এ্যাংকর ভাট

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২১ | ৭:০০ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২১ | ৭:০৫ পূর্বাহ্ণ

এই পোস্টটি 294 বার দেখা হয়েছে

এ্যাংকর ভাট

বিশ্বের বৃহত্তম মন্দির

অদ্ভুত হরি দাস

অক্টোবর ২০০০, আমি আমার গুরু মহারাজ শ্রীধর স্বামীর সেবায় ব্যাংকক ছিলাম। কারণ আমার ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমাকে ভিসার মেয়াদ পুনঃবৃদ্ধির জন্য থাইল্যান্ড পরিত্যাগ করতে হয়েছিল। আমি মিয়ানমার, মালয়েশিয়া এবং কম্বোডিয়া কোনটিকে ভ্রমণের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করব সেটি চিন্তা করছিলাম। আমি ভাবছিলাম কম্বোডিয়া ভ্রমণের জন্য বিশেষ উপযুক্ত স্থান। বিশেষ করে সেখানে ভ্রমণ করলে আমি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় মন্দির বা প্রাসাদ ( এ্যাংকর ভাট) দেখতে পাব।
আমার বন্ধু আমাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল যে, কম্বোডিয়া খুবই বিপদজনক স্থান হতে পারে । এটি একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। মাত্র কিছুদিন পূর্বে এর যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেছে। তাই স্থানে স্থানে সেখানে স্থলমাইন লুকানাে আছে। যেকোনাে সময় বড় ধরনের বিপজ্জনক ঘটনা ঘটতে পারে এবং সেখানকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে চুরি, গুম এবং হত্যার মত ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব শুনে আমি অত্যন্ত মর্মাহত হলাম এবং ভীত হলাম যে, হয়তাে আমার পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু দু’একদিন পর আমার কিছু আমেরিকান বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করি যারা অনেক বছর যাবৎ ব্যাংককে বসবাস করছিল এবং সম্প্রতি এ্যাংকর ভাট ভ্রমণ করে এসেছে। তারা বলল যে, সিয়াম রীপ শহরের কাছেই এ্যাংকর ভাট অবস্থিত। যেটি খুবই নিরাপদ জায়গা এমনকি রাতেও। থাইল্যান্ডের সীমানা থেকে সিয়াম রীপ পর্যন্ত রাস্তাটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। কিন্তু মন্দিরের বাইরে অবশ্যই নিজেকে নিরাপদে রাখতে হবে।
মুণ্ডিত মস্তকে সাধু হওয়ায়, আমার স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ভয় ছিল না। ব্যাংককে সবাই আমার প্রতি ছিল শ্ৰদ্ধাপরায়ণ। সাধু হওয়ার দরুণ স্থানীয় বাসগুলােতে আমি ফ্রি ভ্রমণের সুযােগ পেয়েছিলাম। সুতরাং আমি মনে করি, আমার মত অন্যান্য সাধুরাও সেখানে সাদরে অভ্যর্থনা প্রাপ্ত হবে।
প্রায় সাত ঘণ্টা ট্রেন ভ্রমণের পর আমি কম্বোডিয়ান বর্ডারে এসে পৌঁছাই। তারপর অন্যান্য যাত্রীসহ একটি ট্রাকে উঠে পড়ি এবং সিয়াম রীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। কম্বোডিয়াকে তেমন কোনাে বিপদজনক জায়গা বলে মনে হচ্ছিল না, যদিও তখনও যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ ও দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমান ছিল। যেটি আমরা খুব শীঘ্রই আবিষ্কার করতে পেরেছিলাম। রাস্তাটির অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, মনে হচ্ছিল আমি আমাজান জঙ্গলের ভিতর কোনাে ঘােড়-দৌড়ে অংশগ্রহণ করেছি। বর্ডার থেকে সিয়াম রিপের দূরত্ব ছিল ১৫০ কি.মি. আর আমার জন্য ছিল আট ঘণ্টার এক দুর্বিষহ ভ্রমণ। মাঝখানে দেড় ঘণ্টার একটি যাত্রা বিরতি পাই। আর তখন বিপুল সংখ্যক ছােট শিশুর দল বিস্কুট, রুটি, কোমল পানীয় ইত্যাদি ক্রয় করতে আমাকে ঘিরে ধরেছিল। অবশেষে মধ্যরাত্রিতে আমি সিয়াম রীপে পৌঁছি। গাড়িচালক, আমি এবং এক তরুণকে গেস্ট হাউজে ওঠার জন্য অনুরোধ জানাল।
আর তখন আমি এবং সে জাপানী ভদ্রলােকটির আমন্ত্রণ গ্রহণ করি ।

সত্তরটি মন্দির

পরদিন উনিশ বছরের এক তরুণ যুবককে সাথে নিই আমার ভ্রমণে সহায়তা করার জন্য। সে আমাকে তার মােটর সাইকেলে করে এ্যাংকর ভাটের সত্তরটি মন্দির ঘুরে দেখায়। এক দিনের জন্য টিকেট সংগ্রহ করে আমরা প্রথম মন্দির বেইয়ন-এ যাই। সেটি ছিল একটি বৌদ্ধ মন্দির যেটি ১২ শতকে জয় বর্মণ কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। সেখানে আমি ঈশ্বরের প্রায় দুইশত হাস্য মূর্তি দর্শন করি, সেই সাথে দর্শন করি মন্দিরের বাইরের দেয়ালে খােদাই করা ১২ শতকের তৎকালীন জীবনযাত্রার কিছু প্রদর্শনী। যখন আমি প্রধান প্রাসাদে উঠছিলাম।
তখন ইংল্যান্ডের এক অধ্যাপকের সাথে আমার পরিচয় হয়। তিনি সিয়াম রীপের মত স্থানে হরে কৃষ্ণ ভক্ত দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন। এ্যাংকর ভাটের কাহিনী শুনতে তিনি খুবই আগ্রহী ছিলেন।
তিনি জানতেন এ্যাংকর ভাটের প্রধান মন্দিরটি ভগবান বিষ্ণু, যিনি কৃষ্ণের প্রকাশ, তাঁর উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বৈদিক সাহিত্য অনুসরণ করে। সেই সময়কার ইন্দো-সংস্কৃত কবিতায় এ্যাংকর ভাটের ইতিহাস বর্ণিত আছে এ্যাংকর ভাটের রাজার নামও ছিল সংস্কৃত। এ্যাংকর শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘নগর হতে এসেছে। যার আক্ষরিক অর্থ ‘রাজধানী। ৮০২ হতে ১৪৩১ সাল পর্যন্ত কম্বােডিয়া খম্বুজ দেশ নামে পরিচিত ছিল। যেটি ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি বিশাল রাজ্য।

আরাে কিছু বৈদিক সূত্র

বৈদিক সূত্র হতে পাওয়া প্রামাণিক তথ্য মতে অনেক রাজাদের মধ্যে রাজা যশাে বর্মণ (৮৮৯ হতে ৯১০) শ্রী যশােদাপুর নামে একটি বিশাল রাজ্য নির্মাণ করেছিলেন সেখানে তিনি শিব, বিষ্ণু ও বুদ্ধকে সম্মান প্রদর্শন করে বৃহদাকৃতির মন্দির নির্মাণ করেন। তখনকার সময়ের বিভিন্ন গ্রন্থাবলী থেকে যতদূর জানা যায় তার রাজ্য ছিল ভারতীয় সভ্যতার মধ্যে অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণ রাজ্য এবং বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি তার সহমর্মিতা ছিল ।
আমি মন্দিরের বিভিন্ন স্থাপত্যশৈলীতে বেদের বিভিন্ন সংখ্যার ব্যবহার লক্ষ্য করি যেমন-মন্দিরের প্রধান তােরণ (গেইট) হতে প্রধান মন্দিরের যে দূরত্ব তার সংখ্যা এবং বৈদিক চতুর্যুগের (সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর, কলি এই সমস্ত যুগের স্থায়িত্বকালের জন্য নির্ধারিত সময়ের যােগফল) স্থায়িত্বকালের যে সংখ্যা তার সমান।
পশ্চিম প্রবেশ দ্বারে দেখা যায় সূর্য সরাসরি প্রধান মন্দির বরাবর উদিত হচ্ছে। ২১ জুন ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে সৌর বৎসরের প্রথম দিন এবং এই দিনটি মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাজা সূর্য বর্মণের জন্য পবিত্র দিন। সূর্য বর্মণ অর্থ “সূর্যের দ্বারা প্রতিরক্ষা প্রাপ্ত। তিনি ছিলেন বিষ্ণু ভক্ত, তিনি ১১১২ সালে তার রাজত্ব শুরুর সময় থেকে এই মন্দির নির্মাণ শুরু করেন এবং তার মৃত্যুর পর ১১৪০ সালে
মন্দিরটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়। সম্ভবত ১১৩১ সালে যখন সূর্য বর্মণ এর বয়স ৩৩, যেটি বৈদিক কসমােলজির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা তখন তিনি এখানে বিষ্ণুবিগ্রহ স্থাপন করেন। এই ভ্রমণ শেষে আমি সিয়াম রীপ হতে প্রত্যাবর্তন করছিলাম। আমি রাজা সূর্য বর্মণের বিষ্ণুভক্তি ও প্রাচুর্য দেখে অভিভূত হয়েছিলাম। এ্যাংকর ভাট এর বিশালত্ব সারা বিশ্ব স্বীকৃত যেটি প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করে আমি নতুন ভিসা নিয়ে ব্যাংককে চলে আসি। যে জড় জাগতিক উন্নতির দরুণ ঈশ্বরবিহীন সমাজ হতে চলেছে। সেটিকে এখন আবার ফিরিয়ে নিতে হবে সেই হারিয়ে যাওয়া বৈদিক সভ্যতার দিকে।

আরাে কিছু তথ্য

ইতিহাস
১। মন্দিরটি বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে নির্মিত। ‘ভাট’ শব্দটি খামির শব্দ (সংস্কৃতের প্রাকৃত রূপ) যার অর্থ বরাহ বিষ্ণু।
২। এই মন্দিরটি কম্বােডিয়ার শক্তিশালী প্রতীক। যেটি তাদের গর্বের উৎস। সেই সাথে কম্বােডিয়ার জাতীয় পতাকায় এই মন্দিরের অংশবিশেষ সংযুক্ত আছে। এটি কম্বোডিয়ার সাথে ফ্রান্স, আমেরিকা ও থাইল্যান্ডের সম্পর্কের অন্যতম মাধ্যম।
৩। ফ্রান্সে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপত্যকর্ম, সাহিত্য, পােস্টকার্ডে এ্যাংকর ভাটের ব্যবহার প্রসিদ্ধ।

সাইট প্ল্যান

১। এটির অবস্থান 13°24’.45’N103° 52’E এবং পর্বতাকৃতি মন্দিরের এক অপূর্ব সমন্বয় ।
২। এর স্থাপত্যশৈলীতে উড়িষ্যা, চৌলা ও তামিলনাড়ুর স্থাপত্যশৈলীর প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
৩। নির্মাণশৈলীতে খামির স্থাপত্যশৈলীর প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। যেটি এ্যাংকর ভাট স্টাইল নামেও অভিহিত।
৪। এখানে খােদাই করা হয়েছে উচ্চমানের ডিজাইন যা শুধুমাত্র প্রাচীন গ্রীস ও রােম সভ্যতার স্থাপত্যশৈলীর সাথে তুল্য ।
৫। বাহ্যিক মন্দিরের দেয়াল প্রায় ৪২০,০০০ বর্গমিটারের ক্ষেত্রকে আবদ্ধ করেছে।

প্রধান মন্দিরটি তিনটি গ্যালারির কেন্দ্রে অবস্থিত। গ্যালারিগুলাে বিষ্ণু, ব্রহ্মা ও চন্দ্রকে উৎসর্গ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্যালারির শুরুতে গােপুরা (গ্যালারিতে ঢােকার সময় অবস্থিত বৃহদাকৃতি ভবন) এ্যাংকর ভাটে সংরক্ষিত বহু মূল্যবান সম্পদ চুরি হয়ে যায়। কালের বিবর্তনে ঘরটি বালি ও পানিতে ভর্তি হয়ে পড়ে। তথাপিও ১৯৩৪ সালে ফ্রান্সে ট্রয়ােভি এর অভ্যন্তরে একটি পবিত্র স্বর্ণপত্র প্রাপ্ত হন যেটি প্রায় দুই মিটার লম্বা।

সাজসজ্জা

মন্দিরের অভ্যন্তরে দেয়ালে দেয়ালে খােদাই করা হয়েছে পুরাণের কাহিনী যেমন দুধসাগর মন্থন দৃশ্য যেখানে বিষ্ণু মাঝখানে অবস্থান করছেন তার প্রকাশ কূর্ম অবতার নিচে, বামে অসুর ও ডানে দেবতা ও ইন্দ্রের অবস্থানের দৃশ্য দেখা যায়।
বাইরের দেয়ালের অভ্যন্তর ভাগে খােদাই করা হয়েছে পৌরাণিক সাহিত্য রামায়ণ ও মহাভারতের খােদাইকৃত দৃশ্য। পশ্চিমের গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হয়েছে রাবণের সৈন্য সামন্ত ও রামায়ণের গল্প। এছাড়া সেখানে খােদাই করা আছে মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের বহু দৃশ্য। কুরু ও পাণ্ডবদের সৈন্য সামন্ত ইত্যাদি।
দক্ষিণের গ্যালারিতে খােদাই করা আছে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা যেমন-সূর্য বর্মাণের একটি র্যালি। উত্তরের গ্যালারিতে বলি মহারাজের পুত্র হাজার হস্ত বিশিষ্ট বানাসুরের বিরুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণের বিজয় লীলার দৃশ্য খােদাই করা আছে, এই মন্দিরের বেশির ভাগ স্থাপনা রামায়ণ ও কৃষ্ণকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে। স্থাপনাগুলাে নির্মাণের সময় ব্যবহার করা হয়েছে অপূর্ব সুন্দর বালি পাথর, যেগুলাে মিশরের ‘কাফরি পিরামিডে দেখা যায় (যেগুলাের ওজন প্রায় ৫ টন)। বালি পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। এ্যাংকর ভাট হতে ৭০ কি.মি. দূরে অবস্থিত খুলেন নামক পর্বত হতে।
প্রতিটি গ্যালারিতে প্রায় ১০০০ বর্গমিটারের খােদাইকৃত স্থাপত্যশৈলী রয়েছে। মাঝে মাঝে অগভীর গর্তে বিস্তৃত ব্রোঞ্জের খােদাইকৃত স্থাপত্যশৈলী দেখা যায় যা ছিল সে সময়ের অত্যন্ত মূল্যবান স্থাপনা।
বজার পুষ্প কিংস ও মার্ক লেনায় সৃজন বিশেষজ্ঞ নিয়ে প্রায় ২২ দিন ৪০০ টলের মত পাথর গবেষণা চালান। এতে তিনি উল্লেখ করেন এ্যাংকর ভাট প্রস্তুতে প্রায় হাজারাে স্থপতি কাজ করেছিল। ১৯৯২ সালে এ্যাংকর ভাট ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজে অন্তর্ভুক্ত হয় । ২০০৪ ও ২০০৫ অর্থবছরে এ্যাংকর ভাটের দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল ৬,৭৭,০০০ যার মধ্যে অর্ধেকই বিদেশী।


জানুয়ারি-মার্চ ২০১৩ ব্যাক টু গডহেড
সম্পর্কিত পোস্ট

‘ চৈতন্য সন্দেশ’ হল ইস্‌কন বাংলাদেশের প্রথম ও সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র। csbtg.org ‘ মাসিক চৈতন্য সন্দেশ’ এর ওয়েবসাইট।
আমাদের উদ্দেশ্য
■ সকল মানুষকে মোহ থেকে বাস্তবতা, জড় থেকে চিন্ময়তা, অনিত্য থেকে নিত্যতার পার্থক্য নির্ণয়ে সহায়তা করা।
■ জড়বাদের দোষগুলি উন্মুক্ত করা।
■ বৈদিক পদ্ধতিতে পারমার্থিক পথ নির্দেশ করা
■ বৈদিক সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও প্রচার। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।
■ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসারে ভগবানের পবিত্র নাম কীর্তন করা ।
■ সকল জীবকে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণ করানো ও তাঁর সেবা করতে সহায়তা করা।