কেমন আছেন?

প্রকাশ: ২ জুন ২০১৮ | ২:৩০ অপরাহ্ণ আপডেট: ২ জুন ২০১৮ | ২:৩২ অপরাহ্ণ

এই পোস্টটি 1038 বার দেখা হয়েছে

কেমন আছেন?

“কেমন আছেন?” এ প্রশ্নটি সবারই কুশল বিনিময়ের প্রথম জিজ্ঞাসা। উত্তরটি হয়-‘হ্যাঁ’ বা ‘না’। যারা ভালো আছেন বা সুখে আছেন, তারা কি সুখেই মজে আছেন? আপনি কি নিশ্চিত যদি আপনার প্রয়োজনীয় সব কিছু সুন্দরভাবে ব্যবস্থাপনা করা হয় তাহলে আপনি সুখী হবেন? অর্থাৎ অঢেল অর্থ, সুরক্ষিত সাম্রাজ্য, অনুগত ভৃত্য, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা সব পরিপূর্ণ থাকলেও আপনি কি সুখী হবেন? আপনার জন্য রয়েছে বিশ্বের আলোচিত ব্যক্তির উদারহরণ তারাও ভেবেছিলেন চিরসুখী হবে। সেসব ব্যক্তিদের জীবন কাহিনী নিয়ে আমাদের নতুন কলাম ‘কেমন আছেন?’ এ কলামে প্রতিনিয়ত শাস্ত্রমতে চারটি দুঃখ, জন্ম, মৃত্যু, জরা ও ব্যাধি এবং তিনটি দুঃখ আধ্যত্মিক, আধিভৌতিক, আদিদৈবিক দুঃখ প্রসঙ্গে প্রমাণসহ বাস্তবিক উদাহরণ তুলে ধরা হবে। লিখেছেন-গৌরাঙ্গ দাস।

মৃত্যু : নেলসন্ রকফেলারের একমাত্র পুত্র নেলসন্ রকফেলারের (১৯০৮-১৯৭৯) ছিলেন একসময় জেরাল্ড ফর্ডের অধীনে আমেরিকার ৪১ তম ভাইস প্রেসিডেন্ট। একসময় তিনি নিউইয়র্কেও ৪৯ তম গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রুজভেল্ট, ট্রমান, আইজেনবার এবং নিক্সনদের খুব বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ট সেবক ছিলেন। সেসাথে একজন বড় ব্যবসায়ীও ছিলেন। তিনি বিখ্যাত রকফেলার সেন্টার এর প্রেসিডেন্ট এবং পরবর্তীতে এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একদিকে বড় ব্যবসায়ী, অন্যদিকে রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে তার সম্মান প্রতিপত্তির কোনটাই অভাব ছিল না। লোকেরা তাকে সম্মান করে আবার অর্থ- প্রতিপত্তির দিক দিয়ে বলতে গেলে তিনি ছিলেন আমেরিকার অন্যতম ধনী লোক। হঠাৎ একদিন তার জীবনের সবচেয়ে বিধ্বস্ত দুর্ঘটনাটি ঘটে। তার একটি মাত্র পুত্র সন্তান ছিল। যিনি গিয়েছিলেন নিউ গানাতে নরমাংস খাদক লোকদের উপর গবেষণা করতে। কিন্তু মর্মান্তিকভাবে সেসব লোকেরা তাকে ধরে টুকরো টুকরো করে খেয়ে ফেলে। পুত্রের এরকম মর্মান্তিক মৃত্যু শুনে কোন বাবা স্থির থাকতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক। রকফেলারও প্রচণ্ড হতাশায় ভেঙে পড়েছিল।

তিনি যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে সাজানো জীবন এরকম হঠাৎ বিধ্বস্ত হয়ে পড়বে। একসময় CNN কে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন “প্রিয় আমেরিকান জনগণ, আপনারা হয়ত অধিকাংশই সম্পদশালী হতে চান, অত্যন্ত বিখ্যাত হতে চান, কিংবা খুব ক্ষমতাশালীও হতে ইচ্ছা করেন। আমার কিন্তু এসবের কোনটিই কোন কমতি ছিল না বরঞ্চ তার চেয়ে অধিক বেশি ছিল যা আপনাদের কল্পনাতীত। কিন্তু আমার একমাত্র প্রিয় ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুর দিন থেকেই আমি দুঃখপীড়িত মানুষ হয়ে পড়ি। এখন আমি একটি মুহূর্তেও শান্তিপাই না এবং এ দুঃখ আমার মৃত্যু পর্যন্ত সয়ে যেতে হবে।” হরে কৃষ্ণ

সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।