেষ্টা ছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে কাল । কিছু কর্মফল তাৎক্ষণিক এবং কিছু কর্মফল বহু জন্মের পরও লাভ করতে হয়। যেমন যদি আপনি কাউকে চড় মারেন তবে আপনি তৎক্ষণাৎ প্রত্যুত্তর পাবেন। কিন্তু যদি আপনি গোপনে কারো সমালোচনা করেন তবে এর ফলাফল অনেক দেরীতে লাভ করবেন।
ভক্তিরসামৃতসিন্ধুতে শ্রীল রূপ গোস্বামী কর্মফলকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথমটি হচ্ছে প্রারব্ধ এবং অপ্রারব্ধ। কিছু মানুষ পুণ্য কর্ম করা সত্ত্বেও দুঃখ ভোগ করে। আবার অনেকে পাপ কর্ম করা সত্ত্বেও সুখে জীবন-যাপন করে। তাদের দেখে আমরা বুঝতে পারি, এখানে তৃতীয় উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করেছে আর তা হল কাল। যেটি কর্মের ফলাফল কখন সংঘটিত হবে তা নির্ধারণ করে।
কেউ কর্মের আইনকে একটি বৃহৎ কম্পিউটারের সাথে তুলনা করতে পারে। আমাদের বিভিন্ন সময়ের কর্মসমূহ আমাদের পূর্বকৃত কর্মের সময় অনুসারে প্রতিনিয়ত বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। সেই সকল মুহূর্তে আমরা কি ধরনের আচরণ করছি সেটি ভবিষ্যতের জন্য হিসাব করা হচ্ছে এবং এভাবেই নিত্য কাল ধরে কর্মচক্র আবর্তিত হচ্ছে।
লেখক পরিচিতি : ভয়হারি দাস শ্রীমৎ রমাপদ স্বামীর একজন শিষ্য। তিনি ভার্জিনায় ফেয়ারফাক্সে থাকেন। তার পত্নী ইন্দুলেখা দেবী দাসী ও তাদের এক পুত্র রয়েছে তিনি ইনফরমেশন টেকনোলজিতে কাজ করেন। যোগাযোগ মাধ্যম mail@iskcondc.org


 

জানুয়ারী-মার্চ ২০১৭ ব্যাক টু গডহেড
সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।