শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯

এক লাখ তাইওয়ানীর মাংস বর্জন

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২২ | ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২২ | ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ
এক লাখ তাইওয়ানীর মাংস বর্জন

তাইওয়ানে এক লাখেরও অধিক লোক নিরামিষাশী হয়ে কার্বনের ব্যবহার কমাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন। তাইওয়ানে ২৩ লক্ষাধিক জনসংখ্যার মধ্যে এক লাখ লোক নিরামিশাষী হয়ে এক বছরে কমপক্ষে ১.৫ মিলিয়ন টন কার্বনের ব্যবহার কমাতে সাহায্যে করেছেন। সম্প্রতি তাইওয়ানের “No meat No meat” নামে একটি সংঘ বিশ্বে কার্বনের উচ্চতার পরিমাণ কমানোর জন্য স্লোগান তুলেছে। অনেক বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, আইন বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ মন্ত্রী, মেয়র জনসাধারণকে নিরামির্শী হওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ করছেন। এই সংঘের মতে বিশ্বের ২০% কার্বনের ব্যবহার পশুজাত শিল্পকারখানায় পরিবহণখাতে অনেকটা বেশি, বিশ্বের ১৫-১৮% কার্বন ব্যবহার হয় যানবাহনের জ্বালানীর জন্য।  এই সকল কার্বন মানব দেহসহ সমগ্র প্রাণিকুলের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে এবং প্রতিনিয়ত ওজোনস্তর ভেঙ্গে ফেলছে। সংঘটির সদস্যরা বলেন বর্তমানে যদি একজন লোক সারাজীবন নিরামিশাষী থাকেন তাহলে ১.৫ লাখ টন কার্বনের ব্যবহার কমতে পারে। কিন্তু বহু পূর্বেই বৈদিক শাস্ত্রে মানুষের মাংসাহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাইওয়ানীদের এই বৈপ্লবীক সিদ্ধান্ত হতে এটি স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, বৈদিক শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত সমূহ অভ্রান্ত। বর্তমানে আধুনিকতার করাল গ্রাসের কবলে পতিত হয়ে আমরা সেই সকল সিদ্ধান্তকে স্বযত্নে এড়িয়ে চলছি। এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমানে প্রকৃতির ভারসাম্য তো নষ্ট হচ্ছেই এবং সেই সাথে আমরা আরও অন্যান্য অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। প্রকৃতির এই বিরূপ আচরণ আমাদেরকে পরোক্ষভাবে শাস্ত্রের শাশ্বত ও অব্যর্থ বাণীগুলো মানতে বাধ্য করছে।

পর্যটন মেলা ০৮ এ ইস্কন
সম্পর্কে জানার তীব্র আগ্রহ দেখে আমরা অভিভূত হয়েছিলাম।” শ্রীমান হরি নারায়ণ দাস প্রভু সন্ধ্যায় সমবেত হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করেন যা এই পর্যটন মেলার প্রধান আকর্ষণ হিসেবে সকলের কাছে সমাদৃত হয়। শ্রীধাম মায়াপুর মাহাত্ম্য সম্পর্কিত প্রায় এক হাজার গ্রন্থ সকলের মধ্যে বিতরণ করা হয় । এই সংকীর্তন অনুষ্ঠানের পর ইস্কন মায়াপুরের ভক্তরা দর্শনার্থীদের মাঝে শ্রীশ্রী রাধামাধবের মহাপ্রসাদ বিতরণ করেন। অত্যন্ত আশার কথা এই যে, এই মেলায় আগত দর্শনার্থীদের অনেকেই ভগবানের নিত্য আলয় শ্রীধাম মায়াপুর দর্শনের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। যেখান থেকে শ্রীল প্রভুপাদের নির্দেশনায় সারা বিশ্বব্যাপী শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বাণী ঘোষিত হচ্ছে। হরে কৃষ্ণ!

নিত্য লীলা ভূমি বৃন্দাবন 
গাছ হতে লাফ দিয়ে যমুনা জলে নিম্মজিত হয়েছিলেন। কদম্ব গাছটি এখনও সেখানে রয়েছে। যদিও এখানে এখন যমুনা প্রবাহিত হয় না কিন্তু বর্ষাকালে এখানে নদীতে বন্যা হয়ে থাকে। বৃন্দাবন : বৃন্দাবনে অবস্থিত বিখ্যাত মন্দিরগুলো হলো কৃষ্ণবলরাম মন্দির, কালিয়াঘাট (কালিয়াহ্রদ), রাধামদন মোহন মন্দির, বঙ্কু বিহারী মন্দির, রাধা বল্বভ মন্দির, রাধারমন মন্দির, যুগল কিশোর মন্দির, কেশিঘাট, রনজি মন্দির এবং দ্বারকাধীশ মন্দির । কেশী ঘাট : কেশীঘাট নামক স্থানে শ্রীকৃষ্ণ কেশী নামক এক ভয়ঙ্কর অশ্বরূপ দৈত্যকে হত্যা করেছিলেন এবং হত্যার পর কৃষ্ণ এই ঘাটে স্নান করেছিলেন। এই স্থান বৃন্দাবনে একটি বিখ্যাত স্থান হয়ে রয়েছে যেখানে সবাই প্রতিদিন তাদের স্নান সম্পন্ন করে থাকে। প্রতি সন্ধ্যায় এখানে যমুনা দেবীর উদ্দেশ্যে আরতী নিবেদন করা হয়। হরেকৃষ্ণ!

 


চৈতন্য সন্দেশ আগস্ট -২০০৮ প্রকাশিত
সম্পর্কিত পোস্ট

About csbtg