কোটি টাকার মুকুট

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০১৮ | ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৮ | ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 884 বার দেখা হয়েছে

কোটি টাকার মুকুট

কর্ণাটক ট্যুরিজম মন্ত্রী গলি জনার্দন রেড্ডি এখন থেকে কর্ণাটক তো বটেই পুরো ভারতেই একটি বিশেষ কিছুর জন্য পরিচিতি লাভ করবে। কেননা তিরুপতি মন্দিরের বিগ্রহ শ্রীভগবান ভেঙ্কেটশ্বরকে স্মরণকালের সবচেয়ে মূল্যবান উপহার তিনি দিতে চলেছেন। যার মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪২ কোটি রুপি (৪.৪ মিলিয়ন ইউ.এস. ডলার)। আর এই উপহারটি হল ভগবান ভেঙ্কেটশ্বরের মাথার মুকুট। এই মুকুটটি তৈরির জন্য ৩২ কেজি অপারঞ্জি (বিশুদ্ধ) স্বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এতে প্রায় ৪,০০০ ক্যারট-এর ৭০,০০০ হীরা ব্যবহার করা হয়েছে। ২.৫ ফুট উঁচু এই মুকুটে আফ্রিকার বিখ্যাত এমারল্যান্ডস বা পান্নাও ব্যবহার করা হয়েছে যার মূল্যই হল শুধুমাত্র ১০ কোটি ভারতীয় রুপি। ইতোমধ্যেই এই মুকুটটি তৈরি হওয়ার পর তিরুমালায় অবস্থিত ভইভভোতস্ব মন্ডপে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রথাগত সহস্র দীপ অলংকার সেবাপূজা সম্পন্ন করার পর ১৯ জুন ভগবানকে পড়ানো হবে। এ মহামূল্যবান মুকুটটিতে যিনি শৈল্পিক নিদর্শন ফুটিয়ে তুলতে অক্লান্ত শ্রম দিয়েছেন তিনি হলেন তামিলনাড়ণ্ডর এক বিখ্যাত স্বর্ণকার কীর্তিলাল। তিনি কইস্বাটরের অধিবাসী। তার এ মুকুটটি তৈরি করতে প্রায় ৯ মাস সময় লেগেছে। এই ভেঙ্কটশ্বর মন্দিরে এত দামী উপহার দেওয়ার রেকর্ড নেই। যাও ছিল তা প্রায় ৪০০ বছর আগের ঘটনা অর্থাৎ ষোড়শ শতাব্দীর দিকে। বিজয়নগর রাজারা ভগবানকে ২০ কেজি ওজনের একটিদামী মুকুট উপহার দিয়েছিলেন। তবে বর্তমান এ উপহার পেছনের সব রেকর্ড অবলীলায় ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমান মুকুটটি সহ এ নিয়ে ভগবানের প্রায় ৭টি মহামূল্যবান মুকুট হল। এসব মুকুট পূর্বে কোন ধনাঢ্য ব্যক্তি উপহার দিয়েছিলেন। যিনি আলোচিত মহামূল্যবান মুকুটটি ভগবানকে উপহার দিয়েছেন তিনি এ বিষয়ে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন এভাবে, ‘‘আমার আজকের এ অবস্থার জন্য ভগবান ভেঙ্কেটশ্বরের আশীর্বাদই ছিল মূল উপাদান। এটি ভগবানের জন্য আমার একটি ক্ষুদ্র উপহার। হরেকৃষ্ণ।

(মাসিক চৈতন্য সন্দেস জুলাই ২০০৯ সালের প্রকাশিত)

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।