এই পোস্টটি 285 বার দেখা হয়েছে
নিখুঁত জপের জন্য নিন্মোক্ত আটটি উপায়গুলো মূলতঃ শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের শিক্ষার সঙ্গে মিলে যায়। নিম্নোক্ত টিপস্গুলো নিজের জীবনে জেষ্ঠ্য ভক্তদের তত্ত্বাবধানে করা উচিত।
১. তীব্র, গভীর জপের জন্য একটি বিঘ্নশূন্য নিরালা পরিবেশ রচনা করুন, কেননা বিঘ্ন-ব্যাঘাত বা অমনোযোগ অন্যান্য অপরাধের জন্ম দেয়। বাইরের কলরোল বন্ধ করতে এয়ার প্লাগ বা শব্দরোধক হেডফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। এরকম নৈঃশব্দ রাধাশ্যামসুন্দরের মাধুরীমাসার দিব্য নাম-রূপ-গুণ-লীলায় চিত্ত-মনকে নিবিষ্ট করতে সাহায্য করে।
২. চোখ বন্ধ করে, বিনীতচিত্তে দৈন্য ও প্রার্থনাপূর্ণ হৃদয়ে মন একাগ্র করুন। শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর, ইতঃস্তত ধাবিত হওয়া থেকে দৃষ্টিকে প্রতিহত করতে মাথাকে বস্ত্রাবৃত করার উপদেশ দিয়েছেন।
৩. দৃঢ়ভাবে বসুন এবং প্রাণায়াম-ক্রিয়া দ্বারা মনকে একাগ্র করুন। হরিভক্তিবিলাস গ্রন্থে গায়ত্রী জপের আগে প্রাণায়াম করার বিধান প্রদত্ত হয়েছে।
৪. সমস্ত ইন্দ্রিয়প্রত্যক্ষ অনুভবের প্রক্রিয়াটি সচেতনভাবে লক্ষ্য করুন ও উপলব্ধি করুন; তারপর কেবল মহামন্ত্র শ্রবণ ব্যতীত সকল ইন্দ্রিয়-সংবেগ প্রতিরুদ্ধ করুন।
৫. তৃণাদপি শ্লোকে বর্ণিত চারটি অবস্থায় (দৈন্য, সহিষ্ণুতা, গর্বশূন্যতা ও মানদাতৃত্ব) মানসিকভাবে আবিষ্ট হোন। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রদত্ত চৈত্রিক দৃষ্টান্ত (তৃণ, বৃক্ষ) অনুসারে নিজের অতি নগণ্য, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র স্বরূপকে অন্তর্দৃষ্টিতে দর্শন বা ধারণা করার চেষ্টা করুন।
৬. জপের সময় সর্বদা মনে রাখুন যে মহামন্ত্র হচ্ছে রাধাকৃষ্ণের প্রতি এক মিনতিপূর্ণ প্রার্থনা নিবেদন, ব্যক্তিগত আহ্বান; এটি তোতাপাখীর কৃত্রিম বুলি নয়।
৭. জপের সময় পূর্বমহাজনগণপ্রদত্ত নামার্থ-তত্ত্ব বারবার স্মরণ করার প্রয়াস।
৮. সর্বাপেক্ষা মহিমময় ও শক্তিশালী এই শব্দতরঙ্গ দ্বারা উন্নত রসাস্বাদন ও পারমার্থিক উপলব্ধি লাভ করার প্রত্যাশা সর্বদা হৃদয়ে জাগরুক রাখুন।