এই পোস্টটি 484 বার দেখা হয়েছে
ভগবান শ্রীজগন্নাথদেব এবং পুরী মন্দিরও ঔরঙ্গজেবের আক্রোশ থেকে মুক্ত হতে পারে নি। তৎকালীণ বাংলা ও উড়িষ্যায় ঔরঙ্গজেবের সেনাপতি মওলানা আবুল হাসান কর্তৃক সম্পাদিত “মুরাকাত-ই-আবুল হাসান” গ্রন্থ হল ঔরঙ্গজেবের সময়কালীন বিভিন্ন ডকুমেন্টের সংগ্রহ। সেখানে উড়িষ্যার সকল মন্দিরসমূহ ধ্বংসের জন্য ঔরঙ্গজেবের নিদের্শাবলীর চিঠিটি লিপিবদ্ধ আছে। ১৬৮৬ সালে ঔরঙ্গজেব নাসির খানকে কঠকের সুবাদার রূপে নিযুক্ত করেন। তিনিও বিভিন্ন মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণ করেন। নাসির খান কিছু সৈন্যদল নিয়ে একবার পুরীর উদ্দেশ্য যাত্রা করেন। যাত্রাপথে তারা বহু মন্দির ধ্বংস করেন। পথিমধ্যে দণ্ড মুকুন্দপুরে রাত্রি যাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এরপরের ঘটনাবলী “কটক-রাজা-বংশাবলী” নামক গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে। সেই রাত্রিতে আকষ্মিক বজ্রপাত হল এবং নাসির খানের বহু হাতি ও ঘোড়া নিহত হল। এই বজ্রপাতের কারণ হিসেবে শ্রীজগন্নাথকে মনে করে নাসির খান উড়িষ্যা রাজার সাথে শান্তি সন্ধি করে সেই স্থান পরিত্যাগ করেন। এভাবে পুরীর জগন্নাথ মন্দির ঔরঙ্গজেব ও তার সুবাদার নাসির খানের আক্রোশ থেকে মুক্ত হয়। (উৎস: কঠক-রাজা-বংশাবলী, পৃষ্ঠা-৯৩)